পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] حمیر حسیبی، حمیریه-سیاه - ۳ কিন্তু শিক্ষিত আসামী ও ওড়িয়া মাত্রেই বাংলা বলিতে ও পড়িতে পারেন । অনেক শিক্ষিত বিহারীও পারেন। সমগ্র আসামে ও ওড়িষাতে বাংলার প্রচলন হইবার - সম্ভাবনা খুবই ছিল ; রাজনৈতিক কারণে তাহা হইতে পারে নাই । কিন্তু বঙ্গীয় শিক্ষা জ্ঞান ও সভ্যতার অলক্ষিত প্রসার ও ব্যাপ্তি দ্বারা অনেকটা কাজ হইতেছে । সমগ্র ৰিহারেও বাংলা সাহিত্যিক ভাষা হইতে পারিত। ন৷ হওয়ার মূলে রাজনৈতিক কারণ আছে ; কিন্তু ইহার জন্য আমাদের শ্রদ্ধা ও প্রীতির অভাব, সহানুভূতিপূর্ণ ব্যবহারের অভাবও যে কিয়ুৎপরিমাণে দায়ী, তাহ{ অস্বীকার করা ষায় না । হিনী না হইয়া বাংলা কেন বিহারের সাহিত্যিক ভাষা হইতে পারিত, তাহার কারণ বলিতেছি । ১৯০১ এর সেন্সস রিপোর্টের এথম ভলুমের ৩১৮ পৃষ্ঠায় অাছে :– “The face of the Bihari is ever turned to wards the north-west ; from Bengal he has only experienced hostile invasions. l'or these reasons, the language of Bihar has often been eonsidered to bc a form of the **IIindi" said to be spoken in the United Provinces, but really nothing can be farther from the fact. of the hostile feeling with which Biharis regard everything In spite connected with l8engal, their language is a sister of Bengali, and only a distant cousin of the tongue spoken to its west. Like Bengali and Oriya, it is a direct descendant of the old Magadha Apabhramsa.” তা ছাড়া, ইহাও সকলেই জানেন, যে, মৈথিলী অক্ষর ও বাংলা অক্ষর মূলে ঠিক এক । বিদ্যাপতিকে মিথিলার লোকেরা ও আমরা উভয়েই নিজেদের কবি মনে করি । অতএব, হয় বিহারী ভাষাই বিহারের সাহিত্যিক ভাষা হইয়া পুস্তকে সাময়িক পত্রে খবরের কাগজে শিক্ষালয়ে আদালতে ব্যবহৃত হওয়া প্রবাসী বাঙালীদিগের প্রতি আমার নিবেদন SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSASASAMSMMSMSMS ৫৯৭ SS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS S S AAAA SS AASAASAASSAAAAAAS AAAAAS AAAASS স্বাভাবিক ছিল ; নতুবা বাংলারই ঐ স্থান পাওনা ছিল। কিন্তু হিন্দী ঐ স্থান পাইয়াছে। ইহার জন্য রাজনৈতিক কারণ দায়ী ; জামরাও কিছু দায়ী। যাহা হউক, বঙ্গীয় শিক্ষা জ্ঞান ও সভ্যতার অলুক্ষিত প্রসার- ও ব্যাপ্তি-প্রযুক্ত, এখনও বাংলা সাহিত্য পাচ কোটি অপেক্ষা অনেক বেশী লোকের দ্বারা অধীত হইতে পারে । তাহাতে উহার শক্তি ও সমৃদ্ধি বাড়িবে। আমরা বাংলা সাহিত্যে যত আত্মিক শক্তি নিয়োগ করিয়া যত গভীরতা, উদারতা, গাম্ভীৰ্য্য, শক্তি, আনন্দ উছাতে নিহিত করিতে পারিব, উহা তত বড় সাহিত্য হইবে । তা ছাড়া, আমরা নিজ নিজ জীবন ও কার্য্যের দ্বারা যত বেশী অবাঙালী লোকের শ্রদ্ধা ও প্রীতি ও সহানুভূতি আকর্ষণ করতে পারিব, আমাদের সাহিত্যও তত বেশী লোকের অাদরের জিনিষ হইবার সম্ভাবনা । কিন্তু শ্রদ্ধা, প্রীতি ও সহানুভূতি অপরকে ন দিলে অপরের শ্রদ্ধা, প্রীতি ও সহানুভূতি পাওয়া যায় না। অতএব আমরা যদি বাংলা সাহিত্যের মঙ্গল চাই, প্রসার চাই, প্রতিষ্ঠা ও শক্তি ও প্রভাবের বৃদ্ধি চাই, তাহা হইলে মনে রাখিয়া চলিতে হইবে – “অৱং নিজ পরে বেতি গণনা লঘুচেতসাম্। উদারচরিতানাস্তু বস্তুধৈব কুটুম্বকম্ ॥” “লঘুচেতা লোকেরা মনে করে অমুক আমার আপনার জন, অমুক পর ; কিন্তু উদারচরিত ব্যক্তিগণ পৃথিবীর সকলকেই আত্মীয় মনে করেন।” মই পৌষ, ১৩৩০ । ২৫শে ডিসেম্বর, ১৯২৩ । { এই প্রবন্ধের সহিত মুদ্রিত ফোটোগ্রাফ, এলাহাবাদের ফোটোগ্রাফার শ্ৰীযুক্ত ডি এন রায় কর্তৃক গৃহীত এবং উাহার সৌজন্তে প্রাপ্ত । ] ঐ রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়