পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o « رئ SAAAAAA AAAA AMMe AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA SAAAAA SAAAAA AMMA MA MAAA AAAAS AAAAA AAAAMMA AM MA AMMAMM AMAAA SAAAAAS S অন্যান্য বিলাস-সঙ্গীদিগকে অকাতরে দান করিয়া তাহার সমুদয় অর্থ অল্পদিনের মধ্যেই নিঃশেষ হইয়া গেল। অথচ কখনও সে ' ভ্রমবশতঃ কোনো ধৰ্ম্ম কৰ্ম্মে হস্তক্ষেপ করিত না । অবশেষে সে এরূপ ভাবে নিঃস্ব হইয়া পড়িল যে, উপায়াস্তর না থাকায় উক্ত নগরের এক অনাথশালায় আশ্রয় লইয়া সে ভিক্ষার দ্বারা জীবিক সংগ্ৰহ করিতে লাগিল । সহস একদিন একদল দম্যর সহিত তাহার পরিচয় হইতেই দম্ব্যরা তাহাকে দক্ষ্যবৃত্তি এবং চৌর্য্যবৃত্তি অবলম্বন করিতে উপদেশ প্রদান করিল। সে তাহীদের দলে যোগদান করিল বটে, কিন্তু প্রথম অভিযানের দিনই কোনো বস্তু অপহরণ করিবার পূৰ্ব্বেই ধরা পড়িয়া গেল। রাজা বিচার করিয়া তাহার মস্তকটি দেহচাত করিতে আদেশ প্রদান করিলেন। তাহাকে যখন বধ-মঞ্চে লইয়া যাওয়া হইতেছিল, তখন নগবের স্বন্দরী স্থলসী একদা-মহাধনী এবং দানশীল এই যুবকটির অবস্থা অবলোকন করিয়া দয়ার দ্বারা বিচলিত হইয়া মুহূৰ্ত্ত কাল অপেক্ষা করিবার জন্য কৰ্ম্মচারীকে অনুরোধ করিল। সে তাহাকে কিঞ্চিৎ মিষ্টান্ন এবং পানীয় জল প্রদান করিল। ঠিক সেই সময় জীবনের শেষ মুহূর্তে কোনো মহৎ দানের দ্বারা তাহাকে দানের পুণ্য অর্জন করিবার স্বযোগ দিবার নিমিত্ত তাহার নিকট মহা-মোগগন্নান ভিক্ষা-পাত্র হস্তে উপস্থিত হইলেন। বণিক-পুত্ৰ মনে করিল জীবনের এই শেষ মুহূৰ্ত্তে এই পানীয় এবং মিষ্টায়ের তাহার আর প্রয়োজন নাই, স্বতরাং সে কোনোরূপ ইতস্তত: না করিয়া সমস্ত পানীয় এবং আহাৰ্য্য মহামোগৃগল্লানকে উপহার প্রদান করিল। ইহার পর তাহার মুণ্ড দেহচ্যুত করা হইল। মহামোগগল্পানের মত একজন মহানুভব থেরকে এইরূপ দানের দ্বারা সে যে পুণ্য সঞ্চয় করিয়াছিল তাহার ফলে দেবতাদের বাসস্থান দেবলোকে জন্মগ্রহণ করাই তাহার উচিত ছিল। কিন্তু জীবনের শেষ মুহূর্তে স্থলসা তাহাকে একট। দানের অবসর প্রদান করিয়াছে বলিয়া তাহার মন মুলসার প্রতি কৃতজ্ঞতায় ভরিয়া গিয়াছিল । আর এই কৃতজ্ঞতার চিন্তা তাহার হৃদয় স্বলসার প্রতি ভালবাসাতেও পূর্ণ করিয়া দিয়াছিল। এই ভালবাসার প্রবাসাঁ-ফাঙ্কন, OLLE [ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড A S A S A S A S A S A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS ফলেই তাহাকে বহু নিম্নস্তরে একটি বটবৃক্ষে প্রেতরূপে জন্মগ্রহণ করিতে হইয়াছিল। স্কুলসার প্রতি তাহার আসক্তির এইখানেই শেষ নহে। একদিন স্থলসা তাহার আবাসস্থান বটবৃক্ষের নিম্নে আসিলে সে তাহার ভৌতিক মায়ার দ্বারা অন্ধকার এবং ঝড়ের স্বষ্টি করিয়া বসিল এবং তাহাকে অপহরণ করিয়া লইয়া গেল। এই অবস্থায় প্রেতটি এক সপ্তাহকাল তাহাকে নিজের কাছে রাখিয়া পরে বেলুবন-বিহারে যেখানে জনতার কাছে বুদ্ধ বক্তৃতা করিতেছিলেন সেই জনতার এক প্রান্তে রাখিয়া আসিয়াছিল । (Petavatthu Commentary, P.T.S., pp. 1-9) শূকরমুখ পেত কস্সপ নামে বুদ্ধেব সময় একজন ভিক্ষু ছিল । সে দেহকে সংযত করিতে শিক্ষা করিয়াছিল বটে, কিন্তু বাক্‌ তাহার মোটেই সংযত ছিল না । সে তাহার সহধৰ্ম্মী ভিক্ষুদিগকে যথেচ্ছ তিরস্কার করিত এবং অযথা তাহাদের কুৎসা রটনা করিত। মৃত্যুর পর নরকে সে পুনর্জন্ম লাভ করে । কিন্তু গৌতম বুদ্ধের সময় রাজগৃহের নিকট গিজুকুটে তাহার আবার নবজন্ম লাভ হয়। যে কৰ্ম্মফল ভোগ করা তখনও তাহার অবশিষ্ট ছিল তাহার ভোগ পূর্ণ করিবার জন্য ক্ষুধা এবং তৃষ্ণাব তাহার বিরাম ছিল না । তাহার দেহের বর্ণ ছিল স্বর্ণের মত উজ্জল, বিস্তু মুখের আকৃতি ছিল শূকরের মত। মহাত্মা নারদ গিজুকুট পৰ্ব্বতে বাস করিতেন। একদিন অতি প্রত্যুষে তিনি যখন ভিক্ষায় বাহির হইয়াছেন তখন এই শূকর-মুখ প্রেতের সহিত র্তাহার সাক্ষাৎ ঘটে। তিনি তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন—“তোমার দেহ স্বর্ণের মত উজ্জল ; তাহার ভিতর হইতে জ্যোতি বিকীর্ণ হইতেছে ; কিন্তু তোমার মুখ শূকরের মত। ইহার কারণ কি ?” প্রেত উত্তর করিল—“দেহে আমার ংযমের অভাব ছিল না, কিন্তু বাকৃ অত্যন্ত অসংযত ছিল। স্বতরাং আমার দেহ উজ্জল মুখ শূকরের মতন হইয়াছে। হে নারদ, তুমি আমার দুর্দশ স্বচক্ষে নিরীক্ষণ করিতেছ । স্বতরাং বাক্যে অসংযত হইয়া