পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q文 রূপ জাল দিয়ে আমায়ু ধিবৃছিল তা টুকুরে টুক্‌রে। হ'য়ে ছিড়ে ধুলায় লুটিয়ে পড়েছে । আজি সন্ধ্য।বেলায় বেণুব সম্বে ছাদে ফুলের টবে জল দিচ্ছি, রেণু বললে –এই টর্টায়ু বেশী জল দা না, আমি আর পারছি না। বল্লুম, কৈ টবে গাছ কৈ ? সে অবাক হ'যে বললে,—ব, তুমি যে টাকাট। দিয়েছিলে, সেট। ওতে ত পুতে বেগেছি, দেখবে পরশুদিন কেমন টাকার গাছ হবে । মা গল্প করতে ধরে নিয়ে গেলেন । কথায় কথায় অতসীর কথা উঠল । মা বললেন,—দেখ, ওর মা মরার সময় ওকে অমাব হাতে দিয়ে গেছেন বললেন— দিদি, সরসীকে তোমাব হাতে দিলেছি, অতসীকে তোমাব কাছে দিয়ে নিশ্চিস্ত হ’লে মরচি, তুমি ওকে ঠিক পাত্রেই দেবে জানি । ত৷ দেপ, এতদিন ও বিয়েব কথা বললে হাড়ে জলে' উঠত, এখন তোব উপব একটু টান ই মেছে দেখছি । তুষ্ট কি বলিস বল ? হেসে বললুম-একটু টান হয়েছে ? আমার মত লক্ষ্মীছাড়া ! মা বললেন,—চুপ কর হত ভাগ স্বরেশ বলছে, তোর দু'জনে মিলে একটা কাগজ বেব কবু, ও তার টাকা দেবে। ধীৰে বল্পম.–মা, তুমি ত કાન મન ન હતા ક્ષા তুললে ? g বুঝলুম, মাল মনে বেদন লাগল। ধাবে হাতখানি ধবে’ আদব করতে লগ লুন । তবে পর জানি না কেমন কবে" জ্যোংল ব কথা উঠল, আমি দেড় বছর বাংলায় নেই তাদের কথা কিছুই জানি না। মা বললেন, জ্যোংস্কর স্বামী গেল বছব মারা গেছে, জমিদাবেল ছেলে মদ থেযে লিভারের অমুখ করলে, বুকটাও খাবাপ ছিল । আৰ্ত্তনাদ কবে" উঠলুম—সে বে মন আছে মা ? ম! ধীরে বললেন, – তোর কপ ভেবে তাকে একবার দেখতে গিয়েছিলুম, যখন এসে দাড়াল, বুকটা ফেটে গেল রে ; একটু কাদলে না, শুধু মুখটা বুকে গু জে' পড়ে রইল । তার প্রবাসী-কাৰ্ত্তিক, ১৩৩• [ २७° छाभ्, २$ १७ AMASAMMAMMMSAAAAASA SAASAASSAAAAAAS SAAAAAMAeMAMAAASAASAASAAAS তার পর মা ষে কত কি বলে যেতে লাগলেন কিছুই আমার কানে এল না । অনেক রাত পর্য্যন্ত মার কাছে জ্যেtংস্নীর সব কথা শুনতে লাগ লুম। সেই আমার চিরতরুণী জ্যোৎস্ন। — বিয়ের রাতে লালচেলীপরা তার প্রতিমার মত মূৰ্ত্তিটি চোথে আঁকা রয়েছে। এখন সে বৃহৎ জমিদার-পরিবারের কত্রী, এপন ও সে তেমনি স্নিগ্ধ মধুর দিব্যশ্ৰী। মার কথা শুনতে শুনতে সেই শুভ্ৰবসনপরিহিত কল্যাণী লক্ষ্মীর ছবিটি ভাব ছিলুম, ভেনাসের মত মুখখানি এখন ম্যাডোনার মত হয়েছে। জিজ্ঞাস করলুম—তার ছেলেটি কেমন হয়েছে মা ? মা বললেন,-কি মুন্দর হয়েছে রে, কি শাস্ত, নম্র, আমায় প্রণাম কবে এমন সুন্দরমূখে দাঁড়াল : বুকে কি একট। বেদন হচ্ছে, উঃ, সেই মাত{লট । ভাব চি জীবনট। কি ? আমাকে দিয়ে বিশ্বশক্তি কি করাতে চায়। ধরে, এই স্বরেশ, তার হাইকোট, মক্কেল, মোটর, স্ত্রীকণ্ঠ নিয়ে বেশ স্নাথে আছে, কিন্তু অামি ত এমনি করে শাস্তু হ’ধে থাকতে পারি না। আমার হাতে তোমার পশিকে দিলে না প্ৰভু, তোমার বজকে দিলে, আমাব কপালে তোমার দুঃপের অগ্নিতিলক জালিয়ে দিলে! ইচ্ছে করছে, একটা ধূমকেতুর মত পৃথিবীব এক প্রান্ত হ’তে অপর প্রাস্ত পয্যন্ত ছুটে যাই, অগ্নিপুচ্ছ দিয়ে সব অত্যাচারীদের দগ্ধ করে, রাজার মুকুট খসিযে, ধরণীর প্রাসাদ জালিয়ে, শক্তিব দম্ভ ধূলায় লুটিয়ে, এই সমাজতন্ত্র রাজতন্ত্র চরমার করে । ( & ) অতসী ধরে ফেলেছে আবার অামার মনটা বিকল হয়েছে । জুপুরে রেণুর সঙ্গে খেলায় বেশ মন দিতে পারছিলুম না, সে রেগে আমার সঙ্গে আড়ি করে চলে’ গেল। এবার বুঝছি এখান থেকে বেরিয়ে যাবার সময় এসেছে । অতসী আমাকে লাইব্রেরীতে ধরে নিয়ে গেল, বললে –আবার কি ভাব চ ? কাল সারারাত ঘুমাওনি— ছাদে ঘুরেচ ।