পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] প্রজাসাধারণের কয়টি অতিসাধারণ অধিকার সাময়িক ভাবে লোপ পায় ; Reign of Law বা “ধৰ্ম্মের দ্বারা দেশশাসন" তখন কিছু সময়ের জন্য শিকেয় তোলা থাকে। অরাজকতা হেতু আইনের এই তিরোভাবকে *ww*fitos Americán Civil Liberty atw viscaia লেখক লিবাবু বলেছেন police rule ব পুলিসশাসন । তার পর এভাবে martial law বা সামরিক আইন জারি করে’ ব্যক্তিগত স্বাধীনতা হরণ আইনের চোখে সঙ্গত নয় বলে দুর্ঘটনা ঘটার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে Indemnity Act নামে এক অসাধারণ আইনের আশ্রয় নিতে হয়, এতে ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপকারী যথেচ্ছ-ক্ষমতা-পরিচালনকারী কৰ্ম্মচারীদের কাজ আইনসঙ্গত করে নেওয়া হয় । যদি ঐ আইন পাশ করা না হয় তা হলে ঐ রাজকৰ্ম্মচারীরা সাধারণ আইনের আমলে ধরা পড়েন। তাদের হাতের জলশুদ্ধি করে নিতেই এই ব্যবস্থা । গণতন্ত্রের সার্থকতা শুধু যন্ত্রের নামেতেই শেষ নয় ; গণতন্ত্রের সার্থকতা বাস্তবের প্রাণে, জাতীয় চরিত্রে, রাজনৈতিক জীবনে চলাফেরা ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে। নিজের দেশের রাজনীতি সমাজনীতি প্রভৃতি বিষয়ে সাধারণ জীবনপ্রবাহে বাধা না দিয়ে আত্মা স্বাচ্ছন্দ্যবিহারী হ’লেই এবং দেশের ও রাজ্যসংক্রাস্তবিষয়ে আত্মবোধ হ’লে, আত্মা সাধারণ ইচ্ছার মধ্য দিয়ে কাজে চরিতার্থ ও প্রকটিত হ’লে গণতন্ত্রের অধ্যাত্মতা সফল হয় ; আত্মার শুধু বাচলেই হ’ল না, স্বখে বাচ চাই। প্রতি অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানে তার প্রাধান্ত স্থ প্রতিষ্ঠিত হোক বা না হোক, তার ব্যক্ত ও মুক্ত থাকার দরকার ; নিজ বাসভূমে জাতীয় আত্মা পরবাসী হ’লে, পিঞ্জরাবদ্ধ থাকৃলে, বাইরের সঙ্গে অর্থাৎ দেশের বাহ অনুষ্ঠান-প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সে জীবনের সম্বন্ধে মাখামাথিভাবে পূর্ণবিকশিত হয়ে না উঠতে পারলে, সেগুলির সাথে তার আপনা-আপনির ভাব না জাগলে গণতন্ত্রের বড়াই করা চলে না ; এমন প্রাণহীন জিনিস চাদের আলোয় জলভ্রমের মত। ভারত-শাসন-সংস্কারে আমাদের রাজনৈতিক অধিকার কি ও কতটুকু এখন তার একটু আলোচনা করি। মুক্তিপ্লাবন 8ఆసి AASAASAASAASAASAASAASAAASSS SAAMSAeM MeeMAeAeSAeS AASAASAASAASAASAASAASAASAAMMS ১৯১৭ খষ্টাব্দের ২৯শে আগষ্ট, তারিখে পালামেন্টে মাননীয় মণ্টেগু সাহেব ব্রিটিশরাজের পক্ষ হতে ঘোষণা করেন যে ব্রিটিশভারতকে সাম্রাজ্যের অঙ্গবিশেষ বলে’ গণ্য রেখে ক্রমে তাকে প্রজাসাধারণের কাছে দায়িত্বমূলক শাসনপ্রণালী দেওয়াই ভারতে ব্রিটিশ শাসনের চরম লক্ষ্য। এই ঘোষণা অনুসারে প্রথমে প্রাদেশিক গভর্ণমেণ্ট গুলিকে অপেক্ষাকৃত বেশী স্বায়ত্ত শাসনাধিকার দেওয়া হয় ; ক্রমে সেগুলিকে পুরাপুরি স্বায়ত্তশাসিত করে' ষ্টেটু-গভর্ণমেণ্টের মত করাই উদ্দেশ্য ; আপাততঃ প্রাদেশিক গভর্ণমেণ্টগুলিতে আধা-ব্রিটিশ আধা-দেশীয় করে’ কাজ আরম্ভ হয়েছে । ব্রিটিশ আধখানা—গভর্ণর ও র্তার শাসন-পরিষৎ ( executive council ) afori •if3 5, f☞fà Əf:REHfStKz ( Secretary of State ) IŲ ftq fq=ift:5ą পালামেণ্টের কাছে দায়ী। আর দেশীয় আধখানা— দেশীয় জনমন্ত্রীদের দ্বারা গঠিত ; আইন-সভ্যদের মধ্য হতে প্রভাব-প্রতিপত্তিশালী লোক বেছে নিয়ে মন্ত্রীসভা গড়া হয় । আইন-সভার সভ্যেরা আবার তাদের নির্বাচক জনসাধারণের বা ভোটারদের এক-একটা নির্বাচনগী বা electorate হতে প্রেরিত প্রতিনিধি । তারা এই ভাবে সভাতে তাদের কাজের জন্য দেশের লোকের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য, নতুবা পরবর্তী নিৰ্ব্বাচমে ভোট পাওয়ার আশা আতি কম থাকে । গভর্ণরের শাসন*ifos ( executive council ) wi: Si: Hot জোড়াদেওয়া দেশী মন্ত্রীদের সভা—এ দুয়ের মিলনে হ’ল কতকটা শাদাকালোয় হরিহর-মিলন ; প্রমথ-বাবুর “দুইয়াক” নামে এই ইঙ্গিত আছে ; বিলাতের ক্যাবিনেট মন্ত্রীসভা যেমন প্রধান কৰ্ম্মকৰ্ত্ত (executive), প্রাদেশিক গভর্ণমেণ্টে যুগলসভার সভোর—গভর্ণমেণ্ট-পক্ষীয় হোন আর জনসাধারণের লোক হোন—মোটামুটি হিসাবে ক্যাবিনেটের সভ্যদের মত গভর্ণমেণ্টের মন্ত্রী । ক্যাবিনেটু-সভোর সহকারী সম্পাদক বা আণ্ডাবুসেক্রেটারী আছে ; তাকে পালামেণ্টারী আওীবৃসেক্রেটারী বলা হয় ; তিনি ক্যাবিনেটু-মন্ত্রীর দলের লোক ও মন্ত্রীর দক্ষিণ হস্ত স্বরূপ ; তিনিও পালামেণ্টের