পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্য। ] چسبی هجایی خاصمهخصیتهاجعه خه যে মহা মনীষার কীৰ্ত্তি যুগে যুগে অগ্নিশিখার মত এক একবার এক এক স্থানে জালিয়া দিয়া যান, তাহাকে সাধারণ মানুষই তাহার ক্ষুদ্র প্রতিভার সাহায্যে নিত্য ব্যবহারের বস্তু করিয়া তুলে। আকাশের বিদ্যুৎকে মামুষের করায়ত্ত মিনি করিয়াছিলেন, র্তাহার প্রতিভা অসাধারণ সন্দেহ নাই ; কিন্তু সেই বৈদ্যুতিক শক্তিকে আতপদান, আলোকদান, ইন্ধনস্থানীয় হওয়া, বাৰ্ত্তাবহন, শকটচালন, প্রভৃতি নানা কার্য্যে যাহার লাগাইয়াছেন, তাহীদের অপেক্ষাকৃত স্বল্প প্রতিভার মূল্য জগতের কাছে কিছু কম নয়। আবার ইহাদের উদ্ভাবিত উপায় শিখিয়া যাহার কাচের বাতি, লোহার পাখা, টামের লাইন, টেলিগ্রাফের তার তৈয়ারি করিতেছেন, খাটাইতেছেন এবং দরকার-মত তাহার নানা উন্নতিসাধন করিতেছেন, তাহীদের প্রতিভা আরো ক্ষীণ বলা যাইতে পারে ; কিন্তু সংসারক্ষেত্রে তাহদের প্রতিভার এই সামান্য প্রকাশও কি অত্যন্ত অবশু প্রয়োজনীয় জিনিষ নহে? প্রতিভা জলকণার মত সাগরে, নদীতে, নিঝরে, মেঘে, বৃষ্টিতে, বাপে, যেখানে যতটুকুই থাকুক না কেন, সদ্ব্যবহার করিলে ততটুকু স্বফলই দিবে এবং এই কণা-সংগ্রহের সমষ্টি পরিণামে সাগরের বা িরাশি অপেক্ষা কম হইবে না । মাতৃস্নেহ জগতে যতখানি আদর্শস্থানে পৌছাইতে পারিয়াছে—পিতৃস্নেহ তেমন পারে নাই। যশোদ, মেনকা, মেরী, অন্নপূর্ণ, কৌশল্য প্রভৃতি মাতৃরূপের বহু প্রকাশ মানুষের ধৰ্ম্মজীবনের সঙ্গী হইয়া দাড়াইয়াছে। ইতিহাসপ্রসিদ্ধ বহু দৃষ্টান্তও আছে। পাতিব্ৰত্যে নারী যে আদর্শ দেখাইয়াছেন, পত্নীপ্রেমে পুরুষ তাহা দেখাইতে পারেন নাই। ভক্তিতে নারী যেমন নিষ্ঠা দেখাইয়াছেন, পুরুষ তাহ পারেন নাই। স্কথিয়া যেমন করিয়া বুদ্ধের করুণাকে সার্থক করিয়া তুলিয়ছিলেন, শ্ৰীমতী যেমন করিয়া রক্তের অক্ষরে ভক্তির গাথা লিখিয়া গিয়াছিলেন, বৌদ্ধ ভিক্ষুরা তাহ পারেন নাই । আজও স্বামী বিবেকানন্দের শিষ্যগণের মধ্যে ভগিনী নিবেদিতাকে কেহ ছাড়াইয়া যাইতে পারেন নাই। স্নেহ প্রেম ও ভক্তির নিকট নিজ ভূত ভবিষ্যৎ یحیی

  • নারী-সমস্যা”

عی_ھ-محمد ( oళీ حسینیه حومه ও বর্তমানকে নারী যেমন নিঃশেষে সপিয়া দিয়াছে, পুরুষ তাহ পারেন নাই । কিন্তু প্রেম ভক্তি ও বাৎসল্যের ক্ষেত্রে পুরুষ নারীর নিকট পরাজিত হইলেণ্ড ইহার দাবী তাহারা ছাড়িয়া দেন নাই। জগতে মাতৃস্নেহের পাশে পিতৃস্নেহের উচ্চ স্থান আছে ; পিতা স্নেহ করিলে, মাতার কার্য্যক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করিতেছেন, কেহ মনে করেন না ; সস্তানও পিতৃস্নেহকে অনাবশ্যক কোনো দিন ভাবে নাই ; পতিব্ৰতার প্রেমের পাশে পত্নীপ্রেমিকের প্রীতির স্থানও তুচ্ছ নয়। ভক্তিমতীর ভক্তির পাশে ভক্তেরও স্থান আছে । সংথ্যায় অল্প হইলেও এই-সকল ক্ষেত্রে মূল্য কমিয়া যায় না। জগতে সতী সাবিত্রী বহু থাকিতে পারেন কিন্তু শিবের প্রেম তাহাতে স্নান হইয়া যায় নাই ; যশোদা, মেরী মাতা, মেনকা, কি কৌশল্যা সংথ্যায় অনেক বেশী বলিয়া দশরথের বাৎসল্য তুচ্ছ করিবার নয়। মুতরাং, একজন অহল্যাবাঈ, একজন ঝান্সীর রাণী, কি একজন জোয়ান অব আর্ক, অথবা একজন ম্যাডাম কুরী হইয়াছেন বলিয়া তাহদের উৎকর্ষ অস্বীকার করিবার কোনো কারণ ঘটে নাই । অথবা ভবিষ্যতে একজনও যাহাতে না হইতে পারেন, তাহার ব্যবস্থা করিয়া রাখিবার বিশেষ প্রয়োজন হয় নাই । নারীর যদি স্বজনী শক্তি নাই থাকে, তবু পুরুষের সষ্টিশক্তির প্রকাশে ত সে সাহায্য করিতে পারে । স্বর শিক্ষার ফলে নারী যদি স্বর স্বষ্টি করিতে না পারে, তবু কণ্ঠ- ও যন্ত্র-সঙ্গীতে স্বরের শ্রেষ্ঠ প্রকাশ ত দেখাইতে পারে । বিজ্ঞান-রাজ্যে কোনো নূতন আবিষ্কার যদি নারী নাই করিতে পারে, তবু ফলিত-বিজ্ঞানের সাহায্যে জগৎসংসারের বহু কাৰ্য্যসিদ্ধি ত সে করিতে পারে। জগতে যে ম'হুষ যে ক্ষেত্রে নূতন কোনো আবিষ্কার করে নাই, কিংবা আশ্চৰ্য্য মৌলিকতা দেখায় নাই, তাহাকে যদি সেই ক্ষেত্রে প্রবেশের অধিকার হইতে বঞ্চিত করা হইত, তাহ হইলে জগৎসংসার চালাইবার জন্য ভগবান কোটা কোট সাধারণ মানুষের সঙ্গে দুই চারিটি নিউটন গ্যালিলিও হোমার বাল্মীকি না স্বষ্টি করিয়৷ কোটা মহামানবেরই স্বষ্টি করিতেন । মানুষের যে-কোনো তুচ্ছ দানই মাহুধের কাজে লাগে, কৰ্ম্মজগতে