পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংথ্যা ) পানীয় তুমি শাক্যপুত্র সন্ন্যাসীদিগকে উপহার দিয়াছ, পরলোকে তাহ যেন তোমার ভাগ্যে বিষ্ঠ মুত্র এবং পুজের আকার ধারণ করে এবং বস্ত্রখানি যেন জলন্ত লোঁহে পরিণত হয়। কালে পেশকার-প্রধান বিন্ধ্যাটবীতে শক্তিমান বৃক্ষ দেবতা রূপে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন এবং তাহার পত্নী মৃত্যুর পর বিন্ধ্যাটবীর নিকটবর্তী একটি স্থানেই প্ৰেতযোনি প্রাপ্ত হইয়াছিল। নগ্ন-দেহে কুৎসিত-মূৰ্ত্তিতে ক্ষুধাতৃষ্ণায় উৎপীড়িত হইয়া একদিন সেই প্রেতিনী বৃক্ষদেবতার নিকটে আসিয়া অল্প পানীয় এবং বস্ত্রের প্রার্থন জানাইল । দেবতা স্বৰ্গ-সুলভ বস্ত্র খাদ্য এবং পানীয় সংগ্ৰহ করিয়া তাহার হাতে প্রদান করিতেই খাদ্য এবং পানীয় বিষ্ঠা মুত্র এবং পুজে পরিণত হইল, এবং বস্ত্রখণ্ডকে পরিধান করিতে না করিতেই তাহা জলন্ত লৌহ খণ্ডের মত তাহার সারা দেহ বেষ্টন করিয়া ধরিল। যন্ত্রণায় সে আর স্থির থাকিতে পারিল না – চীৎকার করিয়া চতুৰ্দ্দিকে ছুটাছুটি করিয়া ঘুরিতে লাগিল । একজন ভিক্ষু বৰ্ষাঋতু প্রবাসে কাটাইবার পর বিন্ধ্যাটবীর পথে বুদ্ধ-দর্শনে চলিয়াছিলেন । র্তাহার সঙ্গী ছিল একদল বণিক। এই বণিকের দল রাত্রিতে পথ চলিত এবং দিনে ছায়া-শীতল বনের নিরালায় বিশ্রাম করিত। একদিন ভিক্ষু যখন গভীর নিদ্রায় নিমগ্ন তখন বণিকৃদল তাহাকে ফেলিয়া প্রস্থান করিল। বনের ভিতর ইতস্তত: ঘুরিতে ঘুরিতে যে গাছে সাধু তন্তুবায়ের আত্মাটি বাস করিত তিনি সেইখানে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। বৃক্ষদেবতা তাহাকে দেখিয়াই মামুষের দেহে তাহার নিকট আগমন করিয়া শ্রদ্ধা এবং অভিবাদন জ্ঞাপন করিলেন । ঠিক সেই সময়ে তাহার পত্নী প্রেতিনীও সেখানে আসিয়া উপস্থিত হইল এবং খাদ্য পানীয় ও বসনের প্রার্থনা জ্ঞাপন করিল। কিন্তু জিনিষগুলি তাহার হাতে দিতে না দিতেই সেগুলির চেহার একমুহূর্তে বদলাইয়া গেল । ভিক্ষু এই আকস্মিক পরিবর্তনের কারণ জিজ্ঞাসা করিলে বৃক্ষদেবতা আদ্যোপাস্ত সমস্ত ঘটনাই তাহার কাছে বর্ণনা করিলেন এবং প্রেতিনীকে এই দুৰ্ব্বিসহ যন্ত্রণার হাত হইতে মুক্তি দানের কোনো উপায় আছে কি না তাহাও বৌদ্ধদিগের প্রেত-তত্ত্ব ASAMSMSMSM MS MAeAMAMS AAAAA AAAASAAAAS AAAAAS AAAAA AAAA AAAM AMAMMAAASAASAASAAMAMS MA S AAA S AAAAAASAAAMAeMAeM AMM ASASASA AAA AAAA SAAAAAS AAAAAS AAAAA AAAA AAAA AAAA AAAAS AAAAA AAAAS AAAAAS AAAAASAAAAM AA AMS AeM MMMSAMMAMMAA AAAA AAAA AAAAS AAAAA AAAAMMAM అxt জিজ্ঞাসা করিলেন। ভিক্ষু বলিলেন, তাহার পক্ষ হইতে যদি কোনো ভিক্ষুকে খাদ্য পানীয় এবং বসন দান করা হয় এবং সে দান যদি সে সৰ্ব্বাস্তঃকরণে অমুমোদন করে, তাহা হইলে এই নির্ধ্যাতনের হাত হইতে মুক্তি লাভ করা তাহার পক্ষে কিছু মাত্র অর্সম্ভব নহে। বৃক্ষ-দেবতা ভিক্ষুর উপদেশ অনুসারে কাজ করিয়াছিলেন এবং দুইখানি বস্ত্র ভিক্ষুর হাতে দিয়া প্রভু বুদ্ধের কাছেও প্রেরণ ফরিয়াছিলেন। এইরূপে সেই হতভাগ্য রমণীটি দুর্ভাগ্যের কবল হইতে মুক্তিলাভ করিয়াছিল। (Petawatthu ('ommentary, pp. 42-46.) খলাত্য পেত একদা বারাণসীতে এক পরম রূপবতী রমণী বাস করিত। তাহার অঙ্গসৌষ্ঠব যেমন স্বন্দর ছিল, তাহার দেহের বর্ণও ছিল তেমনি চমৎকার । কিন্তু সৰ্ব্বাপেক্ষা সুন্দর ছিল তাহার চুল। তাহার কটিতট বেষ্টন করিয়া যে মেখলা শোভা পাইত তাহাকেও এই গাঢ় ঘন কৃষ্ণ এবং সুদীর্ঘ কেশপাশ অতিক্রম করিয়াছিল। বহু যুবকের চিত্ত তাহার এই কেশপাশের সৌন্দর্ঘ্যের বন্ধনে বাধা পড়িত। তাহার এই সৌভাগ্যে কয়েকজন রমণী অত্যন্ত ঈর্ষান্বিত হইয়া পড়িল এবং ঔষধের দ্বারা তাহার এই কেশরাশি ধ্বংস করিবার জন্য অতিমাত্রায় উৎসুক হইয়া পড়িল । তাহার একটি পরিচারিকাকে উৎকোচের দ্বারা বশীভূত করিতেও তাছাদের বিশেষ বিলম্ব হইল না। পরিচারিকাটি তাহদের নিকট হইতে প্রাপ্ত একটা তীব্র ঔষধ তাহার গঙ্গা-স্বানের সময় সে যে চুর্ণ ব্যবহার করিত তাহার সহিত মিশ্রিত করিয়া দিল। সেই চুর্ণ মাথিয়া গঙ্গায় অবগাহন করিতে সে যেমন মাথা ডুবাইয়াছে অমনি তাহার সমস্ত চুল শুষ্ক-পত্রের মত ঝরিয়া পড়িল । কেশদাম হইতে বঞ্চিত হইয় তাহার মূৰ্ত্তি এত কুৎসিত হইয়া গেল যে ক্ষোভে লজ্জায় সে আর নগরে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিতে পারিল না। নগরের বাহিরে তৈল এবং মদ্যের ব্যবসায় করিয়া সে তাহার জীবিকা অর্জন করিতে লাগিল। একদিন সে কতকগুলি লোককে স্বরাপানের জন্য আমন্ত্ৰণ করিল এবং তাহারা স্বরা পান করিয়া বিহবল হইয়া পড়িলে তাহাদের বস্ত্রাদি অপহরণ করিল৭