পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

名仓8 আছে ; আর কতকগুলি গাছ কুঞ্চিত পালকগুচ্ছের মত যেন সাজানো রহিয়াছে এবং খুব নীচে ঝু কিয় পড়িয়াছে । এই তরুমণ্ডপটি উচ্চ আকাশে মাথা তুলিয়া আছে—দীর্ঘ ও ভঙ্গুর বৃস্তগুলা উহাকে ধারণ করিয়া আছে। এই বুস্তগুলা খাগড়ার মত নমনীয়। একটা চিরন্তন ছায়ার মধ্যে, একটা স্বচ্ছ হরিৎ রাত্রির মধ্যে, লোকেরা চলাফের। করিতেছে। সন্ধ্য প্রায় ৫টার সময়, জাহাজ হইতে বালুবাশিব উপর নামিয়া পড়িলাম। একটা শীর্ণকায় নদীর মুখ। আমি স্বদুর হইতে—শেষপ্রাত্তিক এসিয়া হইতে অীবীর ফিরিয়া আসিয়াছি । ভাবতের এই মোহিনী শোভা, এই উজ্জ্বল প্রভা আমি প্রয় ভুলিয়াই গিয়াছিলাম। এই সমস্ত অনন্তসাধারণ ও অতুলনীয় সামগ্রী আবার পাইয়া আমি মুগ্ধ হইলাম। বে নদী দিয়া আমি অীদিলাম, সুর্য্য অস্তগামী হইলেও সমস্ত নদীকে কিরণে রঞ্জিত করিয়াছে ; কতকগুলি তালপুখ সুৰ্য্যের করম্পশে আশ্চৰ্য্যরকম সোনালি হইয়া উঠিয়াছে এবং মনে হইতেছে অtকাশ যেন সোনার ধুলtয় সমাচ্ছন্ন। আমব ডিঙ্গি তীরে ভিড়িতেছে দুই নদীর তটদেশে, বিশাল সবুজ পর্দার মত এইসব তালগাছের নীচে, কতকগুলি লোক দাড়াইয় তাহাই দেখিতেছে। উহার সাদা লাল অথবা হলুদে বসনে আচ্ছাদিত হইয়া, দেবতার মত চমৎকাৰ ভঙ্গীতে দাড়াইয়া আছে । তাহার, এবং তাঁহাদেব গাছপাল, তাহদেব দেশ, তাহাদের আকাশ, সমস্তই মনে হয় যেন একটা দেব-ছাতিতে পরিমাত । একটা বারাণ্ডওয়াল গৃহ-সাদ। ধপ ধপে,—সবুশ-জালালা-খড়গড়ি বিশিষ্ট-জলের ধারে, অন্তরীপের মত একটা শৈলথণ্ডের উপর স্থাপিত । সুন্দর বাড়ীটি খুব পুরাতন,—ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পাণীব আমলের ; এই ছায়া-নিবিড় উপনিবেশটি এই কোম্পানীর শাসনাধীনে ছিল । বালুভূমির উপর দিল্প কয়েক পা গিযই একটা নিম উদ্যানে প্রবেশ করিলাম—এই উদ্যান এই গৃহেরই সংশ্লিষ্ট । উদ্যানেব মাথার উপরে-যেমন সববত্র—সবুজ গাছপালার খিলনি-মওপ প্রসারিত। এই মধুর ছায়াতলে অসিয। মনে হয যেন এক পীর উদ্যানে অtসিয়াছি ;–লীন প্রকার অজ্ঞা ত ফুল, ফুলের মত পীতlপল্লবও সমুজ্জ্বল ও নেত্রাকর্ষক :- বেগুনী লাল, সাদা ও হলুদে-ফুটুকিদেওয়—বিচিত্র বর্ণের ; যেন চিত্রকরেব স্বেচ্ছানুসাবে নানা বর্ণে চিত্রিত। সেকালের ধবণে বাগানের ভিতব ছোট ছোট গলি-পগ, পাথরের বেঞ্চি শেওলা পড়িয়া সবুজ হইয়। গিয়াছে। ভুসম্পত্তির মালিক মরিয়া গেলে কোন পল্লী যেরূপ হয়—এই উদ্যানটি যেন সেইরূপ জীর্ণ ও পরিত্যক্ত আকার ধারণ করিয়ছে । বাগানে প্রবেশ কবিয়া, ফটকের দবঞ্জাট। আবার বন্ধ করিয৷ দিলাম। রাস্তার মত একটা-কিছু যেন আমার সম্মুখে : - এই রাস্তটা অতিকষ্টে তালীবন ভেদ করিয়া চলিয়ছে ; দেখিলে মনে হয় যেন দক্ষিণ ফ্রানদের আমাদের কোন গ্রামকে স্থানন্তরিত করিয। এখানে বসানো হইয়াছে এবং বিষুব-রেগাবৰ্ত্তী প্রদেশ-স্বলভ শক্তিশালী বস ইহাকে একেবাবে পিষিয়া ফেলিবে : বড় বড় তালগাছ ছায়াব মধ্যে অবস্থিত ; কিন্তু উহাদের মাথা এখনও অস্তগামী স্বর্ষ্যের দ্বারা কনকরঞ্জিত ; এবং এই ছোট ছোট গ্ৰহ গুলি, উহাদের উদ্বেীথিত দীর্ঘ বৃত্তগুলার কাছে কি নীচুই মনে হয । . এখানে একটি ছোট নগরদালান আছে ; উহার উপর তে-রঙা নিশান উড়িতেছে, লাল জাম। গারে, তামবৰ্ণ সিপাহির ফটকের সম্মুখে পাহীর দিতেছে ; এখানে অদ্ভুত রকমের একটা ছোট হোটেল আছে –কোন মুসাফিরদের জন্য কে জানে ; একটি ছোট পাঠশাল অtছে, ছোট ছোট কতকগুলি BBB BS BB BBBB BBBBBgg BBS gg KBBBB K প্রবাসী—মাঘ, రిరిe [ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড AAA S S S AAAA S SA SAS SSAS SSAS SSAS AAAA S AA SAASAASAASAASAASAASAA AA ASASASA AAAAAS AAAAAA SAAAA AAAA AMMAAA AAAA SAAAA S AAA S AAAA S কেনে । তাহার পর, আর কিছুই নাই ; উহারই জের স্বরূপ কতকগুলী দীর্ঘ তরুবীথি বরাবর প্রসাবিত হইয় হরিৎপুঞ্জের গভীর দেশে বিলীন হইয়া গিয়াছে : মাটির রং রক্তাভ, উহাতে পড়িয় শাখাপল্লবের রং যেন আরও উজ্জ্বল ও অলৌকিক আকার ধারণ করিয়াছে। উপরে যেখানে মধ্যে মধ্যে তালবন একটু বিরল হইয় পড়িয়াছে সেইখানকার আকাশের র্যাকগুল আলোকে উদ্ভাসিত হইয়া উঠিয়াছে এবং খুব গষ্ঠীর বলিয়। মনে হইতেছে। রাস্তার দুইধারে যে-সব তালগাছের পালকগুচ্ছ দুলিতেছে, সেই নমনীয় গাছগুলীর মধ্যে, বাজপাখীর ঝাক ককশস্বরে চীৎকার করিতে করিতে ক্রমাগত যাওয়া অস করিতেছে। সমস্ত প্রকৃতির মধ্যে, জীবজন্তুদের মধ্যে, উদ্ভিদদিগের মধ্যে, একটা জীবন-তরঙ্গ যেন উথলিয়া উঠিতেছে ; কিন্তু উহার মধ্যে নিমজ্জিত ক্ষুদ্র নগরটি যেন মৃত । এইসব ছায়াময় পথে যে সকল লোক দেখিতে পাওয়া যায় তাহারা সকলেই স্বশী শাস্ত উদার-প্রকৃতি ; উহাদের বড় বড় মথ মলের চোথ—সেই কালে রহস্তময় চিত্তবিমোহন ভারতীয় চোখ । বক্ষদেশ অৰ্দ্ধনগ্ন ; উহাদের শরীর প্রাচীন গ্রীসীয় ধরণে সাদ| কিংবা লাল মসূলিণ-কাপড়ে অচ্ছাদিত । রমণীগণ দেবীর দ্যায় সাজসজ্জায় বিভূষিত ; উহাদের পীতাভ স্বন্দর কণ্ঠদেশ দেখা যাইতেছে,—গ্ৰীকৃ মাবেলেব যেন প্রায়-অতিবন্ধিত তাম্র-প্রতিরূপ বলিলেও হয় । পুরুষদের ফোলানে বুক, শরীবের গড়ন রমণীদিগেরই মত পাত ল', কেবল কঁধ অপেক্ষাকৃত চওড়া ; নীলকৃষ্ণ গুঞ, প্রাচীন গ্রীক্ ধরণে সুঞ্চিত। আমাদের, চামদেব মত উহব ফবাসীতে “বো জুর” বলে ; এবং ঐ কথা বলি বব সময, তাহারা অামাদেরই নিজের লোক এই মনে করিয়া, উহাদের মুখে একটা গৰ্ব্বেব ভাব প্রকাশ পায় । উহাদের ইচ্ছা একটু দাড়াইয়া আমাদের সহিত কথাবাৰ্ত্ত কহে । যাহারা আমাদের ভাষায় একটু কথা কহিতে পাবে, তাহার একটু হাসিয়া যুদ্ধের সম্বন্ধে, চীন দেশের ব্যাপারাদি সম্বন্ধে, কথা আরস্ত করিয়া দেয়। বলে—“আমাদের নাবিক, আমাদের দৈনিক” ... ইহা অনপেক্ষিত ও অদ্ভুত। ই, উহার যেন এইখানে ঠিক ফ্ৰান্সেই আছে। এখন আমার মনে পড়িল, একবাব, ( Saigon ) সাইগোর আদালতে কি-একট। অপরাধে অপবাধী একজন ভারতবাসীর বিচার চলিতেছিল ; বিচারক কসিকান মেজিষ্ট্রেট, অসভ্য জ্ঞানে সেইভাবে তাহার সহিত ব্যবহার করযে, সে উত্তৰ দিয়াছিল ? -“তোমাদের দুইশত বৎসর পূৰ্ব্বে আমবা ফরাসী হইয়াছি ---” এথানে একরকম ঢাকা শকট দেপা যায়—উটের মত কক্ষুদ-বিশিষ্ট দুইটা সদ গবতে টানিয়া লইয়া যায় ; উহাদের অভূতরকম নিস্তাভ লম্বা মুখ। এপ্রদেশেব ইহাই একমাত্র যান-বাহন ; উহার টেলিচারি কিংবা কোনানোরে চড়নদীর লইয়া যায়। ঐ দুইটি সবচেয়ে নিকটবৰ্ত্তী ইঙ্গ-ভারতীয় নগর। সহরের রাস্তার মত, অনেকগুলা চওড়া চওড়া রাস্তা, তালীবনের ভিতর দিয়া অtড়া-অড়ি তবে চলিয়া গিয়াছে । প্রায় সব রাস্তাই মাটির ভিতরে নিমজ্জিত-- তাই, আরও অর্জি ও ছায়ানিবিড় । উহাদের দুই ধীরে সে মাটির ঢিবি আছে, তাহ সুন্দর পাতা-বহারে ও সুন্দর শৈবালে মণ্ডিত । এখানকার ঘননিবিড় অরণ্যের মধ্যে,—“ময়ে” যে সময় একটা বড় নগর ছিল, সেই সময়ে তাহার চারিদিক্‌ বেষ্টন করিয়া যে প্রাচীর ছিল, সেই প্রাচীরের চিহ্ন সকল দেখিতে পাওয়া যায়! চৌদ্দ লুই আমলের ফটকের ভগ্নাবশেষ, টানা-পুলের ভগ্নাবশেষ ৷ ফলতঃ এই উপনিবেশের মধ্যে যাহা কিছু পুরাতন—আজিকার দিনে,—সমস্তই পরিত্যক্ত । আমাদের পাশ্চাত্য নগরদিগের দ্যায় উইtরও একটা অতীত আছে । উহার গৌরবান্বিত শতাব্দীর স্মৃতিগুলি,—যাহা এক্ষণে উদ্ভিজ্জষ্ঠামল শবতাচ্ছাদনে আবৃত