পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যn ] AMAMAMAMAMMAM AMA MAMA AM AM AAAA SAA AAAA AAAAM S MeS MAM AeS A S A S A প্রথমত, লয়ের কথা। আপাতত কবিতায় লয়ের অস্তিত্ব টের পাওয়া যায় না বটে, এবং কাব্য ছন্দশাস্ত্রে লয়ের কথা আলোচিতও হয় না বটে, কিন্তু তথাপি যথাযথরূপে কবিতা আবৃত্তি করতে হ’লে লয় রক্ষা করা আবৃত ক খ থাৎ সমগ্র কবিতাটা সমান গতিতে আবৃত্তি করা প্রয়োজন। গানে লয় সম্বন্ধে যতটা সচেতন ও সচেষ্ট থাকৃতে হয় কবিতা আবৃত্তি করায় সময় ততটা প্রয়াস আবখ্যক হয় না বটে ; তবু আবৃত্তি করার সময় যদি প্রতিমাত্রার স্থিতিসাম্য অর্থাৎ লয় ঠিক না থাকে তবে আবৃত্তি স্বন্দর হয় না, প্রতিপদেই শ্রুতিকটুতা-দোষ ঘটে । সেজন্তে কবিতার ক্ষেত্রে লয় শব্দের ব্যবহার না হ’লেও আবৃত্তিকারকের স্বাভাবিক শ্রীতিরুচির প্রখরত। ভেদে লয়ের পার্থক্য হেতু ব্যক্তি ভেদে কবিতার আবৃত্তি মধুর ও কটু হয়। শ্রীতিরুচির পুনঃ পুন: চর্চা দ্বারা লয় রক্ষা করার ক্ষমতা অfয়ত্ত হ’যে গেলেই আবৃত্তি মার্জিত ও সুন্দর হয় । দ্বিতীয়ত, ধ্বনির গতিক্রম বা লয়-ভেদের কথা। একটু লক্ষ্য করলেই—দেখা যাবে যে সব কবিতাই সমান লয়ে অfবুত্তি করলে ভালো শোনায় না , কোনো কবিতা একটু দ্রুত লয়ে এবং কোনো কবিতা একটু ধীর লয়ে আবৃত্তি করলেই শ্রুতিমধুর হয়। কাজেই দেখা যায় কবিতায়ও ধ্বনির গতিক্রম ভেদে লয়-ভেদ হয়। যদিও ছন্দ শাস্ত্রে এসমস্ত স্বক্ষ ভেদের প্রতি কোনো লক্ষ্য রাখা হয় না এবং ধ্বনির গতিক্রমের কোনো হিসাব রাখা হয় না, তথাপি কবিতায় ও ধ্বনির যে অল্প বিস্তর লীলা-বৈচিত্র্য আছে সে-বিষয়ে কোনো সন্দেহ থাকৃতে পারে না ; কারণ কানই আপনি রুচির উপর নিভর করে’ এবিযয়ে সাক্ষ্য দান করে | তৃতীয়ত, মাত্রার কথা । দেখা গেল যে কবিতাভেদে লয়েরও দ্রুততা মস্থরতা প্রভৃতি ভেদ হ'য়ে থাকে । তাই যদি হয় তবে কবিতা-ভেদে মাত্রারও স্থিতিকাল পরিবৰ্ত্তিত হয়, কারণ মাত্রার স্থিতিকালের উপরেই লয়ের গতিক্রম নির্ভর করে। সুতরাং খুব তীক্ষ দৃষ্টিতে দেখলে কাব্য-ছন্দ-শাস্ত্রেও মাত্রার একটা অপরিবর্তনীয় স্থিতিপরিমাণ নিদিষ্ট নেই ; কবিতা-ভেদে ও আবুত্তিকারক M S A S A S A S A S A S A S A S A S A S A S বাংলা ছন্দ ও সঙ্গীত ৬৩৫ AAAA SAS A SAS SSAS SSMSSASAS SSAS SSAS SSAS تهیه حمید ع--میر ع - حمیسر ভেদে মাত্র-পরিমাণও একটু এদিক ওদিক পরিবর্তিত হয়ে থাকে দ্রুত-অকৃত্ত কবিতায় মাত্র। যতক্ষণ স্থায়ী হবে ধীর-আবৃত্ত কবিতায় মাত্র তার চেয়ে বেশি স্থায়ী হবে, একথা সহজেই বোঝা যায়। কিন্তু তা হ’লেও ছন্দ-শাস্ত্রে মাত্রার এ পরিবর্তনশীলতা গণ্য নয়, গণনা করা অনাবশ্যক । কেননা—কবিতায় লয়-ভেদ ও সেজন্য মাত্রার এ পরিবর্তন অতি সামান্য এবং শ্রীতির উপর তার ক্রিয়া ফল ও বেশী নয় ; তা হ’লেও শ্রোতা ও পাঠকের অলক্ষ্যে এই মাত্রা ও লয়ের প্রকার-ভেদ আবৃত্তিকালে কবিতা বিশেষকে মধুর ও কর্কশ কবে তোলে। কিন্তু গানে লয়ের গতিবেগ ও মাত্রার এ পরিবর্তনের উপরে গানের প্রকৃত স্বরূপ ও শ্রুতি-মধুরতা খুব বেশি নির্ভর করে এবং এজন্যেই গানে এগুলোর খুব স্বক্ষ বিশ্লেষণ ও স্বক্ষ হিসাব রাখতে হয়। এক্ষণে আমরা দৃষ্টাস্তের সাহায্যে বিষয়টাকে আর-একটু বিশদ করতে চেষ্টা করব। আশা করি দৃষ্টান্তগুলো থেকেই পাঠক বুঝতে পারবেন যে, যদিও কাব্য-ছন্দের ক্ষেত্রেও ধ্বনির মাধুর্য্য ও সার্থকতা আসলে স্বরের লয় ও মাত্রার স্থিতি-পরিমাণের উপর অনেকটা নির্ভর করে তথাপি তাদের ক্রিয়াফল কাৰ্য্যত এতট অকিঞ্চিৎকর যে ছন্দশাস্ত্রে তাদের হিসাব রাখা অনাবতক । প্রথমত মাত্রাবৃত্তের দৃষ্টান্তই দেখা যাক – যুগে যুগে অভিসার করি লঘুপক্ষে, নাই লীল দেবতার অনিমেষ চক্ষে ; আকাশের দুই তীর হতে নাহি দিই থির, টিকি নাকে পৃথিবীর সীমাঘের বক্ষে । আকাশের ফুল মোরা, দু্যতি মোরা স্থালোকে, স্বপনের ভুল মোরা ভুল-ভরা তুলোকে । চরণে হাজার হিয়া কেঁদে মরে গুমরিয়া, ধুলি হ’তে ফুল নিয়া পরি মোর অলকে । —সত্যেন্দ্রনাথ এটা চতুম ত্রিক ছন্দের দৃষ্টান্ত। এ ছন্দে ঘন ঘন যতি পড়ে, এবং পড়লেই বোঝা যাবে এ ছন্দের স্বাভাবিক লয় দ্রুত । পঞ্চমাত্রিক ছনের লয়ও দ্রুত বটে . কিন্তু এ ছন্দের চাইতে কিছু মস্থব । যথা— - জ্ঞানের মণি-প্রদীপ নিয়ে ফিরিছ কেন দুৰ্গমে, 瞳 হেরিছ এক প্রণের লীলা জন্তু জড়-জঙ্গমে ।