পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্য। ] حN-سمعیلمہ-ایم. রীতিতে মাত্রার আদর্শ ও পরিমাণ স্পষ্ট হয়েছে। এবার একটা স্বরবৃত্তের দৃষ্টান্ত দিই। যথা— আমরা হখের স্ফীত বুকের ছায়ার তলে নাহি চরি। আমরা দুখের বক্র মুখের চক্র দেখে ভয় না করি। —রবীন্দ্রনাথ কাব্য-ছন্দের রীতিতে হিসাব করলে এখানে প্রথম ংক্তিতে বিশ ও দ্বিতীয় পংক্তিতে বাইশ মাত্রা পাওয়া যাবে। অথচ গানের রীতিতে হিসাব করলে উভয় পংক্তিতেই যোলটি করে’ মাত্র গুনতে হবে। প্রত্যেকটি হলন্ত বর্ণ পুৰ্ব্ববৰ্ত্তী স্বরবর্ণের উপরে নির্ভর করে তাকে ওজনে একটু ভারী করে তুলছে এবং তাতে প্রতিমাত্রার পরিমাণ একটু বেড়ে যাচ্ছে মাত্র। স্বতরাং গানের হিসাবে এখানে মাত্র- ও স্বর-সংখ্যা সমানই ধরতে হবে। এবিষয়ে অনেক বলা হয়েছে ; আর বৃথা বাক্য-ব্যয় করার দরকার নেই। কিন্তু একটা বিষয়ে সতর্ক হওয়া আবশ্ব)ক । অময়া গানের রীতিতে কোনো ছত্রের যে মাত্রীর হিসাব করেছি সেটাকে যেন কেউ প্রকৃত গানের মাত্রা বলে’ মনে এলোরা AeMAMMAMAeAMMM AAAA AAAA AAAAMMAMSA A ASMSAAAAAA AAAAS AAAMMAM MMMeM eAMMM MAM AAAAS A S A S A S A S A S A S A S A S A S A S M Se S SSS S S A S A S A S A S M S M S M AAAAS AAAAMMS Nరిసి) না করেন। তা মনে করলে ভুল হবে, কেননা গানে স্বর-রচয়িতার ইচ্ছা অনুসারে এক-একটি বর্ণ তিন চার প্রভৃতি বহু মাত্রা ব্যাপী হ’য়ে স্বর অনেক প্রসারিত হ’য়ে যেতে পারে । কিন্তু কবিতার প্রত্যেক বর্ণের মাত্র নির্দিষ্ট হ'য়েই আছে এবং কোনো বর্ণেই দু’ মাত্রার বেশি থাকতে পারে না। সুতরাং কবিতার মাত্র। গানের মাত্রার চাইতে স্বভাবতই অনেক কম হ’য়ে থাকে । সুতরাং এ বিস্তৃত আলোচনার সার-মৰ্ম্ম হচ্ছে এই যে, কাব্যের ছন্দের রীতিতে হিসাব করলে মাত্রার একক বা আদর্শকাল-পরিমাণ অপরিবর্তনীয় অর্থাং সৰ্ব্বত্র সমান এবং বর্ণের গুরুত্বের উপরেই তার সংখ্যা সম্পূর্ণ নির্ভর করে ; কিন্তু গানের ছন্দের রীতিতে হিসাব করলে মাত্রার একক পরিমাণ—কবিতা-ভেদে বাড়ে বা কমে, এবং অক্ষরবৃত্তে অক্ষর-সংখ্যার এবং স্বরবৃত্তে স্বর-সংখ্যার পরিমাণ সমানই থাকে। ( ক্রমশ: ) শ্ৰী প্রবোধচন্দ্র সেন এলোরা অজন্ত হইতে এলোর একশত মাইলের পথ । দাক্ষিণাত্যের উপত্যকার উপর দিয়াই পথটি চলিয়৷ গিয়াছে। ইঞ্জিনিয়ারেরা বলেন, খুব অল্প খরচে একটি মোটর-চলাচলের রাস্ত অজন্ত হইতে এলোরা পর্য্যন্ত অনায়াসে নিৰ্ম্মিত হইতে পারে । এলোরা রোড, ষ্টেশন হইতেই এলোরা যাওয়ার সুবিধা। ঐ পথ দিয়া যাইতে যাইতে মন বিস্ময়ে ভরিয়া উঠে—প্রাচীন শিল্পীদের আশ্চর্য্য কলাকৌশলের সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হইতে হয়। একদিকে গ্রীষ্মে জলশূন্ত নদীগর্ভ— অপর দিকে বিস্তৃত পৰ্ব্বত-শ্রেণী । বর্ষায় যেখানে ভীষণ কল্লোলময়ী তরঙ্গিণী দুই কুল প্লাবিত করিয়া ছুটিয়া যায়— গ্রীষ্মে তার কি কঠোর শুষ্কতা ! দৌলতাবাদ হইতে পাহাড়ের গায়ে উৎরাই পথে, ৬৭ মাইল গেলে রোজা গ্রামে পৌছান যায়। এই গ্রামেই সম্রাট আওরঙ্গ জীবের সমাধি আছে । আওরঙ্গাবাদ হইতে এলোর যাওয়ার পথ একটু বিপদজনক ; খুব কষ্ট্রে পাৰ্ব্বত্য পথের নীচে নামিতে হয়, সেই স্থানেই পাহাড়ের গায়ে এলোরা গুহা। এলোরার প্রকৃত নাম বেলুর । উচ্চারণের দোষে এলোরা হইয়াছে। মোটর একেবারে কৈলাস গুহাব সম্মুখে দাড়ায় । কি কল্পনাকুশল অধ্যবসায় ও ধৈর্য্য ছিল এই শিল্পীদের, যাহারা নীরস পাথর কাটিয়া এমন স্বী ও স্বশোভন মন্দিরাদি নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন । একটি অৰ্দ্ধচন্দ্র কার পাহাড় তিন ভাগে ভাগ করিয়া লইয়। এইসকল গুহ। নিৰ্ম্মিত হইয়াছে । এলোরার দক্ষিণে বৌদ্ধ গুহাসমূহ, মাঝখানে কৈলাস ও হিন্দুদিগের দেবতাদের মন্দিরগুলি এবং বাম দিকে ইন্দ্র-সভা প্রভৃতি জৈন মন্দিরাদি । একাধারে শিল্পী কবি ও ইঞ্জিনিয়ার না হইলে এলোৱার