পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] আমাদের লক্ষ্য 88 عبے ھلا SAMAMAMMAMMMMA MMMMMMMMMMM MMMMMMMMMMMSMMMMMMMMMMMMSSMMSMMMMMAMMMMMS ASAAAAS AAAMASAeMAeASAMSAAAA “They are slaves who will not choose Hatred, scoffing and abuse, Rather than in silence shrink From the truth they needs must think, They are slaves who dare not be In the right with two or three.” অর্থাৎ— দাসত্বের অতি হেয় এই ত লক্ষণ, নিন্দা ঘুণ অপযশ না করি বরণ যে সত্য মানসে মম হয় প্রতিভাত প্রকাষ্ঠে ঘোষিতে তারে হই সঙ্কুচিত ; দুই বা তিনের সঙ্গে সত্যপথে যেতে দাসতুল্য সেই, যার ভয় জাগে চিতে। এতক্ষণ রাজনীতির কথা বলা গেল । আমি আর্দ্রকের ব্যবসায়ী, অর্ণবপোতের সংবাদে আমার আবশুক কি, অনেকেই মনে মনে অবশ্য এ-কথা জিজ্ঞাসা কবৃতে আরম্ভ করেছেন । স্বতরাং এবিষয়ে আর বাগবিস্তার না করে’ এই বলে’ই ক্ষান্ত হওয়া যাক যে, অনেক সময় যারা খেলে তাদের চেয়ে দর্শকবৃন্দ ভাল করে খেলাটা দেখতে পায়। যারা ক্রীড়ক, তারা স্ব স্ব ভূমিকা নিয়েই ব্যস্ত থাকে, মোটের উপর খেলাটা কি রকম চলছে, সেটা দেখবার তাদের অবসর থাকে না। এইজন্য রাজনীতি-ক্ষেত্রে একদল চিন্তাশীল দর্শকেরও আবখ্যক আছে, এবং দীর্ঘকাল যাবৎ আমার নিভৃত গৃহকোণে আরাম-কেদারায় বসে আমি পুথিপত্রের মধ্য দিয়ে রাজনীতিচর্চাটা করে আসছি। তবে এটা সত্য যে সাহিত্যসেবাই আমার প্রকৃত প্রিয়বস্তু, তাতে আমি যে অনাবিল আনন্দ উপভোগ করি, আর কিছুতেই তেমন নয়। সুতরাং সেইদিক্ দিয়ে আমাদের লক্ষ্য সম্বন্ধে দু-একটি কথা বলে আজকার মত আমার বক্তব্য শেষ করব । বলা আবশ্বক, আমি কোন সঙ্কীর্ণ অর্থে ‘সাহিত্য’ শব্দটি ব্যবহার করি নি। জন মলি এক স্থলে সাহিত্যের এই সংজ্ঞাটি দিয়েছেন : “The master organon for giving men the precious qualities of breadth of interest and balance of judgment; multiplicity of sympathies and steadiness of sight; ...literature being concerned...to diffuse the light by which common men are able to see the great host of ideas and facts that do not shine in the brightness of their own atmosphere.” এর ভাবার্থ হচ্ছে এই যে, যে পদ্ধতি অমুসঃ করে’ আমাদের মন প্রসার লাভ করে ও বিচার দৃঢ়প্রতিষ্ঠ হয় ; কেবল নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থগুলিতে জ্জিত না থেকে আমরা নানা বিষয়ের সহিত সহানুভূতি দ্বারা যোগ স্থাপনে আগ্রহবান হই এবং আমাদের স্থির দৃষ্টি লাভ হয় ; আমাদের মানসক্ষেত্রে যে-সকল ভাব ও তথ্য স্বয়ম্ভাত হয় না,—সে-সকল বিষয়ে যে বৃত্তির সাহায্যে আমরা অস্তদৃষ্টি লাভ করি, সেই পদ্ধতি ও সেই বৃত্তি যে উপাদান অবলম্বনে বিকাশলাভ করে, তাকেই সাহিত্য বলা চলে । সুতরাং সাহিত্যের এই সংজ্ঞার মধ্যে দর্শন বিজ্ঞান সকলই অমুস্থত। এই যে সম্যগদর্শন যেটা সৎসাহিত্যামুশীলনের চরম ফল ও বিশেষত্ব, এটা কি পরম সাধনার বস্তু নয় ? এই আদর্শ কি আমাদের অন্তর্নিহিত মনুষ্যত্বকে উদ্বোধিত করার পক্ষে প্রচুর নয় ? সত্য বটে, ইহা সহজলভ্য নয়, স্বতঃস্ফূৰ্ত্ত হয় না। কিন্তু কোন সাধনার জন্যই ত রাজকীয় রাস্ত তৈরি নেই। "সহজিয়া" মত ও সহজিয়া সম্প্রদায় বৌদ্ধ ও বৈষ্ণব সাধনকে কি গভীর পঙ্কে নিমজ্জিত করেছিল, সেটা ত ভারতীয় ধৰ্ম্মের ইতিহাসতত্ত্বজ্ঞের নিকট অপরিচিত নেই। বিবেকানন্দ বজ্ৰগম্ভীরনির্ঘোষে পুনঃ পুনঃ আমাদিগকে সাবধান করে’ দিয়েছেন, চালাকি দ্বারা কোন মহৎ কার্য্য সম্পন্ন হয় না। ফাকি ধরা পড়বেই, মেকি কিছুদিন চললেও বেশী দিন চলবে না। অতএব যারা সাহিত্যের অন্তরঙ্গ অনুভূতিগুলির সঙ্গে সাক্ষাৎকাব লাভ করতে চান, তাদের গোড়া থেকেই লক্ষ্য স্থির করে চলতে হবে। সৰ্ব্ববিধ আমোদ প্রমোদ থেকে আপনাকে বঞ্চিত রেখে, চক্ষু কোটরগত করে’ গ্রন্থকীট হয়ে অকালবাদ্ধক্যকে বরণ করে নিতে হবে, আমি একথা বলছি, এটা যেন কেউ মনে না করেন। জীবনটাকে সরস রাখতেই হবে, রোমান কবি টেরেন্সের ভাষায় বলব, মানুষ আমি, অতএব মানবের সর্ববিধ প্রচেষ্টা ও স্বথদুঃখের সঙ্গে আমার যোগ রক্ষা করে' চলতে হবে । কিন্তু প্রত্যেক শিক্ষিত , মামুষেরই কৰ্ম্মজীবন ছাড়া আর-একটা জীবন আছে, যা, তার প্রাণটিকে