88 কালো ! তার কূল নেই—শেষ নেই–সীমা নেই। ফুে দিন প্রথম দরিয়ায় ভেসেছিলুম সে দিন যেমন মনে হয়েছিল, এ অন্ধকারও ঠিক সেই রকম মনে হচ্ছে। আজ আবার যদি আমার বাংল-মায়ের বুকে ফিরে যেতে পারতুম ! ইয়োরোপের সব দেশের সেরা দেশ এই ইটালি । এর পত্র পল্লবে আমার বাংল-মার শ্যামল শোভার আমেজ আছে, এর নারীর চোখে আমার সোনার বাংলার করুণ কোমল স্নিগ্ধ শ্ৰী আছে। এর স্বর্য্যের আলো বিকাশের জন্য মেঘের অল্প গ্রহের ভিখারী হ’য়ে ব’সে থাকে না, এর চীদের আলে| নায়ে গ্রার প্রপাতের মত অজস্র উচ্ছ্বাসে উচ্ছ্বসিত হয়ে ফেটে পড়ে। ন্যান্সিকে বললুম মাথার সামনের জানালাটা খুলে’ দিতে । জানালীর ভিতর দিযে আদ্রিয়াতিকের নীল জল দেখা যাচ্ছে । নেীকে গুলোব চারি পাশ ঘিরে দাড়ের বঠের ছপ ছপানির আওয়াজ কার বুকের করুণ কান্নার মত শোনা যাচ্ছে! দাড়ের ঘায়ে উছলে ওঠা জলের কণাগুলো স্থধ্যের আলোতে জলছে। শিয়রে এসে দ্যান্সি দাঁড়াল । পশ্চিমের গায়ে ঢ’লে পড়া সুয্যের এক থোক আলে। তার বাম্পে ভর করুণ মুখখানির উপর পড়ে তারার বুকে আলোর বিন্দুর মত জলছে । আমি দুই হাতে ধীরে ধীরে তার মুখখানিকে কপালের উপর টেনে নিয়ে বল্লুম—জলের বুকে বেল|শেষের আলোট আজ ঠিক চাদের আলোর মত দেখাচ্ছে । এই চাদের আলোতে ‘গণ্ডোলায় ভাসার কথ। তোমার মনে পড়ে যান্সি । তার আত্তস্বর গুম্রে উঠে' বললে – ওগে থাম থাম । তার পর উচ্ছসিত হ’য়ে সে লুটিয়ে পড়ল আমার বুকের উপর । কতক্ষণ সংজ্ঞ-স্থাবার মত প'ড়ে ছিলুম মনে নেই। হঠাং সংজ্ঞা ফিরে পেয়ে ডাক্লুম-নীলা-নীলা— নীল – ন্যান্সি বুকের উপর হ’তে মুখপানি সরিয়ে নিয়ে চোখ দুটোর উদ্ধত অশ্রীর ধারা সংযত ক’রে জিজ্ঞেস করলে— ও কী নাম ? ও কার নাম ? ও কে ? নীলা যে মানুষ ছাড়া আর কিছু নয়.–সে যে পুরুষ প্রবাসী— কীৰ্ত্তিক, )-లిSe [ २8° छां★, २झे थ७ হতে পারে না এরি ভিতর সে কথাটা বুঝে নিয়েছে ন্যান্সি ! আমি তাকে বললুম—তোমাকেই ডাকৃছি ন্যান্সি আমাদের ভাষায় নীলের অর্থ নীলকান্ত মণি । তোমার চোখ দুটো ঠিক নীলকান্তমণির মত কিনা ! হতভাগিনীর মুখখানি একটা আকস্মিক আনন্দের আলোকে নবারুণের মত রাঙা হ’য়ে উঠল। পরপারের যাত্রী প্রিয়তমের এই মিথ্যে অাদরে হয়ত তার বাকী জীবনের অনেকগুলো দিনের পাথেয় সঞ্চিত হ’য়ে রইল । —কিন্তু বুকের ভিতর এ আমার কিসের ধস্তাধস্তি চলছে —দেহের সমস্ত রক্ত লিংড়ে বের ক’রে ফেলবার জন্য এ কার৷ মাতামাতি মুরু ক'রে দিয়েছে—একি গো— একি ! * * * চেয়ে দেখি হ্যান্সি বড় একটা গেলাস ভ’রে নিয়ে যাচ্ছে আমার তরুণ বুকের তাজা তপ্ত রক্তে। বুকের কোন নাড়াট। কোন ব্যথার টানে ছিড়ে গেল গো ! হ্যান্সিকে কতবার বলেছি—রোগটা বড় ছোয়াচে, আমার এত কাছে সে যেন ন ঘেসে । কিন্তু কই, সে ত শুনলে না, সে তো মেরি, মরিয়ম, মার্গারেটের মত আনন্দের পান-পাত্র নি:শেষ ক’রে বলঞ্জের পিকের মত আনন্দের গান শেষ করেনি ! কি পেয়েছে সে আমার ভিতর ? বসন্তেব আমেজ আমার জীবনের বেলাতট হ’তে যতই স'রে পড়ছে সে যে ততই আমাকে বুকের ভিতর টেনে নিচ্ছে—ম যেমন রুগ্ন মরণোন্মুখ ছেলেটিকে বুকের ভেতর টেনে রাখতে চায়। আমার হ্যান্সি ঠিক আমার বাংলার মেয়েদের মত ! 事 亲 肇 像 ন্যান্সি আমার মাথায় চুমে খেলে—‘রুবির মত তার লাল ঠোট দুটো আমার ঠোটের উপর এলিয়ে পড়েছে—ঠিক বর্ষার প্রথম মেঘ যেমন ক’রে ধরণীর বুকের উপর এলিয়ে পড়ে। চুমোর পুলকে আমার সারা দেহ শিউরে উঠছে—এ শিহরণ যে থামৃছে না গো—থামৃছে سحس-lة হাত হ’তে আমার কলম খ’সে পড়ছে - আবার চোখের পাতা ছেয়ে অন্ধকার নেমে আসছে—অন্ধকার— অন্ধকার—মোলা রাত্রির অন্ধকার হতেও গাঢ়—সমুদ্রের
পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।