পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] ভাঙার থেলাটাই সারাজীবন খেল লুম, গড়ার খেলাটা আর খেলা হল না। আমি এ ছোট মাটির পৃথিবীর বিশ্বেশ্বরের সঙ্গে আনন্দের স্বষ্টি-সার্থী হয়ে জন্মেছিলুম, পৃথিবীর কোন অনাগত যুগের স্বপ্ন আমায় মাতাল করেছিল জান, পৃথিবীতে এক ধৰ্ম্ম—প্ৰেমধৰ্ম্ম, এক জাতি–মানব জাতি, এক দেশ–এই পৃথিবী মা। কোন মহামিলনের দিকে জগং চলেছে, ইংরেজ, জাৰ্ম্মান, কাফ্রী, জুলু, বাঙালী, চীন, যে লাঙ্গল ঠেলছে, যে লোহা পিট্‌ছে, যে লিখছে, যে জাহাজ চালাচ্ছে, সবাই সভ্যতার বিপুল রথচক্রের এক-একটি চাক, শক্তির রথে চড়ে শতাব্দীর পর শতাব্দী নর-নারাযণ চলেছেন, কোন শাস্তিব আনন্দের মিলনের যুগের দিকে, কত কোটি তাহার বাহু, বিপুল তাহার শক্তি, দুঃখদ্বন্দ্বময় ইতিহাস-পথ দিয়ে নব নব ধৰ্ম্ম, জাতি, রাজ্য ভেঙে গড়ে' কতরূপে তিনি চলেছেন, কখনও নরমুণ্ডের পাহাড় তুলে বাজ্য পুড়িযে রক্তের স্রোত বইয়ে—আলেকজানার, চেঙ্গিস, নাদির, নেপোলিয়ান ; কখন আত্মাব জ্ঞান-শিখ জালিয়ে প্রেমেব স্রোত বইযে—বুদ্ধ, খৃষ্ট, চৈতন্য, গান্ধী । সে যুগে ইংরেজ বাঙালী কাফ্রীতে প্রভেদ থাকবে না, পুরুষ ও নাবীব অধিকাবে ভেদ থাকুবে না, লোকে লোকে জাতিতে জাতিতে শক্তিব জন্য অর্থেব জন্য বীভৎস নিষ্ঠুব সংগ্রাম নেই, ধনীর ধনঝঙ্কার, শক্তিমত্তের রণস্থঙ্কার থেমে গেছে,—মানব-ইতিহাসের সেই অনাগত যুগের প্রতীক্ষায় ভারত, আমার ভারত, বিশ্বমানবের এই মিলনভূমি, এই বন্দিনী দুঃখিনী ভাবত, তার বুকের ধৰ্ম্মের আরতিপ্রদীপ ছিন্নমলিন অঞ্চলে ঢেকে পশ্চিমের ঝোড়ে। হাওয়াব মুখে তপস্বিনীর মত দাড়িয়ে আছে,— শ্রান্ত হয়ে সে চুপ করল । তাকে হাওয়া করতে লা লুম। সে ধীবে বল্লে,—একট। গান গাও, বন্দে মাতরম্ । বল্লুম,—না, তা শুনলে তুমি আরও উত্তেজিত হবে। আর, যে স্বর তুমি শুনেছিলে, সে স্বর আমার গলায় নেই, আমার গলায় যে ঘ হয়েছিল, এখন আর কিছুই গাইতে পারি না । আবfব বন্ধ উরেঞ্জিত হয়ে বলে উঠ #– 5 fಹ অশোক AMAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAASA SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAA AAAA SAAAAA SAAA AAAA AAAAAS SSAS SSAS SSAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS ● ዓ নিৰ্ম্মম প্রকৃতি ! —কাউকে সে রেহাই দেয না । ডাক্তার বলছিল, আমি বঁাচ তে পারভূম, কিন্তু যৌবনে যে উচ্ছ স্থল জীবন যাপন করেছি, প্রকতি তার হিসেব রেখেছে, আজ কড়ায় গণ্ডায় পঝে নিচ্ছে। একটু গাও, স্বরের স্বধার জন্যে প্রাণটা তুমিত হচ্ছে । ধীরে ধীরে মিষ্টি হ,বব কয়েকট। হিন্দি গান গাইলুম। বন্ধু একটু শান্ত হল। ছোট শিশুব মত গানের স্বরে স্বরে ঘুমিয়ে পড়ল । রাত গভীব হয়ে এল, ঝিল্লীর ববে পাণ্ডুবৰ্ণ আকাশ ঝিমঝিম করছে রাতের বুকের দীঘশ্বাসের মত, মাঝে মাঝে অন্ধকার বাগানে মৰ্ম্মবধ্বনি । বন্ধুর বোগশীর্ণ মুখের দিকে চেয়ে চোখে জল এল ! ভাব ছিলুম, বৌদ্ধযুগে সেই বাজা অশোকেৰ সময পৃথিবীতে যে দুঃখ দারিদ্র্য পাপ ছিল, সেই স্বার্থ দস্ত শf থব হানাহানি কিছু কমেছে কি ? এপন ও সেই জীর্ণ তৃণকুটার, সেই অজ্ঞতা, ভীরুভ, অত্যাচাব ! এ অশোক চলে যাবে, ওই তরুণ অশোক ও চলে যাবে, মানবজাত প্রেমশস্তিব যুগের দিকে একটু এগোবে কি ? - " বা গুলে। প্রদীপশিখাল মত দপদপ করতে লাগল। মনে হল--যুগে যুগে দেশে দেশে সাব স্বাধীনতাব জন্যে প্রাণ দিয়ে এসেছে, তারাই অনিমেষ নযনে এ বর্তমান পৃথিবীপ দিকে চেয়ে আছে, আমাদেব স্বপ্ন তোমরা কি সফল করলে, আমাদের মৃত্যু কি সার্থক হ’ল ? এর পরের রাতে অশোক বড় চঞ্চল হয়ে উঠল। শুধু যদি একবাতেৰ জন্য আমার আগের গলাট। পেতুম, গানেব স্বপে ভিজিখে তাকে স্নিগ্ধ করে দিতুম । সে রাতে তার বিদ্রোহী মাতুম নয়, কবি-মাতৃষটি জেগে উঠেছে । চাদের আলোর দিকে চেয়ে সে যেন মাতাল হয়ে উঠল,—আহ । কি মধুব জ্যোংমা ! সমস্ত স্বষ্টি ফুটে এ কার হাসি, এ ভুবনলক্ষ্মীব অঙ্গের লাবণ্য, দেখ, দেখ । পৃথিবী-ম। এতদিন তার সাত রংএর আঁচল উড়িয়ে আমায় ঘুবিয়েছে—এই রক্তের লাল, আকাশের নীল, গাছপালার সবুজ, আলোব সীমাহীন শুভ্র তl,অrজ পথিবী-ম। লfব কোন সৌন্দর্য্য-অব গুণ্ঠন খলে মাথার খুব কাছে