৪৬২ গৌর-বাবু এর পর থেকে একটু সাবধান হলেন। সন্দেহ হলেই কিছু করেন না। কিন্তু চেষ্টা যতই করুন না কেন— চোরকে বা হরি-বাবুর কাগজে তার কাগজের সব খবর কেমন করে যায়ু এ তিনি কোনো রকমেই ধরতে পারলেন না । তার চটা মেজাজ আরও যেন চটে উঠতে লাগল। কোনো কারণ নেই সেদিন গ্রেসের দারোয়ানকে অনাবশ্যক ঘা-কতক দিয়ে তাড়িয়ে দিলেন। আর একদিন আপিসের গোপাল-বাবুকে সন্দেহ করে তাকে কাজ থেকে ছাড়িয়ে দিলেন। অনেক পুরানো লোক গেল—নতুন লোক এল, তাতে কাজের আরো গোলমাল হতে লাগল—গৌর-বাবুর মেজাজও আরো খারাপ হতে লাগল। শেষে একদিন গ্রেসের দেড়ে কালীওয়ালাকে বিশেষ-কিছু-ঘনিষ্ঠ সম্বোধন করার জন্য সে গৌর-বাৰুর মাথায় একটিন নীল কালী ঢেলে দিয়ে চলে’ গেল । এদিকে হরি-বাবুর “চন্দ্রের’ কাটুতি বেড়ে চলেছে। গৌর-বাৰু এখন আর বাড়ীতে প্রায়ই থাকেন নাগ্রেসেই সব সময় থাকেন । তার সামনেই সব কাজ হয় । গ্রেসের মধ্যেই লোকজনদের খাবার ইত্যাদির বন্দোবস্ত করা হয়েছে। প্রেসের গেটে খুক্রি কোমরে বেঁধে গুরুখ দারোয়ান—কোনো লোক কোনো রকমের কাগজ নিয়ে বাইরে যেতে পারেন—সব গৌর-বাবুকে দেখিয়ে নিয়ে যেতে হয় । তবুও কিছুতেই কিছু হয় না। চন্দ্রের কাটুতি বেশ হতে লাগল-গোলকের অবস্থা ক্রমশ মন্দ হয়েই চলল। শেষে গৌর-বাবু একদিন করলেন কি-কতকগুলো বিষয়ে ছোট ছোট নোট নিজে লিখলেন। নিজে তার প্রফ দেখলেন–নিজের সামনে ম্যাটার প্রেসে চড়ল। মনে কলেম চন্দ্রকে এবার জব্দ করেছি। পরের দিন দেখলেন যে গোলকের "নিজস্ব সংবাদ-দাতার পত্র" ইত্যাদি সবই “চন্দ্রে”ও ছাপা হয়েছে। গোর-বাৰু ভেবে পান না— এ! কি রকম করে’ হতে পারে। "চন্দ্র” আর "গোলক” একই সঙ্গে বেরয়। কাজেই এ হতে পারে না যে ‘চন্দ্র’ ‘গোলক’ থেকে মকল করে । প্রধাসী-মাঘ, $రిళిe eeA AJAAAA SAS S S AAAAAS SSAS SSAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSASJAAA AAAA AAAAA ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড عیسی معیسی-صیتی عیسی مصمیم প্রেসে গৌর-বাবু লোকজনের উপর পাহারা দেবার জন্তে লোক রাখলেন দুজন—এবং নিজে তিনি সেই দুজন লোকের উপর চোখ রাখলেন। গৌর-বাৰু একদিন দুপুরে খেতে বাড়ী গেছেন— র্তার ঘরে ঢুকেই তিনি দেখলেন যে তার সেজ ছেলে কি-একটা কাগজ পড়ছিল, তাকে দেখেই হঠাৎ কাগজখানা নিয়ে দৌড় দিল । গৌর-বাবুর মনে হল পয়সার জন্ত লোকে সবই করতে পারে। ছেলেও বাবার সর্বনাশ করতে পারে। বাবাও যে পারে না তাও নয়। তার দৃঢ় বিশ্বাস হল যে গজেন নিশ্চয়ই র্তার দেরাজ থেকে কাগজপত্র চুরি করে চন্দ্র-সম্পাদককে বিক্রি করে। কি করবেন ভাবছেন এমন সময় দেখলেন গজেন তার চটি তাড়াতাড়িতে পরে’ যেতে পারে নি। তখন গৌর-বাবু করলেন কি—একটা কম্বল জড়িয়ে দুয়ারের অন্ধকার কোণে চুপ্ করে দাড়িয়ে রইলেন। তার গ৷ যামে ভিজে গেল। গজেন আর যেন আসেই না । এই রকম ভাবে প্রায় এক ঘণ্টা কেটে গেল । গজেন এদিকে করেছে কি-থানিকক্ষণ বাইরে বেড়িয়ে—“বাবা এতক্ষণে বাইরে গেছেন” মনে করে'—পা টিপে টিপে যেই ঘরে পা দিয়েছে—আমনি তার ঘাড়ে কম্বল-জড়ানো গৌরবাবু গিয়ে পড়লেন। গজেন বাবা রে" বলে অজ্ঞান হয়ে পড়ল । গৌর-বাবু তখন কম্বল ছেড়ে দাড়িয়েছেন, র্তার সমস্ত গা দিয়ে দরদর করে’ ঘাম পড়ছে। রাগে তার চোখ দুটো যেন জল্ছে। গোলমাল শুনে গৌরবাবুর স্ত্রী, বড় ছেলে রমেন, মেয়েরা এবং চাকরবাকর দু-একজন এসে দাড়িয়েছে। গৌর-বাবু চেচিয়ে তার স্ত্রী থাকহরিকে বললেন—তোমার গুণের ছেলের কাও দেখ—আমার সূৰ্ব্বনাশ এমনি করেই করছে— । থাকহরি বললেন—কি সৰ্ব্বনাশ ? হ্যা—গ, তোমার কি করেছে গজা ? “এই দেখনা কি সৰ্ব্বনাশ”—বলেই গৌর-বাৰু গজেনের পকেট থেকে টেনে একটা কাগজ মোড়া অবস্থায় বার কম্বুলেন— । কাগজখানা বার করে’ই সোজা করে' ধরে' জোরে জোরে পড়তে আরম্ভ করলেন - عین مره متمامی حمایی حمایی
পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৭২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।