পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] ও আসবাব থাকে। সমস্ত ষ্টেটের প্রতিনিধি মিলে কেন্দ্রগভর্ণমেণ্টের আইনসভা অর্থাৎ মন্ত্রীসভা ও সভাপতি নিৰ্ব্বাচন করে। সভাপতি রাজ্যের কৰ্ম্মচারীদের পাণ্ডা ; যদিও তিনি ও মন্ত্রীরা জনপ্রতিনিধিদের মধ্য হ’তেই গৃহীত, তথাপি তার চাকরীজীবী কৰ্ম্মচারী নন। মার্কিন যুক্ত-রাজ্যের ব্যাপার প্রায় এই রকমই। কিন্তু কানাডার একটু বিশেষত্ব আছে ; সেখানে ষ্টেটু গভর্ণমেণ্ট, কেন্দ্র বা central গভর্ণমেণ্ট, আইনসভা মন্ত্ৰীসভা প্রভৃতি সকলই আছে, কেন্দ্র-গভর্ণমেণ্টে প্রধান মন্ত্রী ও আছেন ; কিন্তু কানাডা তো যুক্তরাজ্যের মত একেবারে মুক্ত নয়, তাই সেখানকার রাষ্ট্রের উপরে ব্রিটিশ আধিপত্যের নিদর্শনরূপে, কার্যতঃ অধিকন্তু, একজন ব্রিটিশ গভর্ণর থাকেন , ইনি বিশেষ কিছু ক্ষমতা পরিচালন করেন না। সম্প্রতি কানাডাকে আরও একটু স্বাতন্ত্র্য দেওয়া হয়েছে ; কানাডা যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাণিজ্য-সন্ধি করেছে । তা ছাড়া ব্রিটিশ গভর্ণর কানাডার পালামেণ্টের গ্রহণীয় হওয়াও চাই, এমন কথা ও উঠেছে । দক্ষিণ-অফ্রিকার প্রজাতন্ত্রে ও ব্রিটিশ রাজপ্রতিনিধি জনসভার কাজে বাধা দেন না, বা জনসভাতে পাশ-করা কোন আইন তার ভেটো বা নাকচ করার ক্ষমতা থাকলেও তিনি সে ক্ষমতা পরিচালন করেন না, বা করতে সাহস পান না । আর আমাদের শাসন-সংস্কারের ভারতে গভর্ণর জেনারেলের ভেটো করার ক্ষমতা এমনই অবাধ ও অপ্রতিহত যে এটা যখন-তথন সম্মিলিত জনমতকে অগ্ৰাহ করে’ কোন নূতন আইন পাশ বা কোন নূতন প্রস্তব নাকচ করতে পারে। সেদিন লবণশুল্কের অতিবৃদ্ধির বিষয়ে এটা সকলেই হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন। ( এই উপনিবেশ-গভর্ণমেণ্টগুলির অৰ্দ্ধ-নিজস্ব নিশান আছে ; নিশানে ব্রিটিশ “ইউনিয়ান জ্যাকৃ” ও তার কোলে ঔপনিবেশিক স্বাধীন পতাকার চিহ্ন আঙ্কিত আছে। এখানে এট। উল্লেখযোগ্য ধে, ভারত-শাসন-সংস্কারে ভারতের জন্য এরূপ কোন নিশানের প্রস্তাব নাই ) । প্রজাতন্ত্র গভর্ণমেণ্টের জননী বিলাতের গভর্ণমেণ্টের গড়ন ( constitution ) বিষয়ে অনেক কথা বলার আছে ; তার আলোচনার স্থান এখানে হবে মা ! মুক্তিপ্লাবন 8❖ጫ AeAeAee AeMAeAeMASAMAMAAAA তবে গভর্ণমেণ্টের সৰ্ব্বেসৰ্ব্ব পালামেণ্ট মহাসভার কথা একটু বলব । হাউস অব কমন্স ও হাউস অব, লর্ডস এই দুইএ মিলিয়ে পালামেণ্ট ৰলা হয় ; এরাই আইনের কৰ্ত্তা। কিন্তু সাধারণতঃ পালামেণ্ট বলতে লোকে হাউস অব কমন্স ও সাধারণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সভাই বুঝে। অভিজাত সম্প্রদায় ব! লর্ডসদের সভাকে হাউস অব লর্ড বলে । কমন্স সভায় সাত শতেরও বেশী সভ্য আছে। সার। দেশটা হতে সভ্য নিৰ্ব্বাচন করে পাঠান হলে কমন্স সভায় যে দলের জনবল বেশী দেখা যায় সেই দলের থেকে সকলের চেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিকে ডেকে রাজা প্রধানমন্ত্রীত্ব দেন। প্রধান মন্ত্রী নিজের সহকৰ্ম্মী অন্যান্ত বিভাগীয় মন্ত্রীদের নাম রাজসদনে প্রস্তাব করলে সেইমত নিয়োগ হয়। প্রধান মন্ত্রী ও তার পরিষদের রাজ্যের সর্বপ্রধান কাধ্যকরী সভ। (cabinet & AeeAAAS SASAAAAASA SAASAASAAAS executive ) or করেন । তিনি ও তার সভা কমন্স, সভার কাছে দামী ; মন্ত্রীরা সেখানে দলে পুষ্ট ; অন্যান্য দলের লোক সাধারণতঃ আর-একটা দল পাকিয়ে মন্ত্রীদলের কাজের সমালোচনা করে ; এই সমালোচনা রাজনীতিক্ষেত্রে বিশেয আপশুক । সমালোচনার দলকে গভর্ণমেণ্টের অপোজিশন বা প্রতিপক্ষ বলে। পালামেণ্টে সভ্যেরা কোন মৃতন আইনের প্রস্তাব করতে চাইলে সেটা বিলের আকারে কমন্সে তিনবার পড়তে হয় । প্রথম দুবার পড়া হ'লে প্রস্তাবটি সমস্ত হাউস্ অব কমন্স কে কণিটিতে পরিণত করে সেখানে তার এক-এক অংশ ধরে' আলোচন। ছটিকটি করা হয় ও ভোটে গ্রাহ হলে পর গ্রহণ করা হয় । তার পর একদিন ঐ বিল সমস্ত হাউস অব কমন্সের বিবেচনাধীন থাকে। বিবেচনার শেষে উহা অাবরি তিনবার কমন্সে পড়া হয় । এর পব বিল লর্ড সে যায় ; সেখানে সৰ্ব্বসমেত তিনবার পড়ার মধ্যে কোন পরিবর্তন না হলে রাজকীয় অনুমোদনে আইনে পরিণত হয়। কিন্তু লর্ডস সভা কোন পরিবর্তন প্রস্তাব করলে বিল কমন্সে ফিরে যায়। তখন তার পুনবিবেচনা আরম্ভ হয় । অনেক সময়ে কমন্সে দুবার বিল পড়া হলে সমস্ত হাউসের কমিটিতে তাকে ফেলা