পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা | ھے۔ یه۔ ব্যাপার মাছ গৃহস্থের দরজায় এনে দিচ্ছে, সেইজন্যই ব্যাপারীর শ্রমের একটা মূল্য আছে। সে মাছের তৃপ্তিদণনক্ষমত বাড়িয়ে দিচ্ছে, বলা যায়। জঙ্গলে কাঠ আছে বলে' দিলে, ত, গৃহস্থের উচুন জলে না ; কাজেই কাঠুরের শ্রমের একটা মূল্য আছে । সে, কাঠ যেখানে কাজে লাগবে, সেইখানে এনে দিচ্ছে, অর্থাৎ কিনা কাঠের তৃপ্তিদানক্ষমতা বাড়িয়ে দিচ্ছে । অন্য ভাষায় বলা যায়, যে, কাঠুরে প্রকৃতির কাছে পাচ্ছে জঙ্গলের কাঠ, আর নিজের শ্রমে তাকে করে তুলছে উতুনের কাঠ । কয়লার খনির কৃলি প্রকৃতির কাছে পায় মাটির তলীর কয়লা, আর নিজের শ্রমে তাকে করে তুলছে মাটির উপরের কয়লা । মুক্ত-উত্তোলক প্রকৃতির কাছে পাচ্ছে জলের তায় শুক্তি, নিজের শ্রমে তাকে করে তুলছে গলার তারের মুক্ত। জঙ্গলের কাঠ ও উস্তনের গোডার কাঠ, মাটির তলার কয়ল ও মাটির উপরের কয়লা, জলের তলার শুক্তি ও গলার হারের মুক্ত, এসবের কি প্রয়োজনীয়তাসিদ্ধির ক্ষমতা বা প্রয়োজনীয়ত সমান ? দ্বিতীয় গুলির যদি প্রয়োজনীয়তা বেশী থাকে, ত, বেশীব ভাগটা আসছে কোথা থেকে ? উত্তর ?--মাতুমের শ্রমশক্তি থেকে । প্রাকতিক জিনিষেব স্থিতি পরিবর্তন করে” কেমন করে’ মাহুষের শ্রম তার প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি করে, ত৷ আমরা দেখলাম । এখন দেখব, কি করে বিভিন্ন প্রাকৃতিক জিনিষ মিলিয়ে বা প্রাকুতিক জিনিষের আকৃতি পরিবর্তন করে শুধু শ্রম-সাহায্যে ( বা অন্য কোন প্রাকৃতিক জিনিষের সাহায্যে ) মাহুষ ভোগ্য উৎপাদন করে । রন্ধন, নানা জিনিষ মিলিয়ে ভোগ্য উৎপাদনের একটি উদাহরণ। তাপের ও জলের সাহায্যে মাটি থেকে ইট তৈরী করা আর-একটি উদাহরণ । মানুষের শ্রম কেমন করে প্রকৃতিকে ভোগযোগ্য করে’ তোলে এর দ্বারা বোঝা যায় । - নানা জিনিষ মিলিয়ে দেওয়া বা একটার সাহায্যে আর-একটিকে বদলান, বিশ্লেষণের দিক থেকে জিনিষের স্থিতি পরিবর্তন ছাড়া আর কিছু নয়। আলুর স্থিতি ক্ষেত থেকে কড়ায় .এনে ফেলা এবং সেক্ট একই কড়াম স্বাচ্ছন্দ্যবিজ্ঞানের কয়েকটি মূলসূত্র SSAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSASAS SSeAe eMASAMAAAA SAS A SAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSASAS A SAS SSASAeAMAAAS আর : oq পটল, মশলা, তুন ইত্যাদি নানা জায়গা থেকে এনে ফেলা ও কড়ার তলায় তাপের সংস্থান দ্বারা রন্ধন হয় । একে প্রাকৃতিক জিনিষের স্থিতি পরিবর্তন ছাড়া আর কি বলা যায় ? গাছের গুড়ি কেটে টেছে টেবিল তৈরী করা শ্রমের সাহায্যে প্রাকৃতিক জিনিষকে নূতন আকৃতি দেওয়ার উদাহরণ। বড় জোর অন্য কিছুর মিশ্রণে তাকে পালিশ করে" তোলা হয় বা তার অংশগুলিকে একত্র রাখা হয় । কাঠ ও পালিশ একত্র স্থাপন, কাঠ ও পালিশের স্থিতি পরিবর্তন ছাড়া আর কিছু নয় । কাঠকে টেবিলের আকৃতি দান করা ও কাঠের নান অংশ বাদ দিয়ে বাকিটুকু রাখা ছাড়া আর কিছু নয় । এক্ষেত্রে বলা যায়, যে, মাতুষ নিজভ্ৰমে বাদ দেওয়া অংশগুলির স্থিতি পরিবর্তন করল । এখন দেখতে হবে মূলধন কি । মূলধন সেই ধন, যা অন্য ধন উৎপাদনের মূল । যে-ধনের সাহায্যে নূতন ধন উৎপন্ন হয়, তাই মূলধন । কিন্তু তা হলেও মূলধন ধন ছাড়া আর কিছু নয়। অন্য সব ধনেব মত প্রকৃতি ও মানুষের সাহায্যেই মূলধন উৎপন্ন হয়। কেবল ভোগের উদ্দেশ্যে মূলধন উৎপাদন করা হয় না, ভোগ্য উৎপাদনের সহায়তার জন্যই মুলধন উৎপাদিত হয। অবশ্য ভোগের জন্য যা উৎপাদন করা হয়, তাকে ও মূলধনকুপে অনেক সমম ব্যবহার করা যায় । মূলধনকেও ভোগ্য বলা চলে, যদি ও তার ভোগ অন্ত ভোগ্যের ভিতর দিয়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে অনেক কাল ধরে হয় । প্রকৃতির থেকে উপকরণ সংগ্রহ করে’ মাহুষ একটি জাহাজ তৈরী করল । আর কবুল লোহার বড়শী ও তাতের দড়ী এবং মাছ ধরার জাল . এগুলি মাতুষ অবিলম্বে ভোগ করতে পারবে, এ-অাশায় উৎপাদন করেনি। আশা এই যে, বহুকাল ধরে’ এরই সাহায্যে সমুদ্রের মাছ ধরা যাবে । এখন এই জাহাজ ও মাছ ধরার সরঞ্জাম হচ্ছে মূলধন । মূলধন ভোগ্য হলেও সাক্ষাৎ ভাবে নয় । কেউ কেউ মূলধনের কোন কোন শ্রেণীকে যন্ত্র জাতীয় ভোগ্য নাম দেন । কিন্তু একথা বলে রাখা দরকার, যে, মূলধন হলেই