পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] অযোগ্য ও ধৰ্ব লোককে কেই চাকরী দেয় না ; কিন্তু লোকে যোগ্য পূৰ্ত্ত বিধৰ্ম্মী লোককে ও চাকরী দিতে কখন কখন বাধ্য হয়, যদি স্বধৰ্ম্মী যোগ্য লোক না পায় । কুষি ছাড়া অন্য অনেক রকম বৃত্তি ও পেশায় হিন্দুদের সংখ্যা বেশী । কিন্তু কতকগুলি কাজে মুসলমান বেশী। যথা, আসবাব এবং গৃহনিৰ্ম্মাণ সম্বন্ধীয় কাজ, গাড়োয়ানের কাজ, নদীর ষ্টীমবেব কাজ, নৌকার মাঝির কাজ, সমুদ্রগামী জাহাজে লস্করের কাজ, কলিকাত। বন্দরে জাহাজের মালখালাসী নৌকার কাজ, দরজী মাংসবিক্রেতা দপ্তরী, এবং ছাপাখানার জমাদার প্রভৃতির কাজ, চামড়ার ব্যবসা, ইত্যাদি। গাড়ী নৌকা প্রভৃতি বিক্রয়ের ব্যবসাতেও মুসলমানপ্রাধান্য আছে। কিন্তু সাধfবণত: ব্যবসাতে হিন্দুরা সংখ্যায় মুসলমানের তিন গুণ । - হিন্দুরা কতকগুলি পরায়ত্ত চাকরী লইয়। বাগ বিতণ্ডা করিতেছে । কিন্তু জমীই হইতেছে আসল সম্পত্ত্বি ; এবং ধে উহ। চাষ করে, কাল ক্ৰমে সে যে উইণর মালিক হইবেই, তাহাতে সন্দেহ নাই । সুতরাং চাষের কাজ হিন্দুর হাত হইতে মুসলমানের হাতে চলিয়া ধাওয়ায় হিন্দুব বেকুব ও অকৰ্ম্মণ্যতা প্রমাণিত হইতেছে । যোগ্যতা অনুসারে চাকরী না দেওয়ার ফল ছোট বা বড়, সরকার্বী কাজ যে-রকমেরই হউক না, তাহা ধোগ্যতমের দ্বার করাইলে যেমন ভাল হয়, কম যোগ্যের দ্বারা করাইলে তেমন হইবে না । অতএব, যোগ্যতাকেই প্রধান স্থান না দিয়া ধৰ্ম্মসম্প্রদায় অনুসারে অধিকাংশ সরকারী কাজ বিলি করিলে, দেশের কাজ কিছু খারাপ কিম্বা খুব খারাপ হইবে । ইহার কুফল দেশেব লোককে ভুগিতে হইবে ; এবং দেশের লোকের অধিকাংশই মুসলমান বলিয়া মুসলমানদিগকেই বেশী ভুগিতে হইবে । সরকারী চাকরীর সবগুলিই যদি মুসলমানের পান, তাহা হইলেও জোর চারি লক্ষ মুসলমানের আর্থিক সুবিধা হইবে ; কিন্তু কুফল ভুগিতে হইবে বাকী আড়াই কোটির উপর মুসলমানকে । দু'কোটির উপর হিন্দুকেও যে কুফল ভূগিতে বিবিধ প্রসঙ্গ—যোগ্যতা অনুসারে চাকরী না দেওয়ার ফল ৫৬৭ AeAMMAMMAMAMAMAeeeMMMMMMMMMeSeAMAeeeAMMAAASAASAASAASAA AAAS হইবে, তাহ মুসলমান নেতারা না হয় গ্রাহ নাই করিলেন । শিক্ষার উপর দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে । অতএব, ধৰ্ম্মনির্বিশেষে যোগ্যতমকে চাকরী না দিলে শিক্ষার বিস্তৃতি ও উন্নতি হইবে কি না, তাহাও বিবেচ্য । মুসলমান যদি হিন্দুর সমান উচ্চশিক্ষা না পাইয়াও চাকরী পান, তাহা হইলে উচ্চশিক্ষা লাভের চেষ্টার একটা কারণ মুসলমানদের মধ্যে কম প্রবল হইবে উচ্চতর শিক্ষা পাইয়াও হিন্দু যদি দেখে যে তাহ অপেক্ষা কম শিক্ষিত মুসলমান চাকরী পাইতেছে, তাহা তাহারও উচ্চশিক্ষা লাভে আগ্রহ কমিতে পারে। অতএব ধৰ্ম্ম অনুসারে চাকরী ভাগ করিলে উভয় সম্প্রদায়েরই শিক্ষার ক্ষতি হইবে । জ্ঞানের জন্যই জ্ঞান লাভ, শুনিতে ভাল এবং উহা উচ্চ আদর্শও বটে। কিন্তু সাধfবণতঃ মানুষ সব রকম চেষ্টারই পুরস্কার পাইতে ইচ্ছা করে, ইহা তুলিলে চলিবে না। হিন্দুসমাজের নিম্নশ্রেণীসকল হইতে মুসলমান আমলে এবং তাহার পরেও অনেকে মুসলমান হইয়াছে। তাহার একটা প্রবল কারণ, হিন্দু-সমাজে অনেক জা’ত অস্পৃশ্য ও অনাচরণীয় বিবেচিত হয় ; কিন্তু তাহার মুসলমান হইলে তাহাদিগকে অন্য মুসলমানের অস্পৃশ্ব ও অনাচরণীয় মনে করে না । ইহা একটা মস্ত সামাজিক সুবিধা । এই-সব জা’ক্তের লোকসংখ্য অনুসারে চাকরী তাহারা কখনও পায় নাই ; উচ্চ শ্রেণার হিন্দুরাও কথন বলেন নাই, যে, যেহেতু তাহীর সংখ্যায় অনেক, অতএব তাহারা শিক্ষায় অনগ্রসর হইলেও শতকরা এতগুলি চাকরী তাঁহাদের পাওয়া উচিত। তাহীদের মধ্যে অনেক জা’ত শিক্ষায় মুসলমানদের চেয়ে বেশী অগ্রসর, কোন কোনটি বা মুসলমানের চেয়েও কম অগ্রসর । কিন্তু বেশী বা কম অগ্রসর, যাহাই তাহারা হউক, চাকরীর একটা নির্দিষ্ট অংশ তাহারা পাক, হিন্দু স্বরাজ্য-সভ্যেরা ইহা বলেন নাই, বলিবেন ও মা । হিন্দু স্বরাজ্যবাদীরা তাহদের অস্পৃশ্বতা অনাচরণীয়তাও কাৰ্য্যত দূর করিতেছেন না। কিন্তু তাহারা মুসলমান হইলে তাহাদের অস্পৃশ্যতাও ঘুচে, চাকরীর একট। হইলে