পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ն) ՉՆ) पश्रककांरब्रनिष्ठा नव श्रृंष्ट्र कब्र श्रांविझांद्र, সত্য পথ-যাত্রী ওগো তোমায় করি নমস্কার । —সত্যেন্দ্রনাথ যন্মাত্রিক ছন্দের গতি আরো মন্থর। যথা— সেদিন নদীর নিকষে অরুণ অীকিল প্রথম সোনীর লেখা : স্নানের লাগিয়া তরুণ তাপস নদী-তীরে ধীরে দিলেন দেখা । 蕩 錄 勢 擎 মনে হ’ল মোর নব জনমের উদয়-শৈল উজল করি’ শিশির-ধৌত পরম প্রভাত উদিল নবীন জীবন ভরি’ । —রবীন্দ্রনাথ কেবল যে ছন্দ-ভেদেই লয় দ্রুত বা মন্থর হয় তা নয়, রচনা-ভেদে একই ছন্দের লয়ে অনেক পার্থক্য হ’তে পারে। আরেকটা যন্মান্ত্রিকেরই নমুনা দিচ্ছি, পাঠক দেখতে পাবেন রচনা-ভেদে এটার লয় পূৰ্ব্বোদ্ধত পংক্তি ক’টির চাইতে কত বেশী ধীর। যথা— জগতের মাঝে কত বিচিত্র তুমি হে তুমি বিচিত্র রূপিণী । অযুত আলোকে ঝলসিছ নীল গগনে, আকুল পুলকে উলসিছ ফুল-কনেনে, স্থ্যলোকে ভূলোকে বিলমিছ চল-চরণে, তুমি চঞ্চল-গামিনী । মাত্রাবৃত্ত ছন্দে যুক্ত বর্ণের সাহায্যে ধ্বনি-প্রবাহ যেমন বৈচিত্র্য লাভ করে, স্বরবর্ণের বাহুল্যে তেমতি মন্থর ( কিন্তু একঘেয়ে ) হু’য়ে ওঠে। এবার স্বরবৃত্তের দৃষ্টান্ত দেব । এ ছন্দ স্বভাবতই নৃত্যপরায়ণ ও দ্রুতগতি । কিন্তু এ ছন্দেও মস্থর ও গম্ভীর কবিতা রচনা করা श्वांभू ॥ ५५l -- পিছল পথে নাইক বাধী, পিছনে টান নাইক মোটে, পাগল ঝোরার পাগল নাটে নিত্য নুতন সঙ্গী জোটে ! লাফিয়ে পড়ে ধাপে ধাপে, ঝাপিয়ে পড়ে উচ্চ হ’তে চড় চড়িয়ে পাহাড় ফে'ড়ে, নৃত্য করে মত্ত স্রোতে ; 孪 事 事 豪 গুহীর তলে গুম্রে কেঁদে, আলোয় হঠাৎ হেসে উঠে", ঐরাবতের বৈৰী হ’য়ে কৃষ্ণ মৃগের সঙ্গে ছুটে, স্তব্ধ বিজন যোজন জুড়ে ঝঞ্চ-ঝড়ের শব্দ ক’রে, অসৗড় প্রাচীন জড় পাহাড়ের কানে মোহন মন্ত্র প’ড়ে, পরাণ ভরে নৃত্য ক'রে মত্ত ছিলাম স্বাধীন স্বখে, ছন্দছাড়া অাজকে আমি যাচ্ছি ম’রে মনের দুখে : প্রবাসী—ফাঙ্কন, ১৩৩e [ २०ण छांग, २ग्न थe • যাচ্ছি ম’রে মনের দুখে পুৰ্ব্ব মুখে স্মরণ করে ; ঋরির মুখে কবীর মতন শীর্ণ ধারায় পড়ছি ঝরে। — সত্যেন্দ্রনাথ এইখানে ছন্দ যেন পাগল ঝোরার মতোই উন্মত্ত হ'য়ে নৃত্য করতে করতে ছুটে চলেছে। কিন্তু এই তুঃস্বরের ছন্দেই কেমন ধীরগতির গভীর কবিতা রচনা করা যায় তা নিম্নের ক'টি ছত্র পড়লেই বোঝা যাবে ৷ যথা— ভাব-সাধনার এই ভুবনে এস তোমার নূতন বাণী ল'য়ে, বিরাজ কর ভারত-হিয়ার ভক্ত-মালে নুতন মণি হয়ে ; ব্যথা-ভরা চিত্ত মোদের—খানিক ব্যথা ভুলব তোমায় হেরি ; সত্য-সাধন নিষ্ঠ শিখাও, বাজাও গভীর উদ্বোধনের ভেরী । —সত্যেন্দ্রনাথ কিন্তু দু’স্বরের ও তিনস্বরের ছন্দের অত্যন্ত খরগতি,—সে ছনাকে গাম্ভীৰ্য্য ও মস্থরতা দান করা একরকম অসম্ভব বললেই হয় । এদিক্‌ থেকে দেখতে গেলে অক্ষরবৃত্তই গম্ভীর ভাবের সবচেয়ে উপযুক্ত বাহন, একথা পূৰ্ব্বেই বিশদরূপে বোঝাবার চেষ্টা করেছি। এ-স্থলে অক্ষর বৃত্তের আরো দু-একটা দৃষ্টান্ত দিচ্ছি ; পাঠক পূর্বের মাত্রাবৃত্ত ও স্বরবৃত্তের দৃষ্টান্তগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে পড়লেই বুঝতে পারবেন এ ছন্দের লয় কত ধীর-গতিতে চলে । যথা— হে আদি জননী সিন্ধু, বহন্ধর সস্তান তোমার, এক মাত্র কস্ত। তব কোলে । তাই তন্ত্রা নাহি অীর চক্ষে তব, তাই বক্ষ জুড়ি সদা শঙ্কা, সদা আশ, সদ| আন্দোলন ; তাই উঠে বেদমন্ত্র সম ভাষা নিরস্তর প্রশান্ত অম্বরে, মহেন্দ্র-মন্দির পানে অস্তরের অনন্ত প্রার্থন, নিয়ত মঙ্গল গানে ধ্বনিত করিয়া দিশি দিশি ; তাই ঘুমন্ত পৃথ্বীরে অসংখ্য চুম্বন কর, আলিঙ্গনে সৰ্ব্ব অঙ্গ ঘিরে’ তরঙ্গ-বন্ধনে বাধি, নীলাম্বর অঞ্চলে তোমার সযত্নে বেষ্টিয় ধরি, সস্তপণে দেহখানি তার স্বকোমল সুকৌশলে । —রবীন্দ্রনাথ বৃন্তহীন পুষ্পসম আপনাতে আপনি বিকশি কবে তুমি ফুটলে উৰ্ব্বশি ! আদিম বসন্ত-প্রাতে উঠেছিলে মস্থিত সাগরে, ডান হাতে স্বধা-পাত্র, বিষ-ভাও লয়ে’ বাম করে ; তরঙ্গিত মহাসিন্ধু মন্ত্রশাস্ত ভুজঙ্গের মত পড়েছিল পদপ্রান্তে, উচ্ছসিত ফণ লক্ষ শত कग्नि' ठादनङ । কুন্দণ্ডত্র লগ্নকান্তি স্বরেন্দ্র-বন্দিতা निलिउ| তুমি অনিন্দিত । —রবীন্দ্রনাথ