পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] বৌদ্ধদিগের প্রেত-তত্ত্ব , বৌদ্ধদিগের প্রেত-তত্ত্ব পেতবখ, এবং তাহার ভায্যে প্রেতের আলোচনা। প্রেত সম্বন্ধে বৌদ্ধ ধারণাকে ভালরূপে বুঝিতে হইলে পেতবখর শরণাপন্ন হওয়া দরকার। কারণ এই গ্রন্থখানিতে প্ৰেত,সম্বন্ধে অর্থাং মুত ব্যক্তিদের আত্মা সম্বন্ধে বিশদ ভাবে আলোচনা করা হইয়াছে। দক্ষিণাত্যে কাঞ্চিপুর নামক স্থানের ধৰ্ম্মপাল, গ্রন্থখানির ভাষ্য লিখিয়৷ গিয়াছেন । তাহার ভায্যে মূল গ্রস্থে যে-সব গল্পের কেবলমাত্র ইঙ্গিত আছে, সেই-সব গল্পের বিস্তৃত বিবরণ দেওয হইয়াছে। ধৰ্ম্মপাল এই-সব গল্প বৌদ্ধ ইতিকথা হইতে ংগ্ৰহ করিয়াছিলেন । কেবলমাত্র শোনা গল্পই যে এই-সব ইতিকথার ভিত্তি তাহ নহে, সিংহলের মঠসমূহে যে-সমস্ত পুরাতন ভাষ্য ( অটুঠ-কথা ) সংরক্ষিত আছে তাহার ভিতরেও এগুলিব উল্লেখ আছে। খৃষ্টপর পঞ্চম শতাব্দীর প্রথম ভাগে বুদ্ধঘোষ ত্রিপিটকের কতকগুলি বিশেষ অংশের অটুঠকথাকে সিংহলী ভাষা হইতে পালিতে অনুবাদ করিয়াছিলেন এবং উক্ত শতাব্দীর শেষ ভাগে ধৰ্ম্মপালের দ্বারা বাকী অটঠ-কথার অনেক অনুদিত হয় । পে তবখ, এই-সমস্ত অনুবাদের ভিতরকার একখানি গ্রন্থ । সুতরাং গ্রন্থখানিতে যে-সমস্ত গল্প লিপিবদ্ধ করা হইয়াছে তাহ ধৰ্ম্মপালের কল্পনা-প্রস্থত মনে করিবার কোনো কারণ নাই । তাহা প্রাচীন কাল হইতে বৌদ্ধ ইতিকথার ভিতর দিয়া সংরক্ষিত হইয়া আসিয়ছে । এই-সব গল্পের তিনটির সঙ্গে বুদ্ধঘোষ-প্রণীত ধৰ্ম্মপদঅটঠ-কথার তিনটি গল্পের আশ্চৰ্য্যজনক মিল আছে। স্বতরাং মনে হয় ধৰ্ম্মপাল এবং বুদ্ধঘোষ উভয়েই সিংহলী অটঠ-কথার ভিতর হইতে র্তাহীদের গ্রন্থের উপাদান সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন । ( ১ ) ধৰ্ম্মপাল তাহার গল্পগুলি ধৰ্ম্মপদ-অটঠ-কথা হইতে সংগ্ৰহ করিয়াছেন বলিয়। মিঃ *ifisco Stata “Buddhist Legends” atolo atto, অভিমত ব্যক্ত করিয়াছেন । কিন্তু উভয়েই এক স্থান হইতে উপাদান সংগ্ৰহ করিয়াছেন -এই মতই সমীচীন বলিয়া মনে হয় । - 8 -سیاسی به گ পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি ধৰ্ম্মপালের অটুঠ-কথা প্রেত সম্বন্ধে নানা রকমের তথ্যে পরিপূর্ণ। স্বতরাং এই বইখানি লইয়। ভাল-রকমে আলোচনা করিলে আত্মা সম্বন্ধে এবং প্ৰেত-লোক সম্বন্ধে বৌদ্ধ ধারণা সহজেই সুস্পষ্ট হইয়া উঠিতে পারে। এই কারণেই ধৰ্ম্মপালের পেতবখ, হইতে কতকগুলি বিশেষ বিশেষ প্রেতের বিবরণ এখানে উদ্ধৃত করিয়া দেওয়া হইতেছে । ধৰ্ম্মপালের এই গ্রন্থখানি পালি টেকৃষ্ট সোসাইটি কর্তৃক প্রকাশিত হইলেও এখন পৰ্য্যস্ত কোনো আধুনিক ভাষায় উহ! ভাষান্তরিত হয় নাই । ক্ষেত্ত,পমা পেত ( প্রেত ) ভায্যে এই প্রেতটি জনৈক শ্রেষ্ঠি-পুত্রের অশরীরী আত্মাকপে উক্ত হইয়াছে । ইহার পিতা বুদ্ধের জীবিতকালে প্রাচীন মগধের রাজধানী রাজগৃহের একজন প্রভূতধনশালী বণিক ছিলেন । এই প্রভূতধনশালী বণিকের সে ছাড়া আব কোনে সন্তানসন্ততি ছিল না । পিতামাতা মনে করিতেন যে তাহাদেব ধনভাণ্ডারে এই পুত্রটির জন্য অপরিমিত সম্পদ সঞ্চিত থাকিবে, দৈনিক সহস্ৰ মুদ্র হিসাবে ব্যয় করিলেও সে তাহ নিঃশেষ করিতে পরিবে না। এই ভাবিয়া তাঙ্গর পুত্রটির শিক্ষা সম্পূর্ণরূপেই অবহেলা করিলেন । ফলে কোনো শিল্পই সে আয়ত্ত করিতে পারিল না । তার পর সে বয়ঃপ্রাপ্ত হইলে একটি সুন্দরী এবং সদ্বংশজাত কন্যার সহিত তাহাকে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ করা হইল । কন্যাটি সুন্দরী এবং সদ্বংশজাত হইলেও বুদ্ধের উপদেশের প্রতি তাহার কিছুমাত্র শ্রদ্ধা ছিল না। এই পত্নীর সহিত শ্রেষ্ঠিপুত্রের দিন কেবলমাত্র অসার আমোদ-প্রমোদেই অতিবাহিত হইতে লাগিল। ইতিমধ্যে তাহার পিতা-মাতা ও পরলোকে গমন করিলেন । পিতামাতার মৃত্যুর পর সে সৰ্ব্বদ। এমন সব দুষ্ট লোকের দ্বারা পরিবৃত থাকিত যাহার ঠকাইয় তাহার অর্থ অপহরণ করিতে কিছুমাত্র ইতস্তত: করিত না । গায়ক, অভিনেতা " বা এই জাতী ।