পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখf; } “নারী-সমস্যা” 8〉め AAAAAA AAAA SAAAMAM AMeM MMA eeSe AeM MM SAM AMM MMM AMM AeM AeM MMM AeMAeSM SMS SMM Me SAMAeM AMM SMMA AeMSeMAeAeS AM AAAA AAAAS AAAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAAS AAASASAAAAASAAAAMAeMMM জটিলতর করিতে মানা করিতেছেন । আমাদের দেশে চাকরীসমস্যা যে ক্ষেত্রে, সেই কেরানী-কুল-শোভিত আপিয-আদালতে বাঙ্গালী মেয়ের দেখা এখনও পাওয়া যায় নাই ; লেখিকা ,অযথা কেন ভয় পাইতেছেন জানি না। বালিকা-বিদ্যালয়ের শিক্ষয়িত্রীর পদেই শিক্ষিতা বঙ্গরমণীদের অধিকাংশকে দেখা যায় । এই কাজে আরও বহু রমণীর যে প্রয়োজন আছে, তাহা সকলেই জানেন, এমন কি "সনাতনপন্থীরা” নিজেরাও তাহ৷ স্বীকার করেন। লেডি ডাক্তারের ও শিক্ষিতা ধাত্রীর ও শুশ্ৰুষাকারিণীর কার্য্যক্ষেত্র ত সমস্ত দেশ জুড়িয়া পড়িয়া রহিয়াছে । রোজ গারী মেয়েদের গালি দিতে গিয়াও সনাতনপন্থীদের তাহা স্বীকার করিতে হইয়াছে। ধে-সকল কাজে কেবল মেয়েদের চাহিদাই বেশী এবং উপযুক্ত মেয়ের অভাবে যে-সব কাজ আমাদের দেশে ভালভাবে হইতে পারিতেছে না, শিক্ষিতা মহিলার স্বভাবত সেই-সব কাজে বেশী যাইবেন এবং তাহা হইলেই পুরুষদের চাকরী-সমস্যা জটিলতর না হইয়া দেশ ও সংসারের প্রকৃত শ্ৰীবৃদ্ধি হইবে । ( ভুল যে কেহ করিবেন না, এমন কথা বলিতেছি না ; ভুল করিয়া ঠকিয়াই মানুষ ঠিক্‌ পথে যাইতে শিখে ।) শুশ্রষা, ধাত্রীবিদ্যা, দস্ত-চিকিৎসা, চক্ষু-চিকিৎসা, স্বাস্থ্যতত্ত্বাবধান, হাসপাতাল-পরিদর্শন, স্ত্রীরোগ-চিকিৎসা, শিশু-শিক্ষা, ব্যায়াম-শিক্ষা, ফোটোগ্ৰাফী, পোষাকের ক্স করা, নারী-শিল্পভাণ্ডার স্থাপন, সংবাদপত্রাদিতে লেখা, নারীহিতৈষী পত্র চালনা, অনাথাশ্রম গঠন, পুস্তক রচনা, সঙ্গীত শিক্ষা দেওয়া, বোর্ডিং পরিচালন, ভদ্র ও উচ্চদরের হোটেল পরিচালন, গোশালাপ্রতিষ্ঠা, শাকশজির বাগান করা, স্থাপত্য, গহনা নিৰ্ম্মাণ ও নক্সাকরা, অন্ধাশ্রম ও আতুরাশ্রমের তত্ত্বাবধান, দোকানে মহিলা খরিদারের জিনিষ যোগানে, বাল-অপরাধীর তত্ত্বাবধান, মহিলা মস্কেলের ওকালতী, সমাজহিতসাধন, পতিতোস্কার, উন্মাদের সেবা প্রভৃতি অসংখ্য কাজ আমাদের দেশে যাহা হওয়া উচিত মেয়েদের সাহায্যের অভাবে তাহা হইতে পারিতেছে না। এই-সকল কাজ বিশেষ করিম। মেয়েদেরই কাজ । ইহাতে র্তাহারা লাগিলে ভীড় বাড়ানো হইবে না, প্রকৃত কাৰ্য্য উদ্ধার করা হইবে । ধাত্রীবিদ্যা ও শিক্ষাদান পুরাকালে মহিলাদের কাজ ছিল বলিয়া অনেকের বর্তমানেও তাহাতে আপত্তি নাই । কিন্তু পুরাকালে ত মহিলারা মাসিকপত্রে উপন্যাস লিখিতেন না, প্রবন্ধ লিথিয়া পুরুষের সঙ্গে ঝগড়াও করিতেন না ; তবে কোনো কোনো মহিলা মাসিক পত্রের আডাল হইতে যুদ্ধক্ষেত্রে নামিয়াছেন কেন ? বর্তমান ও অতীত বলিয়া দুইটা কাটাছাটা বিভাগ কালের মধ্যে নাই। অতীতে এমন দিনও ছিল যখন পুরুষ ও নারী কাচা মাংস খাইতেন, গাছের বল্কল পরিতেন, আরো অতীতে বিবস্ত্র থাকিতেন, সামাজিক কোনো প্ৰথা মানিতেন না ; কিন্তু কালের গতির সঙ্গে সঙ্গে এই-সকল নিয়ম বদলাইয়া গিয়াছে। উন্নত মান্তষ পরিবর্তনকে গ্রহণ করিতে ভয় পায় না । অতীতে রমণী ব্যারিষ্টারী করেন নাই বলিয়া ভবিষ্যতে তাহার ব্যাবিষ্টারীর ভয়ে মৃচ্ছ। যাইবার কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ নাই। "নারীর ইজ্জত রক্ষা নারীরই কাজ” ইহার বলেন ; তবে মহিলা উকীল হইলে ক্ষতি কি ? মহিলার মানসম্ম রক্ষার জন্য, কাপুরুষের হস্তের লাঞ্ছনা হইতে, স্বামী ও শ্বশুরবাড়ীর ছ্যাক পোড়া হইতে উদ্ধার করিতে, চক্রীর চক্র হইতে বাহির করিতে, মহিলার স্বার্থের মর্য্যাদা রক্ষা করিতে, মহিলা উকীল ব্যারিস্টারই ত বেশী সক্ষম হইবেন । যাহার নিজেদের “সেকেলে” বলিয়া বড়াই করিয়া “একেলে" শিক্ষাকে গালি দেন, র্তাহারা যদি খুটাইয়া দেখেন ত দেখিতে পাইবেন, জীবনযাত্রা-পথে সাবিত্রী দ্ৰৌপদী কুন্তী দময়ন্তী শৰ্ম্মিষ্ঠা প্রভৃতি সকলের সঙ্গেই আকাশ-পাতাল প্রভেদ রাখিয়া তাহারা নিত্য চলিতেছেন। শিক্ষার মধ্যে কোনটা যে হিন্দুজনোচিত আর কোনট যে “মেম-সাহেবী", কোনটা যে “মেয়েলি’ আর কোনট যে “পুরুষালি” তাহা ও বুঝাইয়া বলা দরকার। રનকলেজে মেয়েরা সচরাচর ইতিহাস, ভূগোল, অঙ্ক, সাহিত্য, দর্শন, ইত্যাদি কয়েকটি জিনিষ পড়ে, যাহ। ঠিক বাসনমাজ কিম্বা ঘর ঝাট দেওয়ার মত “মেয়েলি” বিদ্যা নয়। কিন্তু ইহার কোনোটার গায়েই ত পুরুষত্বের ছাপ দেওয়া