পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8&ს• می..۔ হয় না ; কমন্সের অনেকগুলি ষ্ট্যাণ্ডিং কমিটি আছে ; সেগুলি মন্ত্রীদের পক্ষীয় ও সমালোচনাকারী প্রতিপক্ষের লোক নিয়ে গড়া। এ ব্যবস্থাতে হাউস একই সময়ে অনেকগুলি কমিটিতে ভাগ হয়ে অনেক কাজ করতে পারেন ; এতে সময় সংক্ষেপ হয়। পালামেণ্টে বাজেটু আলোচনা ও টাকা সরবরাহ ব্যাপারে জনপ্রতিনিধিরা বিভাগীয় মন্ত্রীদের উপর বেশ একটু কর্তৃত্ব করার অবসর পান । গণতন্ত্রের মূলমন্ত্র তিনটি—সাম্য মৈত্রী স্বাধীনতা— অধ্যাত্মরসে সিঞ্চিত হলেই প্রাণময় হয়ে উঠে। আধ্যাত্মিক জীবন তথা অনুষ্ঠান-প্রতিষ্ঠানের উপর প্রতিষ্ঠিত হতে পারলেই এগুলির সার্থকতা হয়, প্রকৃত গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা হয়। পাশ্চাত্য গণতন্ত্র এযাবৎ যন্ত্র বা পদ্ধতির গণ্ডীর মধ্যে বেশী আবদ্ধ হয়ে পড়াতে, তার আবিষ্কারের দিকেই বেশী ঝোকাতে তেমন বিকশিত হতে পারছে না। আর এক কালে প্রাচীতে দরবেশী গণতন্ত্রের মন্ত্র মুসলমানের কাজে ও জীবনে প্রথম কয়েক দিনের জন্য জয়যুক্ত হয়েছিল বটে, কিন্তু উপযুক্ত যন্ত্রাভাবে ও পরবর্তী সময়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট ও ব্যক্তিগত স্বার্থে কলুষিত হওয়াতে তা স্থায়ী হতে পারে নি। স্বতরাং ভাবকে ধরে রাখতে হ’লে তার উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান ও যন্ত্রপদ্ধতিরও বিশেষ রকম দরকার আছে। তবে সাফল্য বিষয়ে এ দুএরই বিকাশে সামঞ্জস্য থাকার দরকার ; কোনটিই আরটিকে অবহেলা করে আগুয়ান হ'তে পারে না । গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মানে রাজশক্তিকে নষ্ট করা নয় ; এর মানে হচ্ছে এই যে প্রকৃত রাজ-ক্ষমতাকে মুষ্টিমেয় রাজকাৰ্য্যনিৰ্ব্বাহকদের (executive) হাত হতে জনসাধারণের হাতে নেওয়া ; অবহু রাজক্ষমতা জনসাধারণের করতলগত হলে executiveএর যে কাজ থাকৃবে না তা নয়, executive কৰ্ম্মচারীরা তখন জনসাধারণের ছন্দকুবৰ্ত্তন করবেন অর্থাৎ সাধারণের প্রভূভাবে না চলে ভৃত্যভাবে চলবেন । Executiveএর যথেচ্ছ ক্ষমতা খৰ্ব্ব করা সম্ভব হয় কখন ? সকলে মিলে যখন দেশের ও প্রবাসী—মাঘ, ১৩৩০ AAAAAA AAAA AAAASASASS { ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড کی حیه - مسیر কড়ি রাজস্বের আদায়ে ও ব্যয়ে বেশ একটু কর্তৃত্ব করতে পায়, তখনই গণতন্ত্র খানিকট সম্ভব হয়। এই অমোঘ অস্ত্র তাদের হাতে থাকৃতে executive বেশী প্রভুত্ব পেতে পারে না । সমগ্র একটা দেশের লোকসংখ্যা খুব বেশী, এ কারণে ও অন্ত কারণে সকলেই কর্তৃত্বের অধিকার প্রত্যক্ষভাবে পরিচালনা করতে পায় না । পছন্দসই প্রতিনিধি নিজেদের মধ্যে থেকে মনোনীত করে’ র্তারা তাদের সাধারণ ইচ্ছাকে কাজে পরিণত করেন ; যোগ্য প্রতিনিধিরা তাদের সভায় বসে আইনকানুন তৈরী ও টাকাকড়ি খরচের ব্যবস্থাদি করেন। রেলওয়ে, ষ্টীমার-লাইন, নৌবিভাগ, সেনাবিভাগ প্রভৃতির উপর সাধারণের কর্তৃত্ব না থাকলে গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠানগুলি অবাধ হতে পায় না ; চাদপুরের গুলির ব্যাপারে এ কথার সত্যত উপলব্ধি হয়েছিল । জাতি তার চরিত্রে চিন্তায় ও চলাফেরায় মুক্ত হ’তে না পাবুলে স্বাধীনতা প্রকাশের কোন বাহাযন্ত্র, এখানে গণতন্ত্রশাসন, জাতিকে মুক্তি দিতে পারে না ; যন্ত্র কতকটা এ পথের সহায় বটে, কিন্তু মজাগত অভ্যাসলব্ধ বন্ধন বা মুক্তিই ফলাফল নির্ণয়ে বেশী প্রভাবশালী ; তাই গণতন্ত্রের উদ্বোধনে দাসস্থলভ বুদ্ধি ও চিন্তায় প্রাথমিক স্বাতন্ত্র্য বা স্বাধীনতালাভ আৰশুক ; পরে সেই স্বাতন্ত্র্য বাস্তবের মধ্যে প্রাণবান হয়ে, সত্য হয়ে, রাজনৈতিক সমাজের অঙ্গে অঙ্গে ফুটে ওঠে । ব্যক্তিগত স্বাতন্ত্রা, বক্তৃতা ও সভাসমিতি করার বিষয়ে স্বাধীনতা প্রভৃতিকে আমরা গণতন্ত্রের দান না বলে’ তার সহায়ক বলব ; এগুলির আরম্ভ ইংল্যাণ্ডে অভিজাত-সম্প্রদায় বা লর্ড সদের প্রভাবকালে ; তা হ’লেও এগুলি বিনা গণতন্ত্রের মন্ত্র পূৰ্ণবিকাশ লাভ করে না। এখানে বিলাতের Habeas Corpus Acto so go off Executive xi শাসন-পরিষৎ যে-কোন ব্যক্তিকে উপযুক্ত কারণ বিনা আটক করলে, এই নিয়ম অনুসারে বিচারক Habeas Corpus Writ বা'র করে তাকে খালাস করতে পারেন। বিলাতে এই আইনের দ্বারা ব্যক্তিগত স্বাতন্ত্র্য কতকট। নিরাপদ করা হয়েছে। দেশব্যাপী অরাজকতা প্রভৃতি দুৰ্বি