পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 e SAe eASAMAe MMAM ASASASA AAA AAAA AAAA S AAAAS —না আমাদের গোড়ার গলদগুলি দূর করবার জন্ত বদ্ধপরিকর হয়ে নিজেকে ও দেশকে প্রস্তুত করে নেওয়া। রবীন্দ্রনাথ তার Nationalism স্বাঞ্জাতিকত গ্রন্থে যে বলেছেন, আমরা সামাজিক দাসত্বের চোরাবালির উপর আমাদের রাজনৈতিক স্বাধীনতার ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত করতে চাই, এটা কি সত্য নয় ? বড়ই অপ্রিয় বলে’ এসব কথার ভিতর আমরা সহজে প্রবেশ করতে চাই না, কিন্তু উটপক্ষীর ন্যায় চোখ বুজে থাকূলেই ত আমাদের জাতীয় দুৰ্ব্বলতার কারণগুলি দূর হবে না। মহাত্মা গান্ধি এটা ভালরূপই জানতেন বলে’ অস্পৃশ্বতা দূরীকরণকে র্তার জাতিসংগঠন-কার্য্যের মধ্যে সৰ্ব্ব প্রধান আসন দিয়েছিলেন। কিন্তু অসহযোগপন্থী মফস্বলের একটি স্বপরিচিত দৈনিক পত্রে আমি দেখেছি, তার সম্পাদক লিখেছেন, যে, গান্ধি মহারাজ স্বয়ং বেণেবংশোদ্ভূত, স্বতরাং তার পক্ষে এ-কথা বলা খুবই স্বাভাবিক হলেও অভিজাতবংশজাত হিন্দু-সমাজের নেতাগণকে তিনি যা বলবেন তাই তাদের নির্বিচারে গ্রহণ করতে হবে এমন কোন কথা নেই! সম্প্রতি ব্যবস্থাপক সভার সভ্যনিৰ্ব্বাচন জন্য সৰ্ব্বত্র যে আন্দোলনের বন্যা বহে গিয়েছে, তাতে শ্রেণী, সমাজ, wife, class, community and race of facil ভেদমূলক যতগুলি সংস্কার আমাদের মধ্যে বদ্ধমূল হয়ে আছে, সেই সংস্কারগুলির দোহাই দিয়ে, উপস্থিত কার্যসিদ্ধির জন্ত, কত তথাকথিত ‘জাতীয়'-পতাকাধারী স্বেচ্ছাসেবক ও তাদের নেতৃবৃন্দ কত কথাই না বলেছেন ! এতে জাতীয় ঐক্যসাধনের মূলে যে কুঠারাঘাত করা হচ্ছে, ঐ বস্তুটি যে আরও স্বদুরপরাহত হয়ে পড়ছে, বাস্তবিক এরূপ দোহাই দেওয়া যে ঘোরতর জাতিদ্রোহিতা, ক্ষণিক উত্তেজনার মোহে এই স্থূল কথাটা কি অনেকেই বিশ্বত হননি ? প্রতিপক্ষের প্রতি ঘোরতর বিদ্বেষ, ভোটদাতাগণের মনের উপর অন্যায় প্রভাব বিস্তারের সর্বাবিধ প্রয়াস, অহিংসাবাদী অসহযোগপন্থী ও সহযোগপন্থী উভয়দলের মধ্যে সমভাবে বিদ্যমান দেখা গিয়েছে। আর-একটি অশ্রুতপূৰ্ব্ব কথা শুনতে পাচ্ছি—‘হিন্দু স্বরাজ্য সদস্য', 'মুসলমান স্বরাজ্য সদস্য। এটা যেন ঠিক কাঠালের আমসত্ত্বের মত। স্বরাজ্যে ত A S A S A S A SAS S S AAAA S S S S AAS AASAASAASAASAASAASAAAS প্রবাসী—মাঘ, ১৩৩e . [ ९थ* छां★, २घ्न थं७ AMSMAeSMAMMAeSAeSAMSAeS AeM AAAAS AAAAAMS AeS eAMAzSAeMAMAMAAAA কোন জাতিভেদ চলতে পারে না—সকলেই ভারতবাসী, ভারতমায়ের সন্তান । যে পাশ্চাত্য জাতির অক্ষুকরণে আমাদের রাজনৈতিক জীবন গড়ে উঠছে, তাদের মধ্যে স্বদেশের অধিবাসী মাত্রই স্বজাতি,—হোক না কেন সে প্রটেষ্টাণ্ট, রোমান ক্যাথলিক বা ইহুদি। রাষ্ট্রীয় বিষয়ে প্রথমতঃ দেশ, তার পর ধৰ্ম্ম । যতদিন আমাদের দেশাত্মজ্ঞান এতটা প্রবল না হয়েছে যে আমাদের রাষ্ট্রচৈতন্য ও জাতীয় ঐক্যবোধ ব্যক্তিগত ধৰ্ম্মের গণ্ডী ছাড়িয়ে উঠতে পেরেছে, ততদিন আবার স্বরাজ কোথায় ? এটাও আমাদের মনে রাখা উচিত, বে, যদি ফরোয়ার্ড পত্রিকার প্রথম সংখ্যায় নির্দিষ্ট কাৰ্য্যনীতিই আমাদের অভীপিত হয়—"no method if it advances the nation's is too mean plans to reach its goal”—co-coià èqto wron উদ্দেশ্ব অনুসরণে আমাদিগকে সাহায্য করে, যতই নীচ হোক না কেন, আমাদিগকে তা অবলম্বন করতে হবে—তা হলে ইংরেজের কুটিল নীতির দোষ ধরি কি বলে’ ? আমাদের যে আধ্যাত্মিক ৪piritual সভ্যতার জয়গানে দিগন্ত নিনাদিত হয়ে ওঠে, তার পরিণাম কি এই ? বস্তুত: যদি আমাদের মূললক্ষ্যগুলি ঠিক থাকৃত, তাহলে এই মোট কথাটা এরূপভাবে আমরা ভুলে যেতে পারতাম না। আমি জানি এ-সকল কথা আমাদের নিকট অত্যন্ত অপ্রীতিকর, স্বতরাং যারা লোকপ্রিয় ভ ননায়ক হতে চান, র্তারা এগুলি এড়িয়ে চলেন। বাঙ্গালী sentimental ভাববিলাসী জাতি ; কোন একটা উত্তেজনার প্রবল আবেগ যখন তার বিচারবুদ্ধিকে ছাড়িয়ে ওঠে তখন যে-কেউ তার বিরূদ্ধে দণ্ডায়মান হয়, ধূর্জটির অলকনিঃস্বত জাহ্নবীর প্লাবনে ঐরাবতের স্যায় তাকে একেবারে ভেসে যেতে হয় । তথাপি দেশে এমন একদল লোক চাই, যারা ভগবানের শ্রেষ্ঠদান যে বিচারবুদ্ধি, লোকপ্রিয় হওয়ার জন্য তাকে বিসর্জন দিতে প্রস্তুত নয়, যারা মানসিক দাসত্বকে সৰ্ব্বাপেক্ষা হীন দাসত্ব বলে’ বিবেচনা করে। জেম্স্ রাসেল লাউয়েলের বিখ্যাত কবিতাটি জীপনারা সকলেই পড়েছেন –