পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] یہعمحیح بحیح۔ উদ্ধৃত দৃষ্টান্ত দুটোতে সমুদ্রের গভীর এবং গম্ভীর গর্জনধ্বনি যেমনভাবে প্রতিধ্বনিত করা হয়েছে অক্ষরবৃত্ত ছাড়া অন্য ছন্দে তা সম্ভব হয় না । যা হোক, এখন আবার আমাদের আসল কথার অবতারণ করা যাক। পূৰ্ব্বোদ্ধত সবগুলো দৃষ্টান্ত একে একে পড়ে গেলে আপন থেকেই এ সত্যট মনে জেগে উঠবে যে, সব কবিতা সমান গতিতে বা সমান লয়ে পড়া ধায় না বা পড়লে ভালো শোনায় না। এক-এক ছন্দের কবিতা এক একটা বিশেষ লয়ে পড়লেই যেন তাদের ভিতরকার সমস্ত ভাব-সৌন্দর্য্য ভাষার ও ছন্দের ভিতর দিয়ে বিকশিত হ’মে উঠে । কবিতা-ভেদে ও লয়ের পার্থক্য হয় ; অর্থাৎ কোনো কবিতার যতি ও তাল যেন অত্যন্ত ব্যস্ত ও দ্রুত এবং লয়ও তখন গতির আবেগে উন্মত্ত হ’য়ে ছুটুতে থাকে ; আবার অন্য কবি তায় যতি ও তাল যেন এক-একটা বিশাল তরঙ্গের মত অনেকক্ষণ পরে উত্থিত হ’য়ে মনকে স্তম্ভিত কবে? দিতে থাকে এবং লয়ও যেন আপন গুরুগম্ভীর ও মন্থর গতিতে মনকে কোন অকুল সমুদ্রের অতল গভীরতার মধ্যে তলিয়ে দিতে থাকে। লয়ের এই গতিবেগের পার্থক্যে মাত্রারও স্থিতিকালের পার্থক্য হয়, একথা আগেই বুঝান হয়েছে। মাত্রাবৃত্তের প্রথম দৃষ্টান্তটির সঙ্গে অক্ষরবৃত্তের প্রথম দৃষ্টান্তটির তুলনা করলেই টের পাওয়া যাবে যে, একটার এক-একটি বর্ণ—যতক্ষণ স্থায়ী হয় আর-একটাব এক-একটি বর্ণ—তার চাইতে বেশী স্থায়ী হয় এবং একথাও টের পাওয়া যাবে যে, এপার্থক্য এত সূক্ষ্ম ও এত পরিবর্তনশীল যে তাকে হিসাবের মধ্যে কিছুতেই আনা যায় না। এজন্তেই কাব্য-ছন্দে মাত্রার স্থায়িত্ব-ভেদের কোনো গণনা করা হয় না এবং সুবিধার জন্যে সব কবিতারই মাত্রীকে সমকাল স্থায়ী বলে গণ্য করা হয়। কিন্তু গান-ভেদে মাত্রার স্থায়িত্বভেদ খুবই প্রচুর এবং মাত্রার এ পরিবর্তনশীলতা কোনো নিয়ম মেনে চলে ; সেজন্যে সঙ্গীতশাস্ত্রে তার স্বক্ষ বিশ্লেষণ ও * হিসাব রাখা প্রয়োজন হয় । আশা করি এতক্ষণে আমরা কবিতায় ও গানে লয় বাংলা ছন্দ ও সঙ্গীত ASAMMA SAMA AMAMMAMMSAASAASAASAAMMAAASAAAAS AAAAAA ج 9 رايا - بے حجم مہمہ-جمعمے ও মাত্রার সার্থকতা ও প্রয়োজনীয়তার পার্থক্য পাঠকের নিকট অনেকট। স্পষ্ট করে তুলতে পেরেছি। এক্ষণে কাব্যে ও গানে যতি ও তাল সম্বন্ধে কয়েকটি কথা বলেই এ প্রসঙ্গ শেষ করব । কিন্তু সে আলোচনা করার পূৰ্ব্বে কবিতার মাত্র সম্বন্ধে আরো কয়েকটি কথা বলা আবশ্বক। পূৰ্ব্বে মাত্রা সম্বন্ধে যা বলেছি ত। মাত্রাবৃত্ত ছন সম্বন্ধেই বিশেষভাবে খাটে ; স্বতরাং মাত্রাবৃত্তের মাত্রা বিষয়ে আর বিশেষ কিছু বলার দরকার নেই। কিন্তু অক্ষরবৃত্ত ও স্বরবৃত্ত ছন্দে মাত্রানির্ণয় ও মাত্রার প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে একটু আলোচনা করা সঙ্গত । কেবল কাব্য-ছন্দের দিকেই যদি আমরা দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখি তা হ’লে অক্ষর-ও স্বরবৃত্তে মাত্রানির্ণয়ের প্রয়াস সম্পূর্ণ অনাবশ্বক, কেনন ওই দুটি ছন্দ মাত্র-পরিমাণের উপর নির্ভর করে' রচিত হয় না,— মাত্রাই ও-দুটি ছন্মের নিয়ামক নয় । মাত্রাবৃত্তে কিন্তু মাত্রা-পরিমাণের উপরেই ছন্দের স্বরূপ ও সার্থকতা নির্ভর করে এবং এজন্যই এ ছন্দকে মাত্রাবৃত্ত বলে’ অভিহিত করা হযেছে। এসমস্ত কথাই ছন্দের নামকরণেব সমধেই অfলোচিত হয়েছে । কিন্তু কেবল কাব্যছন্দের দিকে দৃষ্টি না রেখে যদি গ'নের ছন্দটাও আমাদের চোখের সামনে রাখি তা হ’লে অক্ষরবৃত্ত ও স্বরবৃত্ত ছনে ও মাত্র নির্ণয় করা আবশ্ব ক হ’য়ে উঠে । কেনন ওই ছুটি ছন্দে রচিত গান যখন স্বরে লয়ে গাওয়া হয় তখন এদেরও মাত্রার হিসাব রাখা প্রয়োজন ; গানের কথা যে শুধু মাত্রাবৃত্তেই রচিত হয় তা ত নয়ই,—বরং অধিকাংশ গানের কথাই সচরাচর স্বরবৃত্তে বা অক্ষরবৃত্তে রচিত হয়ে থাকে । কিন্তু গাইতে হ’লেই যখন মাত্র ও লয়ের হিসাব রাখতে হয় তখন গানের তরফ থেকে এ-দুটি ছন্দে ও কি করে মাত্রা নির্ণয় করা সঙ্গত তাই দেখাতে চেষ্টা করব । কিন্তু একথা এস্থলে বলে’ রাখা উচিত যে, এ দুটি ছন্দের যে সব কবিতা স্থবে লয়ে গাওয়া যায় কেবল সে-সব কবিতারই যে শুধু গানের পরিমাপে মাত্র নির্ণয় করা যায় তা নয় ; যে-সব কবিতা গাওয়া হয় না সেগুলোরও মাত্রার হিসাব গানের পরিমাপে করা যায়, এইটুকুই আমার