পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্য। ] প্রয়োজন রহিল না । অপর দিকে জাৰ্ম্মান-সাম্রাজ্য ক্রমশ প্রবল হইয়। উঠাতে ইংরেজ ও ফরাসীর পক্ষে জাৰ্ম্মানীর শক্তি যাহাতে আব বুদ্ধিলাভ করিতে না পারে তাহার উপায় কর একান্ত প্রয়োজন হইয়। উঠিল। প্রাচে আপনার প্রভুত্ব স্থাপনের মানসে জাৰ্ম্মানী তুরস্কেব সহিত হৃদ্যত স্থাপন করিয়া সাৰ্ব্ব-মোসলেম ( pan-Islamic ) আন্দোলনের প্রতিপেীসকতা করিতে লাগিলেন। প্রাচ্যে জাৰ্ম্মানীর প্রভূত্ব বিস্তারে ইংরেজ ফরাসী ও রুশ বিব্রত হইয়া উঠিলেন । জাৰ্ম্মানীর বলবৃদ্ধি ফ্রান্স রাশিয়া ও ইংরেজের স্বার্থের প্রতিকূল হওয়াতে উক্ত তিন শক্তি পরস্পরকে সাহায্য করিবার জন্য মিত্র তাসুত্রে আবদ্ধ হইলেন । এই তিন শক্তির সম্মিলিত প্রভাবকে খবর করিবার ও ন্য জাৰ্ম্মানী অ}বীর অষ্ট্রীয় ও ইতালীর সহিত সখ্য-সূত্রে আবদ্ধ হইলেন । এইরূপে ত্রিমিত্রমিলনের ( Triple Alliance ) গতি ত্রয়ী ( Triple Entente ) রাষ্ট্রনীতির বিপরীত দিকে চলিতে লাগিল । এই দুইটি সম্মিল ও শক্তির স্বার্থের ধার বিপরীতগামী হওয়াতেই বিগত বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়। বিশ্বযুদ্ধের ফলে রাষ্ট্রধারায় যে নুতন আবর্ষের স্থষ্টি হইয়াছে, শক্তিপুঞ্জের পরম্পরের মধ্যে যে সন্দেহ জাগিয়াছে, স্বার্থের যে সংঘাত বাধিয়া উঠিয়াছে তাহতে শক্তিপুঞ্জের মধ্যে সূতন সমন্বয় একান্ত প্রয়োজনীয হইযl পড়িয়ছে -স্বার্থের দায়ে আবার নুতন করিয়া মিলন এবং নববিধোঁধের স্বষ্টি হইতেছে। লৌহ, তৈল এবং কয়লার মালিক।ণ লইয়া যে প্রতিযোগিতা চলিতেছে তাইtর ফলে যে কালে একটা লুণ্ঠন ইঙ্গাম। বাধিয উঠিবে তাহ বুঝিতে পারিয়৷ শক্তিপুঞ্জ আপনআপন বলবুদ্ধির উপায় পুজিতেছেন ; তাহার ফলে নুতন দলাদলির স্থষ্টি হইয়াছে । ফ্ৰান্স ও ইতালীর মধ্যে পরস্পবের প্রতি ঈধ পরস্পরকে বিপরীত পথে বহুদিন হইতে চালিত করিতেছে। ভূমধ্যসাগরের প্রভুত্ব লইয়াই ইতালী ও ইংরেজের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী৬ জাগিয় উঠাতে ইংরেজ ইতালীর প্রতিকুল । সেইজন্য ইতালী সোভিয়েটু রাশিয়ার সহিত হৃদ্যত করিবার জন্য ব্যাকুল । রুশ ও ইতালীর মধ্যে ব্যবসাবাণিজ্যের স্বত্রপাত হইতে দেখিয়া ফুন্সি ইউরোপের বাজারে আপনার প্রতিপত্তি অমুখ রাখিবর জন্য পোল্যও যুগেসুভিয়া ও চেকোস্লোভাকিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য-সংক্রাস্ত কতকগুলি ব্লফ করিয়া বসিলেন । মধ্য ইউরোপের এই রাজ্যগুলির বঁাচামাল বন্ধক রাখিয়া ফ্রান্স, ইংদের ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের জন্ত টাকা কঞ্জ দিয়াছেন । ইতালী যে সমস্ত স্থান হইতে তাহীর নিৰ্ম্মাণ-শিল্পের জন্ত কঁচামাল সংগ্ৰহ কবিত, ফ্ৰান্স একে একে সে-সমস্ত দেশকে হাত কবিয়া লওয়াতে ইতালীর সন্দেহ জন্সিয়াছে যে ফ্ৰান্স, ইতালীর ব্যবসাবাণিজ্যকে ধ্বংস করিবাব মতলব আঁটিয়াছে । ইভtঞ্জীর এপোক। (Hipoca ) নামক সংবাদ পত্র যtহ বলিয়াছেন তাহfব অনুসাদ ইংরেজী কাগজে এইরূপ প্রকাশিত laying

  • śnito—“France is gradually hands on all the sources of raw materials in Europe and she is barely

starve ltalian concealing her desire to Industries. Even if I’rance is more generous than she is expected to be, no supplies of raw material can compensate Italy for the break-up of the equilibrium of Europe and the establishment of a French power as wide as the continent.” So cq কাচামালের অভাব হুইবার ভূয়ে ইতালী বিব্রত হইয় পড়িয়াছেন দেশ-বিদেশের কথা—বিদেশ & 89 শক্তি-সমুহেব সমতা নষ্ট করিয়া ফান্স কে এমনই প্র ল পৰীক্ৰান্ত কবিয়া তুলিৰে যে চাহাব শক্তিকে প্রতিহত কৰা শক্তি প্লে সাধ্যে কুলাইবে ন! বলিয়৷ ই ভালীর মহা আতঙ্ক হইয়াছে । আর ইতালী মনে কবে যে ইতালী ও রুশের ভবিষ্যৎ সামবিক যোগাযোগের অস্তুরায় হই।ীর উদেশে মিলনের পথে একটি প্রাচীর গড়িয়া তুলার অভিসন্ধিতেই চেকোসুভাকিয়াব সহিত ফুঙ্গের মিলনের এত প্রয়াস । হংবেজও ফান্সের এই মিলন-প্রচেষ্টাকে অত্যন্ত বেশী রকম মাতামতি বলিহাই সন্দেহ করেন এবং ইংবেজের বিশ্বাস যে ইহার অন্তরালে ফুন্সের নিশ্চয় কোনও গোপন অভিসন্ধি রহিয়াছে । তাই ফুল কে চাপিয়া রাথিবীর জন্ত ইংরেজ টিউটন জাতির সহিত একটি মিলন সংঘটন করিবার চেষ্ট পাইতেছেন এবং অর্থাভluবর অজুহাতে যান্স যে ইংলণ্ডেব যুদ্ধপাণ এতদিন শোধ করেন নাই উহা আদায় কবিবার চেষ্টা দেখিতেছেন। ইংরেজ বলেন যে ফুসের য দ অর্থেরই অনাটন তবে মধ্যইউরোপীয় রাজ্যসমূহকে ঋণদান ফুন্সেব পক্ষে সম্ভব কিরূপে হইল ? এদিকে লে{জীন-বৈঠকে আপনার স্বর্থসিদ্ধি করিতে সমর্থ হইয়। তুংক্ষে বল ভরসা অনেক বাড়িয়া উঠিয়াছে। মুস্তাফা কামালের পরিচালনায় নবীন তুংঙ্ক অতি আশ্চৰ্য্যরূপ দক্ষতার সহিত অভিজ্ঞত গতিতে উন্নত হইয়। উঠিঠেছে। সমাজ- ও বাষ্ট্র সংস্কারে মুস্তফা কামাল তাহার সমস্ত শক্তিকে নিয়োজিত করিয়াছেন। ধৰ্ম্মের গোড়ামী হইতে রাষ্ট্রীয় আচার-ব্যবহাবকে মুক্ত করিয অতি উদার ভিত্তির উপর দুতন শাসন-ব্যবস্থা স্থাপন করিয়া তুবন্ধের রাষ্ট্রীয় শক্তিকে পুনৰ্জ্জীবিত করিয়াছেন । ধৰ্ম্মগুরু খলিফার শাসনের ক্ষমত কড়িয়া লইয়| শাসনপরিসদে গণপ্রাধান্ত স্থাপন করা হইযাছে । ব্যবস্থাপরিষ.দর এক নুতন আইনের বলে বহুবিবাহ নিষিদ্ধ হইয়াছে এবং বমণীর রাষ্ট্রীয় অধিকার স্বীকৃত হইয়াছে। সম্পূর্ণ আধুনিক প্রণালীর উন্নতিকর বিধিসমূহ একে একে প্রবর্ধিত হওয়াতে তুরস্ক সৰ্ব্বাংশে শ্ৰেষ্ঠজাতিসমুহের পর্য্যায়ভুক্ত হইবাব দাবী করিবার উপযুক্ত হুইয়t উঠিয়ছেন । কামালের স্বয় চতুব রাজনীতিক বুঝিতে পারিয়াছেন যে ইউরোপীয় শক্তি-সমন্বয়ের বিরুদ্ধে একাকী আঁটিয় উঠা তুরস্কেব পক্ষে সম্ভবপর হইবে না, এমনকি সৰ্ব্ব-মুসলমান আন্দোলন যদি কোনও দিন সফল হয় তাই। হইলেও সম্মিলিত শ্বেতকায় জাতির বিপক্ষে মোসলেম জগৎ মাথ৷ তুলিযা দঁাড়াইতে পরিবে না। তাই হাঙ্গেবি ও অষ্ট্রয়াকে মৃত্যুমুখ হইতে ফিরাইয়া আনিতে কামাল চেষ্টা পাইতেছেন । হাঙ্গেরি ও অষ্ট্ৰীয়ার অর্থাভাবে শাসন পৰিচালন কর। অসম্ভব হইয়। উঠি গুছিল ; দেশময় অরাজকত দেখা দিয়ছিল । ইউরোপীয় শক্তিবর্গ ই হাদিগকে রক্ষ। করিবাব চেষ্টা করিতেছেন না দেখিয়া তুরস্ক সৰ্বকার ঋণদান করিয়৷ এই দুইটি রাজ্যকে ধ্বংসের মুখ হইতে বক্ষণ করিয়াছেন এবং যাহাতে অtবর gg BDDB BBBgg BSBBS BDD KKD BB BBBt TT পাইতেছেন । মোটামুটি চারিটি বিপণীত স্বার্থের ধীর। ইউরোপীয় রাষ্ট্রনীতির মধ্যে বর্তমানযুগে প্রবাষ্ঠিত হইতেছে । প্রথম—ফরাসী ও মধ্যইউরোপীয় শক্তিবর্গের সম্মিলন, দ্বিতীয়-ইতালী ও রুশের মিলন-প্রচেষ্টl, তৃতীয়-ইংরেজ ও টিউটন জাতির মধ্যের প্রীতির বন্ধন, চতুর্থ—তুরস্কের সহিত গুঞ্জীয় ও হাঙ্গেরির মিলন । এই চারিটি শক্তিপুঞ্জের স্বার্থের সংঘাত যে রোধ ও ক্ষোভ জাগাইয়া তুলিবে, যে স্বেয হিংস ও ঈর্ষায় বহি জ্বালাইবে তাহ শাস্তিহার ইউরোপকে কোন মৃত্যুর মুখে লইয়। যাইলে কে জানে । জাতিতে জাতিতে এই যে বিদ্বেষ-বিষ ফুটয় উঠিতেন্ধে এই বিয