পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা । AeMAAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS ভারত-গভর্ণমেণ্ট, তথা ভাইসরয় ভারত-সচিব বা Secretary of State 44 wice of ofäl efātwo জনসাধারণের কাছে দায়ী নন, পূৰ্ব্বেই বলেছি। ভারতসচিব বিলাতের পাল মেণ্ট, মহাসভ তথা বিলাতের জনসাধারণের কাছে দার্থী ; তার সভায় নাম ইণ্ডিয়৷ কাউন্সিল। এই সভা ১৯০৮ খৃষ্টাব পর্যন্ত মাত্র পেনশানপ্রাপ্ত কৰ্ম্মচারীদের দ্বারা গঠিত ছিল। এই কৰ্ম্মচারী সকলেই অ্যাংগ্নে-ইণ্ডিয়ান। ঐ সময়ে ভারতীয় মুসলমান একজন ও হিন্দু একজন সদস্য নেওয়া হয়। ১৯.৭ খৃষ্টাব্দে তিন জন ভারতবাসীকে ঐ সভার সদস্য করা হয় । পাল মেণ্টের লর্ডস ও কমন্স এই দুই সভা হতে সভ্য নিয়ে একটা কমিটি গড়া হয়েছিল । এই কমিটির অনুমোদন অনুসারে অদূর ভবিষ্যতে তিনের বেশী ভারতীয়কে ভারত সচিবের সভার সভ্য করা স্থির হয় । সভ্যদের কাজ হবে সচিব মহাশয়কে পরামর্শ দেওয়া । যে সকল ক্ষেত্রে আইন-সভা গুলি, বড়লাট ও র্তাহার পরিষদের ( councillors ) একমত, সেখানে ভারতসচিব হস্তক্ষেপ করবেন না । নূতন সংস্কার-আইনে এই ধাৰ্য্য হয়েছে। সম্প্রতি ভাই স্বয় ( রাজপ্রতিনিধি ) ও গভর্ণর জেনরল এই নাম বদলিয়ে শুধু গভর্ণর-জেনারল এই নাম রাখার প্রস্তাব হয়েছে। কারণ সংস্কার-আইনে রাজপ্রতিনিধিত্ব গভর্ণর-জেনারল ছাড় গভর্ণরের ৪ কিছু বৰ্ত্তায় ; তাই গোলমালের হাত এড়ানর জন্য ভাইসরয় বা রাজপ্রতিনিধি নামটাই তুলে দেওয়ার কথা চলেছে। এখন দেশে প্রাণবান গণতন্ত্রেব স্থষ্টি করতে হলে শুধু শাসন-সংস্কারে চলবে না ; এই রকম আরও সংস্কার এসে যদি একটা পূরোপুরি স্বায়ত্তশাসনের যন্ত্র এনে আমাদের সাম্নে ফেলে যায় তাতেও প্রকৃত গণতন্ত্রের বিকাশ হবে না-যদি না আমাদের অস্তরে ও বাইরে সকল কাজে চলা-ফেরার মধ্যে মুক্তির ভাব জাগে। কারণ বাইরে থেকে কেউ যুক্তি দিতে পারে ন, কেবল যন্ত্র দিতে পারে ; আবার, আমাদের অন্তরের মুক্তি আপন। হতেই বাইরের সঙ্গে গ্রাণের যোগে পূর্ণবিকশিত ও প্রফুল্ল হয় ; এটা বাস্তবিক ঘটুলে আমাদের মুক্তি প্লাবন 8ማge SAASAASAASAASAASAAAS A SAS SSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS প্রাণে প্রাণে হাড়ে হাড়ে মুক্তির হাওয়া বইবে, কাউবে তখন বলে' দিতে হবে ন৷ “এই তোমার স্বাতন্ত্রা, এই তোমার সালে।” সুতরাং অধ্যাত্ম গণতন্ত্রের উদ্বোধনের কাজ বেশীর ভাগ আমাদের নিজের মধ্যেই,—আত্মশোধনে, গৃহস্থালী-পরিমাঞ্জনে ; আসন পাতা হলেই দেবতা তাতে আপনা হতেই নেমে আসবেন । বাহ বিকাশের ভাবন। এখন ভাব বীর নয়, স্বতরাং নিজের অন্তর-শোধনে কাবও সঙ্গে ঠোকাঠুকির ভয় থাকা অন্ততঃ উচিত নয়। জাতীয়ভাবে, ব্যাপক ভাবে এই মানসিক উন্নয়ন বাহিক বিপ্লব বিনা ও শুধু আত্মিক প্রলয়ের মধ্যে দিয়েও সম্ভবে। এখন কান্নাকাটি খুটিনাটি ঝগড়াধাটি ছেড়ে সবাইকে কোমর বেঁধে কাজে নামৃতে হবে ; যিনি যে দিক্ দিয়ে পারেন কাজ করে যাবেন । দেশের সর্বত্র পল্লীতে নগরে আশার আলো ছড়িয়ে দিতে হবে ; নিজে বিশ্বাসী হয়ে সকলের প্রাণে বিশ্বাস ঢেলে দিতে হবে ; সকলের প্রাণে আত্মসম্মান দেশপ্রীতি ও দেশের জন্য গৌরববোধ জাগিয়ে তুতে হবে , তাদের বুঝাতে হবে দেশের কাজেই ও সকলের মঙ্গলের মাঝেই ব্যক্তি-বিশেষের মঙ্গলের বীজ নিহিত । লোকে যাতে নিজের পায়ে দাড়াতে শিখে —কি খাদ্য সংস্থানে কি শিল্পবিষয়ে কি শিক্ষা ও স্বাস্থ্যবিষয়ে তবে ব্যবস্থা করতে হবে । এখনকার উপায় কেবল প্রচারের কাজের মধ্যে । অনবরত দেশের অবস্থা, অন্তান্ত সৌভাগ্যশালী দেশের লোকের অবস্থার খবরাখবর, পৌরকৰ্ত্তব্য ও পৌর আদর্শ, রাজনৈতিক অধিকার প্রভৃতি বিষয়ে জনসাধারণের মধ্যে বহুল আলোচনার দরকার । অন্যান্য দেশের অবস্থা বিবেচন। তারা যতই করবে ততই তার নিজের মধ্যে ছোট ছোট বিষয় নিয়ে ঝগড়াঝাটি হিংস দ্বেষ ভুলে যাবে ও অপব জাতির তুলনায় তাদের অভাব বুঝতে পেরে আত্মোন্নতিতে তৎপর হবে। এজন্য সভাসমিতি বক্তৃতা কথকতা বা মুকুন্দ-দাসের যাত্রার মত অভিনয়াদির দ্বারা জনশিক্ষার প্রসার করা যেতে পারে । খবরের কাগজ বর্তমান রাজনৈতিক শিক্ষণ প্রচারের পক্ষে বেশ উপযোগী। এই কাজে নেমে আমাদের মনে রাখতে হবে যে উপযুক্ত প্রতিষ্ঠানের অভাবে হাজার উচু ভাব এনে জগৎকে দিলেও তা টেকে না ; তার অভাবেই