পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8えや حی.جم رحمہ خمي. হিন্দী তিন ভাষায় কাগজ সম্পাদন করিয়া গিয়াছেন । দৈনিক সাপ্তাহিক মাসিক সব রকম কাগজের সম্পাদকতা তিনি করিয়াছিলেন । সংবাদপত্র সম্পাদন ও তাহাতে লেখা ছাড়া তিনি উপন্যাস ও লিখিয়াছিলেন। বাংলাভাষায় একখানি সিপাহী যুদ্ধের ইতিহাসও তিনি লিখিয়|ছিলেন । তাহা ইংরেজ গবর্ণমেণ্টের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ উৎপাদন করিবে, এই ওজুহাতে গবৰ্ণমেণ্ট, তাহার প্রচার বন্ধ করিয়া দেন । ইংরেজ রাজকৰ্ম্মচারীর বেতনবৃদ্ধি ভারতবর্ষের সরকারী চাকরীগুলি দুটি প্রধান শ্রেণীতে বিভক্ত—সামরিক ও অসামরিক। অশমরিক চাকরীগুলি আবার দুটি প্রধান শ্রেণীতে বিভক্ত— সাম্রাজ্যিক বা সমগ্র ভারতীয়, এবং প্রাদেশিক । সামাজ্যিক ব। সমগ্র ভারতীয় অধিকাংশ চাকরীতে ইংরেজরা নিযুক্ত আছেন । এই চাকুর্যেদের অধিকাংশকে সচরাচর সিবিলিয়ান বলা হয়। ইহঁর কলেক্টর, জজ, মাজিষ্ট্রেট প্রভৃতি হন, এবং কখন কখন অন্যান্য বিভাগের বড় কাজগুলি ও ईई:ब्र দখল করেন । " যুদ্ধের সময় এবং যুদ্ধের পর জিনিষপত্রের দাম বাড়ায় অন্যান্ত সকল লোকের খরচ যেমন বাড়িয়ছে, চাকুর্যেদেরও খরচ তেমনি বাড়িমুছে । কিন্তু বড় চাকুর্যে যারা, তাদের তেমন কিছু কষ্ট হয় নাই যেমন ভারতের বহুকোটি গরীব সাধারণ লোকদের হইয়াছে। ইংরেজদের মধ্যে যাহার বলেন, যে, ভারতবর্ষ ক্রমশঃ ধনী হইতেছে উtঙ্গরাও সচরাচর ভারতবাসীর গড় আয় জনপ্রতি বার্ষিক পঞ্চাশ-ষাট টাকার বেশী বলেন না । কিন্তু অনেক লোকের বাৎসরিক আয় পঞ্চাশ-যাট অপেক্ষ বেণী ; সুতরাং গড় আয় পঞ্চাশ-যাটের মানে এই, বে, বিস্তর লোকের আয় পঞ্চাশ-ষাটেরও কম, কাহারও কাহারও কোন আয়ই নাই । বস্তুতঃ ভারতবর্ষে পরান্নজীবীর সংখ্যা খুব বেশী। যাহা হউক, টাকার কম আয়ের লোক এদেশে বহুকোটি আছে, তাহাতে সন্দেহ নাই। অথচ সামান্য পেয়াদ চাপরাসী কনষ্টেবলের বার্ষিক বেতন পঞ্চাশ-ষাটের অধিক— ৫ ০ {৬ a প্রবাসী—পৌষ, ১৩৩০ ہمیے ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড حمیر حبیبی حمر উপরি পাওনাট। ছাড়িয়াই দিলাম। সুতরাং ইহা খুব জোর করিয়া বল। যাইতে পারে, যে, জিনিষপত্র মহার্য হওয়ায় এদেশে অনেক কোটি সাধারণ লোকের ধেরূপ কষ্ট হইতেছে, নিম্নতম শ্রেণীর সরকারী চাকুর্যেদেরও সেরূপ কষ্ট হয় নাই । উচ্চ, উচ্চতর ও উচ্চতম চাকুর্যেদের অন্নবসেব কষ্ট ত নিশ্চয়ই হয় নাই, উদ্ধত্ত ও সঞ্চয় পূৰ্ব্বাপেক্ষা কমিয়াছিল মাত্র। কিন্তু যে বহু কোটি লোক কাহার ও চাকূর্যে নয়, তাহারা ত কাহাকেও বলিতে পারে ন!, “আমাদের খরচ বাড়িয়াছে, অতএব আয় বাড়াইয়া দাও।” কিন্তু যাহারা সরকারী চাকুর্যে তাহারা তাহাদের মনিব গবর্ণমেণ্ট কে বলিয়ছিল,“বেতন বাড়াইয়া দাও।” বেতন বৃদ্ধি এবং ছুটি ও পেন্‌স্যনাদির সুবিধার জন্য চীৎকার উচ্চতম শ্রেণীর চাকুর্যের অর্থাৎ সমগ্রভারতীয় চাকূর্যেরা ( যাহাদের অধিকাংশ ইংরেজ ) সৰ্ব্বাপেক্ষ বেশী করিয়াছিল। তদনুসারে তাহীদের বেতনাদি বৃদ্ধি এক দফা হইয়া গিয়াছে । তাহাতে তাহারা যুদ্ধের আগেকার সময়ের চেয়ে মোটামুটি শতকর। পচিশ টাকা বেশী পাইতেছে। কিন্তু এই অসামরিক উচ্চতম চাকুর্যেরা ইহাতেও সন্তুষ্ট নহে। তাহারা এরূপ গোলমাল ক<িতে থাকে যেন তাহীদের মধ্যে দুভিক্ষ দেখা দিয়াছে। তাঁহাদের মতে দারিদ্র্যই তাহাদের একমাত্র দুঃখ নহে । নূতন শাসনপ্রণালী প্রবর্তিত হওয়ায়, তাহার বলে, তাহীদের ক্ষমতা মান ইজং প্রভাব কমিয়াছে, কৈফিয়ৎ দিতে হয় বেশী, লোকে সমালোচনা করে বেশী, ইত্যাদি, ইত্যাদি। তবে কিনা, পেটে থাইলে পিঠে সয়, এই নীতি অনুসারে তাহার বেশী টাকা পাইলে এইসব অত্যাচার সহ্য করিতে রাজী আছে ! এই প্রকার সেবুগোল হওয়ায় গবর্ণমেণ্ট, তাহদের (অর্থাৎ প্রকারাস্তরে তাহার। নিজেই নিজেদের ) দুঃখদুর্দশার বিষয়ে তদন্ত করিয়া প্রতিকারের উপায় সম্বন্ধে মন্তব্য প্রকাশ করিবার জন্য একটি রাজকীয় কমিশন (Royal Commission) বসাইয়াছেন লর্ড লী তাহার সভাপতি বলিয়া তাহার নাম লী কমিশন। ইহার সভোরা ভারতের সব প্রদেশে সাক্ষ্য লইয়া বেড়াইতেছেন। SAA MAMA AMAMAMAMeAAA S