পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 o প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩৩০ محيي نوح معتدة معه S AMM AMAAA AAA SAAAAA AAAA AAAA AAAA AAAASAAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAAMMMA AA MMMMAM MMMMAMMS নিষেধগুলোর প্রতি বিশেষ সুবিচার করা হয় না, এটা বোঝবার বয়স আপনার হয়েছে। একলা পেয়ে আমাকে অপমান করবেন না। আপনি : ' আমার কথার ভিতর যে জাল ছিল,—বুঝতে পারলুম ত৷ চাবুকের মত নরেশকে স্পর্শ করল । সে বিস্ময়ে ব্যথায় গুম্রে উঠে বলল – অপমান,—একে তুমি অপমান মনে কবুছ নীল ! ন না, এ যে আমার কেবল মুখের কথা মাত্র নয় ! কথার ভিতর দিয়ে আমার সমস্ত হৃদয় যে আজ বেরিয়ে এসেছে, আমেরি সমস্ত মন সে তোমার পায়ের কাছে আপনাকে বঙ্গন ক’রে এনেছে আপনাকে বিকিয়ে দেবাব জন্তো-কেন এই সহজ কথাট। তুমি বুঝতে পাৰ্বছ না ? তার কান্নfর মত অ৷র্ত করুণ স্বর আমার কাণে পৌছালেও মনের দোরে ঘ দিতে পারলে না । আঘাতের বেতট। সমান জোরের সঙ্গেই নিক্ষেপ ক'রে আমি বললুম—আপনার হৃদয়টাকে আপনি যত বড় একট। চিজ ব’লে মনে করেন, নরেশ-বাৰু, সকলে যদি তা মনে করতে ন পারে, তবে সম্ভবতঃ সেট। পেনাল কোডের কোন ধারার ভিতর পড়বে না। কিন্তু আপনি বার বার আমাকে নাম ধ'রে ডাকৃছেন কেন বলুন তো ? সে অধিকার তো আমি আপনাকে কোন দিন দিইনি। হঠাৎ বিদ্যুতের "শকু’ লাগলে মাহুষের সব দেহ যেমন এক মুহূৰ্ত্তে শিথিল হ’য়ে এলিয়ে পড়ে, আমার কথার আঘাতে তার দেহটাও তেমনি প্রথমে চেয়ারের উপর এলিয়ে পড়ল। কিন্তু পর মুহূর্বেই সে সোজা হয়ে পায়ের উপরে দাড়িয়ে বলল—Alright নীল-, adieu ! তার পর আর একটি কথাও না বলে সে ঘর হতে বেরিয়ে গেল। চেয়ে দেখলুম আমি—তার মুখের ভিতর কোথাও এতটুকু বক্ত নেই। বাহিরে মেঘের বুকে যে হাহাকারটা জেগে উঠেছে সেই হাহাকারটা যেন মূৰ্ত্তি নিয়ে তার চারিপাশেও জেগে উঠেছে, সে চলছে কিন্তু পা সে ঠিক রাখতে পারছে না,—বহুকালের রুগ্ন রক্তহীন দুৰ্ব্বলের মত থর থর করে তার দেহ টলছে। নিজের নিষ্ঠুরতায় শিউরে উঠে আমি ডাকুলুম-নরেশ-বাবু-নরেশ — কিন্তু সে-ডাক তার কানে পৌছাল না। [ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড । AMMMAAA AAAA AAAAMMAAA SAAAAAS SAAAMAAA AAAASAAAAMAMAAA AAAA AAAA AAASS 輸 毫 豪 華 হঠাৎ নীলা স্তব্ধ হয়ে গেল । তার মুখের দিকে চেয়ে দেখলুম নীল। তো নয়-অবিকল শ্বেত-পাথরে খোদাইকর শোকের একটি করুণ মূৰ্ত্তি । চোখভরা এক কলস জল নিয়ে আমি বললুম—থাকৃ নীল,—আমি আর শুনতে চাইনে । রোদের-আঁচে-শুকিয়ে-যাং য়া ফুলের মত একটু স্নান হাসি স্টেসে নীল। বলল—এর পরের কথাগুলো আর আমাকে বলতে হবে না ভাই ! নরেশের তিমখান। চিঠির ভিতর দিয়েই তার ইতিহাস লেখা হয়ে গেছে । এচিঠিগুলে! বাক্সে রেথে আমি সোয়াস্তি পাইনে । আমার বুকের কাছে যে জায়গাটাতে কলিজার ভিতর প্রাণের ইঞ্জিনট দাপাদাপি কবৃছে তারি একান্ত নিকটে এগুলোকে রেখে দিয়েছি। সেইখানে জেগে থেকে এর রাত্রি দিন আমাকে পাহার। দিচ্ছে নরেশের দেহের အံ့ချ် আমি কখনো পাইনি। কিন্তু তার মনের মদে যে লেখাগুলো মাতাল হয়ে উঠেছে তারি স্পর্শ ফুলের বনের বুকের গন্ধ যেমন বা ভাসকে ঘিরে রাথে তেমনি ক’রে আমাকে ঘিরে রেখেছে। বুকের ভিতর হ’তে গাটাপাচারের স্বচ্ছ পাতল খামখানি খুলে নিয়ে চিঠি ক’খানা আমার হাতের ভিতর গুজে দিয়ে নীল। বলল—চেচিয়ে পড় । চিঠিগুলোর গায়ে নম্বর আঁক—এক, দুই, তিন । প্রথম নম্বরের চিঠিখান খুলে নিয়ে আমি পড়লুম— ইয়োরোপের পথে— তারিখ — খোজ রাখিলে । নীল,—ঘরের মানুষকে তুমি পথের উপর এনে দাড় করিয়েছ—পথ—ধার শেষ নেই–সীমা নেই—যে মনের ইচ্ছার মতই অফুরন্ত । বেদুইনের মত অগাধ অবাধ জীবন — ঝড়ের হওয়ার মত দিগ্বিদিকে ছুটে চলেছে— কখনো দিগন্তবিলীন মরুবালুকার বুকের রেণুগুলো উড়িয়ে ছড়িয়ে কুড়িয়ে নিয়ে, আবার কখনো বা ধরণীর- কটিতটের অঞ্চলের মত নীলের ছোপে ভরা প্রাস্তরের বুকের উপর দেহভারটাকে এলিয়ে দিয়ে। পাহাড় তার উদ্ধত মাথ৷ তুলে আমাকে ডাক্ছে, সহর তার কল-কোলাহলের স্বতিগান দিয়ে আমাকে অভ্যর্থনা করছে ! -