পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্য। ]

  • بحیرہ سینمحممہ

আমাদের মনে হয়, কোন পক্ষেরই অবুঝ হওয়া উচিত নয়। হিন্দুর মনের ভাব বুঝিয়া মুসলমানদের যথাসম্ভব কম গোবধ এবং নিভৃত স্থানে গোবধ করা কৰ্ত্তব্য । অন্য দিকে, দরিদ্রতর মুসলমানের খাদ্য এবং ধৰ্ম্মানুষ্ঠানের জন্য অবশ্যক বলিয়া উহা একেবারে আইন দ্বারা বন্ধ , বাষ্টবার চেষ্টা করাও হিন্দুদের উচিত নহে। বাংলা দেশের বাহিরে অধিকাংশ, ব্রাহ্মণ মাছ মাংস খান না । বাংলা দেশের হিন্দুদের সব জাতির লোক মাছ মাংস ভক্ষণে এবং দুর্গা-পূজা কালী-পূজা প্রভৃতিতে ছাগ বলিদানে অভ্যস্ত। সেই কারণে অন্যান্য প্রদেশের ব্রাহ্মণ ও অন্য কোন কোন নিরামিষভোজী জাতির পক্ষে বঙ্গের ব্রাহ্মণদের মৎস্যমাংস ভোজন এবং ছাগ বলিদান একেবারে বন্ধ করিবার চেষ্টা অমুচিত হইবে । ইহাও মনে রাখা উচিত, যে, অতীত কালে এক সময়ে ভারতীয় আর্য্যদের মধ্যে গোমেধ যজ্ঞ এবং থাস্থে্যুব জন্য গোবধ প্রচলিত ছিল । “বদমাষ সম্প্রদায়” মৌলানা সাহেবের একথা ঠিক, যে, বদমাষরা হিন্দুও নয়, মুসলমানও নয়, তাহারা এক আলাদা সম্প্রদায় । কারণ ইহা সত্য, যে, হিন্দুর ধৰ্ম্ম বা মুসলমান ধৰ্ম্ম, কোন ধৰ্ম্মই বদমায়েযী করিতে বলে না । ইহার উপর আমরা একটা কথা বলিতে চাই । যখনই যেখানে দাঙ্গা হাঙ্গামা ছুইবে, তখনই সেই স্থানের ভিন্ন ভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতারা যেন স্থির করেন, যে, দাঙ্গায় লিপ্ত অধিকাংশ বদমাষ কোন কোন সম্প্রদায়ে জন্মগ্রহণ করিয়াছিল । যখনই দেখা যাইবে, যে, কোন বিশেষ বিশেষ সম্প্রদায় বেশীর ভাগ বদমাষকে জন্ম দিয়াছে, তখনই সেই সেই সম্প্রদায়ের নেতা ও ধর্মোপদেষ্টারা যেন নিজ নিজ সম্প্রদায়ের লোকদিগের মধ্যে স্বশিক্ষা বিস্তারের স্থায়ী চেষ্টা করিতে থাকেন । “শুদ্ধি” ও সংঘবন্ধন “শুদ্ধি” এবং হিন্দুদের সংঘবদ্ধ হইবার চেষ্টাতে মৌলানা সাহেৰ কোন দোষ দেখেন নাই ; কিন্তু তিনি বিবিধ প্রসঙ্গ—.*:শুদ্ধি” ও সংঘবন্ধন A S A S A SMSAAAA AAASA SAASAASSAAAAAAS AAAMSMASA SAeS SAS A SAS SSAS SSAAAASAAAA «ፃና S AAAAAS AAAA S AAAeS AAAAA SAAA AAAA SAAAA SAS A SAS AA SM MMS SAS S S AAAAA AAAA AAAA D MA S A S A S A ۹ جمعیت ه عیعه می ۹ع ع۹ مه বলেন, যে, অস্ত্যজ অনুন্নত জাতি-সকলের উন্নতির জন্য ও তাহাদের প্রতি স্যায়সঙ্গত ব্যবহার করিবার জন্তই যেন হিন্দুরা এই-সকল চেষ্টা করেন, দল পুরু করিয়া প্রতিশোধ লইবার জন্ত যেন না করেন । মৌলানা সাহেবের একথা সত্য, যে, খৃষ্টিয়ান মিশনারীরা যে হাজার হাজার নিম্নশ্রেণীর লোকদিগকে খৃষ্টিয়ান করিতেছেন, তাহাতে হিন্দু কাগজওয়ালার চীৎকার করেন না, কিন্তু মুসলমানরা তাহাদিগকে মুসলমান করিবার চেষ্টা করিলে তাহার চেচাইবেন । কিন্তু ইহাও সত্য, যে, মুসলমানেরাও খুষ্টিয়ান পাদরীদের অন্যধৰ্ম্মাবলম্বীদিগকে খুষ্টিয়ান করিবার চেষ্টায় বিচলিত ও উত্তেজিত হইয়া চীৎকার করেন নাই, কিন্তু আর্য্যসমাজ ও হিন্দুদের “শুদ্ধি” প্রচেষ্টায় উত্তেজিত হইয়াছেন। মৌলানা সাহেব এই কথাটি বলেন নাই । তিনি তাহার অভিভাষণে অনেক স্থলেই নিরপেক্ষভাবে উভয় দিক দেখিয়া কথা বলিয়াছেন, কিন্তু কোন কোন স্থলে দুই দিক্‌ দেখিতে পারেন নাই । সত্য ও ন্যায়ের খাতিরে, খৃষ্টিয়ান পাদরী ও মুসলমান মোল্লাদের স্বধৰ্ম্মীর সংখ্যা বৃদ্ধির চেষ্টার একটা প্রধান প্রভেদের উল্লেখ করিতে হইবে । খৃষ্টিয়ান পাদরীর যাহাদিগকে বাপ্তাইজ করেন, তাহাঁদের সাধারণ ও ধৰ্ম্মসম্বন্ধীয় শিক্ষার জন্য স্কুল স্থাপন করিবার ও তদ্বার তাহদের অবস্থার উন্নতি করিবার চেষ্টা করেন । কিন্তু মুসলমান সম্প্রদায় সেরূপ কিছু করেন না। ফলে আমরা দেখিতে পাই, যে, নিরক্ষরতা ও ইসলাম ধৰ্ম্মের অমূল্য উপদেশ-সকল সম্বন্ধে অজ্ঞতা এবং প্রয়োজন অনুসারে ধৰ্ম্মান্ধতা ও ধৰ্ম্মোন্মত্তত সাধারণ মুসলমানদের মধ্যে যতটা দেখা যায়, অন্ত কোন সম্প্রদায়ে ততটা দেখা যায় না। নিরক্ষরত ধরুন । নীচের তালিকা ১৯২১ সালের বঙ্গের সেন্সস্ হইতে গৃহীত। সংখ্যাগুলি স্ত্রী পুরুষ উভয় জাতির সম্মিলিত সংখ্যা । ধৰ্ম্ম হাজারে লিখনপঠনক্ষম হাজারে ইংরেজী-জন হিন্দু )@b" \నిని মুসলমান @సె &وت

  • * *

দেশী খষ্টিয়ান ২৩৬