পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭૨૪ SeAeeAeeMASAeAeeA AMAAAS س۶۹يي۶۳Nسريجه মেঘমল্লারে সিদ্ধ ছিলেন । তার গানে নাকি সরস্বতীদেবী ষ্ঠার সম্মুখে আবিস্তৃতা, হ’য়ে তাকে বর প্রার্থনা করতে বলেন । স্বরদীস প্রার্থনা করেন, তিনি যেন দেশের সঙ্গীতজ্ঞ ব্যক্তিদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ আসন প্রাপ্ত হন। সরস্বতী দেবী তাকে সেই বরই দেন। তার পর দেবী যখন গুণাঢ্যকে বর প্রার্থনার কথা বলেন তখন সে দেবীর রূপে মুগ্ধ হ’য়ে তাকেই প্রার্থনা করে বসে। সরস্বতী দেবী বলেছিলেন, তাকে পাওয়া নিগুণের কাজ নয়, সে নামে গুণাঢ্য হ’লেও কাৰ্য্যতঃ তার এমন কোনো কলাতেই নিপুণতা নেই যে র্তাকে পেতে পারে, কিন্তু সেজন্য অনেক জীবন ধরে সাধনার প্রয়োজন। সরস্বতী দেবী অন্তহিত হওয়ার পর মুখ গুণাঢ্যের মোহ আরও বেড়ে যায় আর সেই সঙ্গে সঙ্গে দেবীর উপর তার অত্যন্ত রাগ হয়। সে তম্নোক্ত মন্ত্রবলে দেবীকে বন্দিনী করবার জন্যে উপযুক্ত তান্ত্রিক গুরু খুঁজতে থাকে। আমি জানি সে এক সন্ন্যাসীর কাছে তন্ত্রশাস্ত্রের উপদেশ নিত। সন্ন্যাসী কিছুদিন পরে তার তন্ত্রসাধনার হীন উদ্বেগু বুঝতে পেরে তাকে দূর করে দেন। এসব কথা এদেশের সকল প্রাচীন লোকেও জানেন । আমি অনেকদিন তার পর গুণাঢ্যের আর কোনও সংবাদ জানতাম না । ভেবেছিলাম সে এদেশ থেকে চলে গিয়েছে। কিন্তু এখন তোমার কথা শুনে আমার মনে হচ্ছে কাল রাত্রে সে কৃতকাৰ্য্য হয়েছে বোধ হয়। এতদিন ঐ উদ্যেশেই সে কোথাও তন্ত্রসাধনা করছিল। যাক তুমি এখনি গিয়ে সন্ধান করে মন্দিরে সে আছে কি না, থাকে যদি আমায় সংবাদ দিও।” প্রদ্যুম্ন সেখানে আর এক মুহূৰ্ত্তও দাড়াল না। সে ছুটে গিয়ে বিহারের উদ্যানে পড়ল। তখন রোদ বেশ ফুটে উঠেছে, বিহারের পাঠার্থীদের সমবেত কণ্ঠের স্তোত্রগান তার কানে আসছিল : যে ধৰ্ম্ম হেতুপপভব তেসং হেতুং তথাগতে আহ, তেসঞ্চ যে নিরোধে এবং বর্দী মহাসমনে । যেতে যেতে সে দেখলে উদ্যানের এক প্রাস্তে একটা বড় জামগাছের ছায়ায় চিত্রকর ভিক্ষু বস্বত্রত হরিণ প্রবাসাঁ-ফাঙ্কন, ১৩৩e so خ-عمير جيك جيمس جمه চর্থের আসনে বসে বোধ হয় কি জাকৃছেন, কিন্তু তার মুখে অতৃপ্তি ও অসাফল্যের একটা চিহ্ন জাকা । প্রদ্ধ্যম যা ভেবেছিল তাই ঘটুল । মন্দিরে গিয়ে সে দেখলে সেখানে কেউ নেই, গুণাঢ্য তো নেইই, সেই আজীবক সন্ন্যাসী পৰ্যন্তও নেই! দু-একটা ষবাগু পানের ঘট, আগুন জ্বালাবার জন্তে সংগৃহীত কিছু শুকুনো কাঠ মন্দিরের মধ্যে এদিক-ওদিক ছড়ান পড়ে আছে। সেই দিন গভীর রাত্রে প্রত্যুম্ন কাউকে কিছু না বলে’ চুপি চুপি বিহার পরিত্যাগ করলে। ( t ) তার পর এক বৎসর কেটে গিয়েছে । বিহার পরিত্যাগ করবার পর প্রদ্যুম্ন একবার কেবল স্বনন্দার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে’ বলেছিল সে বিশেষ কোন কাজে বিদেশ যাচ্ছে, শীঘ্রই ফিরে আসবে। এই এক বৎসর সে কাঞ্চী, উত্তর কোশল ও মগধের সমস্ত স্থান খুঁজেছে, কোথাও গুণাঢ্যের সন্ধান পায়নি । তবে বেড়াতে বেড়াতে কতকগুলি কৌতুহলজনক কথা তার কানে গিয়েছে। মগধের প্রসিদ্ধ ভাস্কর মিহিরগুপ্ত রাজার আদেশমত ভগবান তথাগতের মূৰ্ত্তি তৈরী করতে আদিষ্ট হ’য়ে ছিলেন। এক বৎসর পরিশ্রম করে তিনি যে মূৰ্ত্তি গড়ে' তুলেছেন, তার মুখশ্ৰী এমন রূঢ় ও ভাববিহীন হয়েছে যে তা বুদ্ধের মূৰ্ত্তি কি মগধের দুৰ্দ্ধান্ত দস্থ্য দমনকের মূৰ্ত্তি, তা সে-দেশের লোক ঠিক বুঝতে পারছে না। তক্ষশিলার বিখ্যাত দার্শনিক পণ্ডিত যমুনাচাৰ্য্য মীমাংসাদর্শনের ভাষ্য প্রণয়ন করতে নিযুক্ত ছিলেন, হঠাৎ র্তার নাকি এমন দুর্দশা ঘটেছে যে তিনি আর স্বত্রের অর্থ করে উঠতে না পেরে আবার বৈদিক ব্যাকরণের স্ববস্ত প্রকরণ থেকে পড়তে আরম্ভ করেছেন। মহাকোটুঠী বিহারের চিত্রবিদ্যা-শিক্ষক ভিক্ষু বস্বত্রত “বুদ্ধ ও স্বজাত” নামক তার চিত্ৰখানা বৎসরাবধি চেষ্টা করেও মনের মত করে’ একে উঠতে না পেরে বিরক্ত হ’য়ে ওদিক্ একেবারে ছেড়ে দিয়ে সম্প্রতি নাকি শাকুনশাস্ত্রের চর্চায় অত্যন্ত উৎসাহ দেখাচ্ছেন। একদিন প্রস্থায় সন্ধান পেলে উরুবিদ্ব গ্রামের কাছে