পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

や>8 কথাও জানিতে চাওঁ ?" এই উপায়ে তিনি যুবকের পিতৃশোকাতুর বিক্ষুব্ধ হৃদয়কে শাস্ত করিয়াছিলেন । পরে যখন ভিক্ষুরা তাহীদের নিজেদের ভিতর এই বিস্ময়কর ব্যাপারটা লইয়া আলোচনা করিতেছিলেন, তখন বুদ্ধ তাহাদিগকে ডাকিয়া বলিলেন—এই যুবকের বিক্ষুব্ধ চিত্তকে তিনি এই প্রথম শাস্ত করিতেছেন না, পূৰ্ব্বজন্মেও তিনি এরূপ কাজ করিয়াছেন। বুদ্ধ অতঃপর নিম্নলিখিত গল্পটি বিবৃত করিলেন। অতীত কালে বারাণসীতে এক গৃহস্থের পিতা কালের আহবানে পরলোকে গমন করেন। গৃহস্থ পিতৃশোকে একেবারে বিহবল হইয়া পড়িল । গৃহস্থের একটি পুত্র ছিল—তাহার নাম স্বজাত । স্বজাতের বুদ্ধি ছিল ক্ষুরধারতীক্ষ । শোকাচ্ছন্ন পিতার চিত্তকে শান্ত করিবার উপায় স্থির করিয়া সে সহরের বাহিরে চলিয়া আসিল । সেখানে ক্ষেত্রের ভিতর একটি বলীবর্দ মৃতাবস্থায় পড়িয়া ছিল । সে কিছু বিচালী কিছু ঘাস ও খানিকটা জল সংগ্ৰহ করিয়া সেই মৃত বলীবদের মুখের কাছে সেগুলি স্থাপন করিয়া তাহাকে পুনঃ পুনঃ গলাধঃকরণ করিবার জষ্ঠ আহবান করিতে লাগিল । পথ-যাত্রীরা ব্যাপারটি লক্ষ্য করিয়া প্রথমে তাহার এই অদ্ভুত আচরণের কারণ কি জানিতে চেষ্টা করিল। কিন্তু সে কাহারো প্রশ্নের কোনো উত্তর প্রদান করিল না । তাহারা তখন তাহাকে বিকৃতমস্তিষ্ক স্থির করিয়া তাহার পিতাকে গিয়া জানাইয়া আসিল যে তাহার পুলটির মস্তিষ্কবিরুতি ঘটিয়াছে। পিতা পুত্রের এতাদৃশী অবস্থার কথা শুনিয়া ছুটিতে ছুটিতে মাঠে গিয়া উপস্থিত হইলেন এবং তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন—সে এইরূপ পাগলের মত ব্যবহার করিতেছে কেন । পুত্র উত্তর করিল—“পাগল আমি, না আপনি, সে-সম্বন্ধে আমি এখনও কৃতনিশ্চয় হইতে পারিতেছি না। আমি তবু এমন একটি বলদকে ঘাস জল গ্রহণ করিবার জন্য আহবান করিতেছি যাহার মাথা এবং পা—যাহার সমস্ত দেহটাই আমার চোখের সম্মুখে রহিয়াছে। কিন্তু আমার পূজনীয় পিতামহদেবের দেহের হাত পা বা,মাথা কোনো অংশই দৃষ্টিগোচর হইতেছে মা । যাহার কিছুই পশ্চাতে পড়িয়া নাই আপনি তাহারই প্রবাসী=ফাঙ্কন, లిలిe { २०* उां★, २झ थ७ জন্য শোকে বিহ্বল হইয়া পড়িয়াছেন। স্বতরাং বুদ্ধিভ্রং যে আপনারই হইয়াছে তাহাতে সন্দেহ নাই ।” পুত্রের এই যুক্তি শ্রবণ করিয়া পিতার জ্ঞান ফিরিয়া আসিল । তিনি বালক স্বজাতকে তাহার এই জ্ঞান ফিরাইয় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ প্রদান করিলেন। প্ৰভু বুদ্ধই তখন স্বজাত রূপে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। ( Petavatthu Commentary, pp. 38-42. ) মহাপেশকার পেত বারোজন ভিক্ষু বুদ্ধের নিকট হইতে কন্মটুঠান ব্রত গ্রহণ কৃরিয়া এমন একটি বাসস্থানের সন্ধানে বাহির হইয়া পড়িলেন যেখানে বস্ত্র সংগ্রহ করা তাহদের পক্ষে কঠিন হইবে না। ক্রমে ক্রমে র্তাহার একটি স্বন্দর বনভূমিতে আসিয়া উপস্থিত হইলেন । এই বনভূমির পাশে যে গ্রামখানি অবস্থিত তাহতে এগাবো ঘর পেশকাব অর্থাৎ তন্তুবায়ের নিবাস । পেশকারেরা যখন জানিতে পারিল যে ভিক্ষুরা নির্জনে বিনা বাধায় কৰ্ম্মটুঠান সাধনার জন্য উপযুক্ত আবাস-স্থানের অনুসন্ধান করিতেছেন তখন তাহারা তাহাদিগকে সেইখানেই বাস করিবার জন্য আহবান করিল এবং বনের ভিতর তাহাদের জন্য কুটীরও তৈয়ার করিয়া দিল । ভিক্ষুদের প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সংগ্রহের ভার গ্রহণ করিবার লোকের অভাব হইল না । পেশকারদের ভিতর যে ব্যক্তি প্রধান সে গ্রহণ করিল দুইজন ভিক্ষুর আবশ্যকীয় দ্রব্যাদি সংগ্রহের ভর, বাকী দশজনের ভার গ্রহণ করিল বাকী পেশকারগণ । প্রধানের স্ত্রীর ভিক্ষুদের প্রতি মোটেই শ্রদ্ধা ছিল না। সুতরাং ভিক্ষুদের প্রয়োজনীয় ফ্রব্যাদি পাইতে বিস্তর অস্থবিধা হইতে লাগিল। পত্নীর এই ব্যবহারে ক্ষুঞ্জ হইয়া পেশকারপ্রধান তাহার ছোট ভগ্নীটিকে গৃহে আনিয়া তাহার হাতেই কর্তৃত্বের সমস্ত ভার ছাড়িয়া দিল । ভিক্ষুদের প্রতি এই বালিকার শ্রদ্ধার অভাব ছিল না। স্বতরাং এবার তাহীদের সেবা এবং যত্ব যথারীতি সম্পন্ন হইতে লাগিল। ইতিমধ্যে বৰ্ষাঋতু অতিক্রান্ত হইয়া গেল । পেশকারের প্রত্যেক ভক্ষুককেই একখানি করিয়া বস্ত্র উপহার প্রদান করিল। এই ব্যাপারে প্রধানের পত্নী রুষ্ট হইয়া উপহাস করিতে করিতে স্বামীকে সম্বোধন করিয়া কহিল—যে খাদ্য এবং