পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ) همهجایی حمایی محصمیمیر —“তাহলে আমি যা শুনেছি মিথ্যে নয় ?”—এই ব’লে বিনয়-বাৰু আবার দাড়িয়ে উঠলেন । রতন বললে, “কিন্তু কার মুখে আপনি এ-সব কথা শুনলেন ?” 會 * —“কাল পুলিসের একজন লোক আমার এখানে এসেছিল।” রতন উত্তেজিত ভাবে বললে, “এখানেও পুলিস এসেছিল ? বিনয়-বাবু, এই পুলিস নির্দোযকেও অপরাধী ক'রে তোলে । পুলিস একবার যাকে সন্দেহ করে, সে বেচারীর অপরাধী হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। কারণ, সে স্থপথে থাকৃলেও পুলিসের নির্দয় যড়যন্ত্রে সমাজে সে পতিতের মতন ব্যবহার পাবে, সৎপথে জীবিকা নিৰ্ব্বাহেব উপায় থেকেও বঞ্চিত হবে । কাজেই শেষট। তাকে হতাশ হয়ে আবার কুপথে পদার্পণ করতে হয়। এ অন্যায় বিনয়-বাবু, অন্যায় ! পুলিস কি কখনো আমাকে শান্তি দেবে না ?” বিনয়-বাবু দুঃখিত স্বরে বললেন, “রতন, তোমাকে বিশ্বাস ক’রে আমি আমার পরিবারের মধ্যে স্থান দিয়েছি, কিন্তু তোমার জীবনের এই ইতিহাস তুমি তো আমাকে জানাও নি !” রতন আহত কণ্ঠে বললে, “কেন বিনয়-বাবু, আমার ইতিহাস আগে জানলে আপনিও কি আমাকে ত্যাগ করতেন ?” —“এখানে ত্যাগ করার কোনো কথাই হচ্ছে না। কিন্তু আমার কাছে এমনভাবে আত্মগোপন করা তোমাব উচিত হয় নি।” রতন বিদ্যুতের মতন চেয়ার ছেড়ে দাড়িয়ে উঠল। তার পর অধীরস্বরে বললে, “বিনয়-বাৰু, বিনয়-বাবু! আপনি কি আমাকে ডাকাত ব'লে মনে করেন ?" —“না। কিন্তু আমার সন্দেহ হয়েছে যে, হয়তো যৌবনের চাপল্যে কুসঙ্গে মিশে—” —“থাকু বিনয়-বাবু, আর বলবেন না। এ বড় আশ্চৰ্য্য যে, এতদিনেও আপনি আমাকে চিনৃতে পারলেন না !” —“শোনো রতন, অধীর হয়ে না। কাল পুলিসের caz czta verintrwa nro è van rafarra ferrar= ' বেনো-জল & o 3) MMMeMMA SAMeAMAeMSeMMMAMMeMMMMA AMAMeMMMAMAMMM MMMMMAMMM AMAMSMSMAM AMMMS কথাও বলেছে যে, তোমার জন্যে আমারও পুলিসহাঙ্গামে জড়িয়ে পড়বার সম্ভাবনা আছে। আমার বন্ধুরা তো পরামর্শ দিচ্ছেন যে—” বাধা দিয়ে রতন উদ্ধত স্বরে বললে, “আপনার বন্ধুদের আমি চিনি, সুতরাং তারা যে কি পরামর্শ দিচ্ছেন তাও আমি বুঝতে পারছি।......হুঁ, বন্ধুদের পরামর্শ আপনি অগ্রাহ করবেন না, বিনয়-বাৰু ! তাহলে হয়তে৷ পরে আপনাকে অমুতাপ করতে হবে”—বলতে বলতে রতন দরজার দিকে অগ্রসর হল । —“রতন, রতন, শোনে । —“কলকাতায় ।” বিনয়-বাবু ব্যস্তভাবে এগিয়ে রতনের একখানা হাত ধ’রে বললেন, “আমি কি তোমাকে কলকাতায় যেতে বলছি, রতন ?” বিনয়-বাবুর হাত ছাড়িয়ে নিয়ে অভিমানে প্রায় অবরুদ্ধ স্বরে রতন বললে, “ন, আমি ডাকাত, আমি এখানে থাকূলে আপনি বিপদে পড়বেন,” ব’লেই সে তাড়াতাড়ি ঘর থেকে বেরিয়ে গেল । বিনয়-বাৰু অত্যন্ত কাতর ও অসহায়ের মতন হ’য়ে একখানা চেয়ারের উপরে ব’সে পড়লেন । একুশ কণারকে যাওয়া থেকে আসা পর্য্যস্ত তিন দিন পথশ্রমে আর অনিদ্রায় রতনের শরীর যারপরনাই প্রস্ত হয়েছিল, তার পর আবার এই অভাবিত আঘাত । ঠিক বিশ্রামের সময়েই তাকে নিরাশ্রয়ের মত আবার কলকাতায় যেতে হবে। আনন্দ-বাবুর কথা মনে হ'ল। রতন একবার ভাবলে কলকাতায় যাবার আগে খাণিকক্ষণের জন্যে র্তার বাড়ীতে গিয়ে উঠলে হয়।......কিন্তু বিনয়-বাবুর বাড়ীছাড়ার ইতিহাস শুনলে তিনিও যদি শেষটা ভয় পান ? না, দরকার নেই কোথা ও গিয়ে —সে গরিব, সহায়হীন, ধনীদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখলেই তাকে এমুনি আঘাত পেতে হবে । , রতন তাড়াতাড়ি নিজের জিনিষ-পত্তর গুছিয়ে নিতে ద్ని কোথায় যাচ্ছ ?” بسسسس قسم اسة ســـس