পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& 8 মাগো ! কতরূপে তুমি আমার সঙ্গে কত লীলা করবে। এক ঝড়ের রাতে তুমি ছোট মা হ’য়ে কচি হাতের বাধনে বেঁধে ঘরে ; ফিরিয়ে আনলে, আর এক রাতে এ কি প্রলয়ঙ্করীরূপে ডাক দিয়ে ঘরছাড়। করছ । দীক্ষার রাতের কথা মনে পড়ছে । এমনি এক ঝড়ের রাতে বহু পুরাতন বট-গাছেব তলায় ভাঙা মন্দিরে কালীমূৰ্ত্তির সামনে প্রতিজ্ঞ করেছিলুম, এ জীবন মা’র কাজে উৎসর্গ করব । গৃহ ছাড় লুম, সব স্নেহবন্ধন ছিন্ন করলুম, অর্থ মান স্বপলেভ ত্যাগ করলুম। আছে শুধু শাণিত খড়গ, অত্যাচারীর মুগু, রক্তের স্রোত । এই ঝড়ের আকাশে কালীর বিশ্বরূপ দেখছি নিবিড়-তিমিরঘন কেশরাশি আকাশে ছেয়ে গেছে, বক্তাক্ত গড়েগর আভা মৃত্য কবে’ বেড়াচ্ছে, প্রলয়-উৎসবেল অট্টহাস্যের ম্রোতে রাজ্য-সাম্রাজ্য চূণ-বিচূর্ণ হ’য়ে যাচ্ছে । বিদ্যুতের চিকিমিকিতে অতসীর চোথের ৮াউনি জেগে উঠল । বাতাসে লাইব্রেরী-ঘরের জানলা গুলে। সশব্দে বাব বার খুলছে আর বন্ধ হচ্ছে । দরজ ঠেলে লাইব্রেপী ে• ঢুকলুম, অন্ধকারে আলোর স্বইচট খুজতে গিণে কার গায়ে হাত পড়ল,—শাউীব খসখসে-চুড়ির টং টংএ অন্ধকার কেঁপে উঠল, কেশের মদির গন্ধ, বিষ্ঠাতের মত স্পশ ! জানল দিয়ে বিদ্যুতেব, আলো চমকে গেল । দেখ লুম অতসীর অনির্বাচনীয় মুখ। তুমি ? ই, আমি । সমস্ত অন্ধকার তীব গল'র সুবে বেজে আমায় ঘিরে ধরলে । - দু'জনে ছাদে বেরিয়ে এলুম,--আজ ঝড়-জলে ওই বইয়ের গাদ ভেসে গেলে কিছুই যায় আসে না । কতক্ষণ দুজনে স্তব্ধ দাড়িয়ে রইলুম । સન્મ,– ફે (મ કેનોન ૮૬ાન 14ના (માન લિઝાડ জলে উঠছে,—তুমি দেপতে পচ্ছি না কিন্তু আমি পাচ্ছি,—পৃথিবী পুড়ে বিদ্রোহের আগুন জলে' উঠছে, নটরাজ তার ধ্বংসের লীল। সুর কয়লেন বলে । এক-এক প্রবাসী-কীৰ্ত্তিক,-১৩৩• A S AMM A S A S A S A S A S A SAS SSAS SSAS SSAS AAAAAS AAAAAS { ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড S SAAAS A SAS SSAS SSAS SSAS S S S S S S S S S SAAAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS S S AAAA S S S S দেশে তিনি তার পু৷ ছু ইয়ে যাচ্ছেন, রাজসিংহাসন ধূলায় লুটিয়ে পড়ছে,—একবার রুশিয়ায়, একবার চীনে, একবার আয়ল্যাণ্ডে, একবার তুবঙ্গে - রুদ্রের চরণ-চিহ্ন দেশে দেশে পড়ছে , যেখানে জাতিতে জাতিতে হিংসা-দ্বেষ অত্যু গ্র হ'য়ে উঠেছে, শতাব্দীর পর শতাব্দী নিপীড়িতের নিরুদ্ধ রোম জমে উঠেছে,— গুই ইয়োরোপের অস্তঃস্তলে ভীষণ অগ্ন্যুৎপাতের যত যুদ্ধাগ্নি জ্বলে’ উঠছে, ক্ষুব্ধ জনসংঘের বিদ্রোহের ভূমিকম্পে বৰ্ত্তমান বণিকূ-সভ্যত কোথায় তলিয়ে যাচ্ছে । দেশে দেশে সে আগুন ছড়িয়ে যাচ্ছে । আজ ঝড়ে রুদ্রের আগমনী বাজছে । আকুল ধারায় বৃষ্টি পড়তে আরম্ভ হ’ল । দুজনে বারান্দার কোণে সরে পাশাপাশি দাড়ালম আমার দীপ্ত মুপের দিকে চেয়ে সে শুধু বললে,-তুমি কি সত্যি যাবে ? শুধু তার মুখের দিকে চাইলুম । — তোমকে আমি বধি। দেব না, দরকার হবে ডাক দি ও । আমাদের ধিরে পড়ঙ্গল উদাম হ'য়ে উঠল । মাতার অামাকে যথম অশ্রু জল, প্রিয়fর হতাশ্বাস, পিচ্ছেদের হfহ করেব মাঝে প্ৰলম্ব-পপিককে চলে মেতে হবে । অতসীর কথা সেহ ঝ৬েব রাতে বন্ধু সে চলে’ গেণ তার পর গেল । প্ৰতিবছর একবার করে’ তার খবর পেতুম, রেণুর প্রতি-জন্মদিনে পৃথিবীর যে কোণেই সে থাকুক তার বিদ্রোহী ছেলের একটা উপহার এসে পৌছত । কোন বংসর নিউইয়র্ক থেকে, কোন বার প্যারিস থেকে, কোন বার বাগদাদ থেকে । বৰ্ত্তমান ধনিক-সভ্যতা ও রাষ্ট্ৰতন্ত্রেব ধ্বংসেচ্ছক যে পৃথিবীজোড়া বিপ্লবকারীর দল আছে, সে তাতে গিয়ে যোগ দিয়েছে । বন্ধু যখন ধুমকেতুর মত পৃথিবীর এক প্রান্ত হ'তে অপর প্রাস্ত ধরে বেড়িয়েছে, আমি স্কুলে গিয়ে মেয়েদের পড়িয়েছি, ধরে বসে’ কাগজ পড়েছি, নভেল পড়েছি, রাম কবেছি, সব ঝ iট দিয়েছি, আর প্রতিদিন সেই ঝড়েপ রাতে-kেথ জ্যোতিৰ্ম্ময় মৃত্তিখানি ভেবেছি. সেষ্ট মন-ভোলান সব-ছাড়ান প্রাণ-মাতান দীপ্ত মুখ । মহাত্মা গান্ধী কত পছ৭ কেটে তার পর ভারতের মহা দিন এনে ।