পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গান নিশীথ রাতের প্রাণ কোন স্বধ যে চাঁদের অলেীয় আজি করেছে পান ॥ মনের সুখে তাই অtঙ্গ গোপন কিছু নাই, আঁধার ঢাকা ভেঙে ফেলে সব করেছে দান । দখিন হাওয়tয় তার সব খুলেছে দ্বার। তারি নিমন্ত্রণে আজি ফিরি বনে বনে, সঙ্গে করে এনেছি এই রাত-জাগ। মোর গান ! (শান্তিনিকেতন-পত্রিক, অগ্রহায়ণ, শ্ৰী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গান এই শ্রাবণ-বেলা বাদলঝর যুীবনের গন্ধে ভরা। কোন ভোল-দিনের বিরহিণী যেন তারে চিনি চিনি, ঘন ৰনের কোণে কোণে ফেরে ছায়ার ঘোমটা-পরা ॥ কেন বিজন বীটের পীনে তাকিয়ে আছি কে তা জানে। যেন হঠাৎ কথন অজানা সে আসূবে আমার স্বারের পাশে, বাদল সাঝের আঁধার মাঝে গান গবে প্রাণ-পাগল-করা । ( শান্তিনিকেতন-পত্রিকা, অগ্রহায়ণ ) ঐ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর mmäs তীর্থ কালীঘাটে গিয়েছিলাম । সেখানে গিয়ে আমাদের পুরোনে আদিগঙ্গাকে দেখলাম। তার মন্ত দুৰ্গতি হয়েছে । সমুত্রে জানাগোনার ग्रंथ छांद्र छेिब्रनिtनग्न भड रुक श्रग्र ८णtछ । यशन 4है नौछैिब्र थांब्र সীব ছিল তখন কত বণিক্‌ আমাদের ভারত ছাড়িয়ে সিংহল গুজরাট ইত্যাদি দেশে নিজেদের বাণিজ্যের সম্বন্ধ বিস্তার করেছিল। এ যেন মৈত্রীর ধারার মত মানুষের সঙ্গে মানুষের মিলনের বাধাকে দূর করেছিল। তাই এই নদী পুণ্য-নদী বলে গণ্য হয়েছিল। তেমনি ভারতের সিন্ধু ব্ৰহ্মপুত্র প্রভূতি যত বড় বড় নদনদী আছে সবগুলি সেকালে পবিত্র বলে গণ্য হয়েছিল । কেন ? কেননা, এই মদীগুলি মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্বন্ধস্থাপনের উপায়স্বরূপ ছিল । ছোট ছোট নদী তো ঢের আছে—তাদের ধারার তীব্রত থাকৃতে পারে, কিন্তু না আছে গভীরতা, না আছে স্থায়িত্ব। তার তাদের জলধারায় এই বিখমৈত্রীর রূপকে ফুটিয়ে তুলতে পারে নি ; মানুষের সঙ্গে মামুষের মিলনে তার সাহায্য করে নি। সেইজন্ত তাদের জল মামুষের কাছে তীর্থোদক হ’ল ন! ! যেখান দিয়ে বড় বড় নদী বয়ে গিয়েছে, সেখানে কত বড় বড় নগর হয়েছে—সে-সব দেশ সভ্যতার কেন্দ্রভূমি হয়ে উঠেছে। এই-সব নদী বয়ে মানুষের জ্ঞানের সাধনার সম্পদ নানা জায়গায় গিয়েছে। আমাদের দেশের চতুষ্পাঠীতে অধ্যাপকেরা যখন জ্ঞান বিতরণ করেন, তাধ্যাপকপত্নী তাদের অন্নপানের ব্যবস্থা করে থাকেন। এই গঙ্গাও তেমনি এক সময়ে যেমন ভারতের সাধনার ক্ষেত্র ধীরে ধীরে বিস্তারিত করেছিল, তেমনি আর একদিক্ দিয়ে সে তার ক্ষুধাতৃষ্ণ দূর করেছিল । সেইজন্ত গঙ্গার প্রতি মানুষের এত শ্রদ্ধা । তাহলে আমরা দেখলাম এই পবিত্রত কোথায় ? কল্যাণময় আহবানে ও সুযোগে মানুষ বড় ক্ষেত্রে এসে মামুষের সঙ্গে মিলেছে— আপনার স্বাৰ্থ বুদ্ধির গণ্ডীর মধ্যে এক এক বন্ধ হয়ে থাকে নি । এ ছাড়া নদীর জলের মধ্যে এমন কোনো ধৰ্ম্ম নেই যাতে করে” তা পবিত্র হতে পারে । কিন্তু যখনি তব ধারা লক্ষ্যভ্রষ্ট হ’ল, সমুদ্রের সঙ্গে তার অবtধ সম্বন্ধ নষ্ট হ'ল, তখনি তার গভীরতাও কমে’ গেল । গঙ্গ দেখলাম, কিন্তু চিত্ত খুনী হ'ল না। যদিও এখনো লোকে তাকে শ্রদ্ধা করে সেটা তাদের অভ্যাস মাত্র । জলে তার আর সেই পুণ্যরূপ নেই । আমাদের ভাবতের জীবনেও ঠিক এই দশাই ঘটেছে। একসময় পৃথিবীর সমস্ত দেশকে ভারত তাঁর পুণ্যসাধনার পথে আহ্বান করেছিল, ভারতে সব দেশ থেকে লোক বড়-সত্যকে লাভ করার জষ্ঠে এসে মিলেছিল। ভারতও কথন নিজের শ্রেষ্ঠ যা তা সমস্ত বিশ্বে বিলিয়ে দিয়েছিল । সমস্ত বিশ্বের সঙ্গে নিজের যোগ স্থাপন করেছিল বলে’ ভারত পুণ্যক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল। গয়া আমাদের কাছে পুণ্যক্ষেত্র কেন হ’ল ? তার কারণ, বুদ্ধদেব এখানে তপস্ত। করেছিলেন, আর সেই তার তপস্তীর ফল, ভারত সমস্ত বিশ্বে বণ্টন করে দিয়েছে । যদি তার পরিবর্তন হয়ে থাকে, আঞ্জ যদি সে অীর অমৃত-আশ্ন পরিবেষণের ভার না নেয়, তবে গয়াতে আর কিছুমাত্র পুণ্য অবশিষ্ট নেই। কিছু আছে যদি মনে করি তো বুঝতে হবে তা'