পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&Y e ফেলিয়া গিয়াছেন। শিক্ষাজগতে মন্তেসোরী যে প্রতিভার পরিচয় দিয়াছেন, তাহাতে সমস্ত জগৎ আজ উiহার কাছে ঋণী । এইরূপ আরো বহু দৃষ্টান্ত দেওয়া যায়। বাহুল্য-ভয়ে চেষ্টা করিলাম না । সংখ্যায় অল্প হইলেও ইহঁীদের প্রতিভা জগৎকে আনন্দ ও জ্ঞান দিয়াছে। ইহঁীরা যদি এই-সকল জ্ঞানের ক্ষেত্রে প্রবেশ লাভে বঞ্চিত থাকিতেন, তাহা হইলে জগৎও ইহাদের অমুল্য দানের উপকার ও আনন্দ হইতে বঞ্চিত থাকিত । স্ত্রীলোক ও পুরুষের প্রতিভাকে ঠিক একই-প্রকারের মাপকাঠিতে মাপিয়া একই ছাচে ঢালিয়া বিচার করিলে এই-রকম ফল পাওয়া যায়। কিন্তু বস্তক্ষেত্রেই স্ত্রীলোকের মানসিক শক্তির বিকাশ বিভিন্ন রূপ ধারণ কবিবার সম্ভাবনা আছে । সুতরাং তাহার উৎকর্ষ অপকর্য বিচারও সে-সকল স্থানে বিভিন্ন-রকম হওয়া দরকার । শিল্প সাহিত্য বিজ্ঞান প্রভৃতির ভিতর দিয়া নারী-প্রতিভা ভবিষ্যতে যে-ভাবে বিকশিত হইবে, তাহাকে সকল ক্ষেত্রে পুরুষোচিত মাপকাঠি দিয়া মাপিলে ঠিক ন্যায়সঙ্গত ব্যবহার হইবে না। আমাদের দেশে এবং পাশ্চাত্য দেশেও নারী এখনও নিজপথ হয়ত ঠিক খুজিয়া বাতির করিতে পারেন নাই ; কারণ সকল দেশেই বহির্জগতের পথ অন্বেষণে নারী অল্পদিন মাত্র বাহির হইয়াছেন। তাই প্রথম প্রচেষ্টায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাহার পুরুষদের প্রবর্তিত পথে কাৰ্য্য আরম্ভ করিয়াছেন ৷ হইতে পারে, এই পথ চলার ব্যাপারে কোনো দিন তাহারা নিজেদের জন্য নুতন-রকম পথ আবিষ্কার করিবেন, যে পথের শেষে তাহারা হয়ত এমন সকল সৌন্দর্ঘ্য ও জ্ঞানের সন্ধান দিতে পরিবেন যাহা পুরুষোচিত মাপকাঠির মাপে ঠিক পুরুষের অর্জিত বিদ্যার তুল্য হইবে না, কিন্তু তাহাতে এমন কিছু নূতনত্ব বিশেষত্ব ও বৈচিত্র্য থাকিবে যাহা পুরুষ দেখাইতে পারেন নাই এবং সেইজন্যই তাহা অমূল্য হইবে । গৃহসংসারের মধ্যে নারীর পাশে পুরুবের স্থান আছে ; কিন্তু নারীকে মানুষ গৃহের যে অঙ্গরূপে দেখে, পুরুষকে তাহা দেখে না ; আত্মীয় স্বজন, পুত্র কন্যা, দাস দাসী, অতিথি অভ্যাগত, সকলের সঙ্গেই গৃহকর্তারও সম্পর্ক আছে, গৃহিণীরও প্রবাসী—মাঘ ১৩৩• SAMMMMMMMM MMMMM MMM AAAA AAAA SAAAAA AAAA AAAA SAAAAA AAM MMM AAM AA AMMMMMAMMMeMeMMMMA AAJJJAAA SAAAAAS [ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড আছে । কিন্তু গৃহিণীর এই সম্পর্কের পরিচয়টি যে-ভাবে প্রকাশ পায়, গৃহস্বামীর সম্পর্কের পরিচয় ঠিক সে-ভাবে প্রকাশ পায় না। গৃহকৰ্ত্তার ব্যবহার ঠিক্‌ গৃহিণীর মত হইল না বলিয়া কেহ দুঃখ প্রকাশও করে না, গৃহকর্তাকে বাতিলও করিয়া দিতে চায় না। তেমনি বহির্জগতের সহিত নারীর সম্পর্কের প্রকাশ ঠিক পুরুষের মত, মাত্রায় ও গুণে এক না হইলে কিছু ক্ষতি নাই, বিভিন্নতাটাই তাহার সৌন্দর্য । রাজনীতিক্ষেত্রে প্রবেশ করিয়া রমণী অদ্বিতীয় সমর-সচিব না হইয়া যদি জগতে শাস্তি প্রতিষ্ঠা করেন, তাহাতে দুঃখ করিবার কিছু কারণ আছে কি ? চিকিৎসা-জগতে প্রবেশ করিয়া শ্রেষ্ঠতম অস্ত্রচিকিৎসক না হইয়া শিশুজীবনের উৎকর্ষ সাধন কিম্বা মানসিক ব্যাধি মোচন যদি করেন, তাহাতে জগতের দুঃখভার বাড়িবে কি ? শিল্প-জগতে প্রবেশ করিয়া র্যাফেলের প্রতিদ্বন্দ্বী না হইয়া দৈনন্দিন জীবনযাত্রা-পথের সকল উপকরণগুলি সৌন্দৰ্য্যমণ্ডিত করিয়া তুলিয়া মানুষের জীবন আর-একটু আনন্দময় করিলে কাহারও কিছু ক্ষতি হইবে কি ? রাষ্ট্র বাণিজ্য ব্যবসায় প্রভৃতি বৰ্ত্তমান জগতের বিরাট, বিরাট যন্ত্রগুলিকে পুরুষ ও স্ত্রী ঠিক একই চক্ষে দেখে না। যেখানে যেখানে স্ত্রী ও পুরুষ উভয়েই এইসকল যন্ত্রের নিকট-সম্পর্কে আসিয়াছে, সেইখানেই তাহাদের দৃষ্টির বিভিন্নতা ধরা পড়িয়াছে। পুরুষ যেখানে শুধু যন্ত্রটার অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ও কলকজারূপে মাতুষকে দেখিয়াই খুলী হইয়াছে, নারী সেখানে যন্ত্রটাকে উপেক্ষ করিয়া মানুষটাকে আগে দেখিয়াছে। পুরুষ অপরাধীরূপ বিকল যন্ত্রকে সায়েস্তা করিবার জন্য জেলখানারূপ আর-একটা যন্ত্র স্থাপন করিলেন, ক্ষুদ্র মানুষগুলার দিকে তাহার দৃষ্টি পড়িল না। কিন্তু নারী এলিজাবেথ ফাই মানুষের এই দুৰ্গতি দেখিয়া শিহরিয়া উঠিলেন, “এই দুর্দশাগ্রস্ত হতভাগ্যদের দুঃখ দুৰ্গতি মোচনের উপায় চিস্তাতে” মনপ্রাণ ঢালিয়। দিলেন ; তাহারই চেষ্টাতে কারা-সংস্কার বিষয়ে পালিয়ামেন্টের দৃষ্টি আকৃষ্ট হইল। পুরুষ জগতের দুঃখের কথা ভাবেন না একথা বলিতেছি না ; বহু বিশ্বজোড়া দুঃখমোচনে তাহারাই অগ্রণী হইয়াছেন ; বলিতেছি, তাহার বৃহৎ একটা সুবিধার অন্তরালে