পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্য। ] S SAAAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS পীঠে ও পণ্ডিতসভায় ষাইতেন । তীর্থদর্শন ত ছিলই । জাৰ্শ্বেনীতে ছাত্রদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিল্পকেন্দ্রে শিল্পকেন্দ্রে ঘুরিয়া বেড়ানো, শিক্ষিতসমাজে স্বপরিজ্ঞাত । বস্তুত:, নিজের দেশ ছাড়া অন্ত আরও স্থান না দেখিলে মামুষের শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ হয় ন, মাহৰ কুপমণ্ডুক থাকিয়া যায়। কথিত আছে, একবার মানস সরোবরের এক রাজহংস বঙ্গের এক ডোবায় আলিয়া পড়ে। ভোবার পাতি হাস মরালকে মানসসরোবরে কি আছে জিজ্ঞাসা করায় মরাল তথাকার নীল শতদল প্রভৃতির বর্ণনা করে। ডোবার পাতি হাস তাহার রস গ্রহণ করিতে না পারিয়া বিন্দ্রপের স্বরে জিজ্ঞাসা করে, সেখানে শামুক গুগলি আছে ? মরাল বলে, নাই । তাহাতে পাতিহাসের দল হি হি করিয়া হাসিয়া তাহার প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করে । যাহারা চিরকাল নিজের গ্রামের ক্ষুদ্র জিনিষ লইয়াই ব্যাপৃত থাকে, তাহারা ভোবাকে সমুদ্র এবং উইঢিবিকে হিমালয় মনে করিতে পারে। দেশভ্রমণ এই কুপমণ্ড কত দূর করিতে পারে। আমরা প্রবাসী বাঙালীরা কাৰ্য্যগতিকে বাংলা ছাড়া অন্ত স্থানেরও অভিজ্ঞতা লাভ করি ; বরং কেহ কেহ বাংলাদেশকেই কম জানি চিনি। এই হেতু, প্রবাসী বাঙালীরা, ভিন্ন ভিন্ন ভাষার সাহিত্য, ভিন্ন ভিন্ন সমাজের রীতিনীতি, বিচিত্র শিল্পকলা, প্রভৃতির অভিজ্ঞতা বঙ্গের রাঙালী অপেক্ষ সহজে অর্জন করিতে পারেন । কিন্তু দেখিবার চোখ শুনিবার কান চাই, অমুসন্ধিৎসা চাই ; সৰ্ব্বোপরি চাই শ্রদ্ধা ও প্রীতি। আমরা যদি মনে করি, আমাদের অজ্ঞাতসারে মনের কোণেও যদি এই বিশ্বাস লুক্কায়িত থাকে, যে, আমরা সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ জাতি, সৰ্ব্বগুণাধার, আমাদের কাহারও কাছে কিছুই শিখিবার নাই, তাহা হইলে সমস্ত পৃথিবী পৰ্য্যটন করিয়া আসিলেও আমাদের কোন উপকার হইবে না। কিন্তু আমরা প্রবাসী বাঙালীরা যদি অনুসন্ধিৎস্ব বিনীত শ্রদ্ধাম্বিত ও প্রীতিমান হই, তাহা হইলে নানা দেশে-প্রদেশে নানাবিধ অভিজ্ঞতা অর্জন করিয়া সমগ্র বাঙালী জাতিকে উদারতর এবং অধিকতর জ্ঞানবান করিয়া বাঙালীত্বের প্রসার ও গভীরতা বর্ধন করিতে পারিব । প্রবাসী বাঙালীদিগের প্রতি অামার নিবেদন && اے ہے .۔ ہم ایسی حصہ حاص حا- حصہ ۔ یہ • এমন এক সময় ছিল, শুনিয়াছি, যখন প্রবাসী বাঙালীর বঙ্গের বাঙালীদের পরিহাস উপহাস ও অবজ্ঞার পাত্র ছিলেন। ইহা সত্য, ষে, বহু পূর্বে ইংরেজ শাসনকালের প্রারম্ভে, যে-সব বাঙালী যুবক শিক্ষার অল্পত বা অন্ত কোনপ্রকার অবস্থাবৈগুণ্যবশতঃ বঙ্গে উপার্জন করিতে পারিতেন না, প্রধানতঃ তাহারাই “বিদেশে” যাইতেন । কিন্তু এইসব যুবক পণ্ডিত না হইলেও, একটা কথা সকলকেই স্বীকার করিতে হক্টবে, যে, তাহাদের স্বাবলম্বন, আত্মনির্ভর-শীলতা, পৌরুষ ছিল যাহারা অনিশ্চিতকে ভয় করে না, যাহারা অজ্ঞাতের সম্মুখীন হইবার সাহস রাখে, তাহারা মানুষ হিসাবে খাটো নয়। নিজের ঘরের কোণে একটু স্থান পাওয়া বা করিয়া লওয়া সোজা ; কিন্তু ঘরের বাহিরে গিয়। নিজের পায়ের উপর দাড়াইতে পারা এবং প্রতিষ্ঠা লাভ করা কঠিনতর কাজ । যে-সব ইংরেজ বিদেশে গিয়া প্রথমে বাণিজ্য ব্যবসা দ্বারা, সাম্রাজ্য স্থাপন দ্বারা, ইংলণ্ডের শক্তি ও সম্পদ বাড়াইয়াছে, তাহারাও অক্সফোর্ড, কেন্থিজের ডি-এস্ সী, পি-এইচ ডি ছিল না । তাহীদের অনেকের স্বভাবচরিত্র ভাল ছিল না; সে-বিষয়ে তাহারা প্রশংসনীয় বা অনুকরণযোগ্য নহে বটে ; কিন্তু তাহাদের সাহস ও পুরুষকার নিশ্চয়ই ছিল এবং তাহ প্রশংসার ধোগ্য । বহু পূর্বের প্রবাসী বাঙালীদিগের সহিত এইসকল ইউরোপীয়ের তুলনা আমি করিতেছি না। আমি কেবল দৃষ্টাস্তস্থলে তাহাদের উল্লেখ করিলাম। এবং তাঁহাদের দৃষ্টাস্ত দিবার আমার একমাত্র উদ্বেগু এই, যে, পাণ্ডিত্যের যেমন মূল্য আছে, তেমনি স্বাবলম্বনের, সাহসের, পুরুষকারের, প্রতিকুল অবস্থার সহিত সংগ্রাম করিবার শক্তিরঙ মূল্য আছে। এবং এই শেষোক্ত গুণগুলিতে বহুপূৰ্ব্বের প্রবাসী বাঙালীরা হীন ছিলেন না । সেদিন বহুদিন হইল গত হইয়াছে। বহুবৎসর হইতে, বাঙালীদের মধ্যে বরেণ্য অনেক পণ্ডিত ব্যক্তি, অনেক গ্রন্থকার, অনেক বিচারপতি, অনেক চিকিৎসক, অনেক ঐতিহাসিক, অনেক বৈজ্ঞানিক, অনেক ব্যবসায়ী, অনেক ধর্বোপদেষ্ট ও লোকহিতসাধক --