পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংথ্য } তন্মধ্যে সর্বপ্রথম পথপ্রদর্শ + " সমস্-উদ্দীনের পূৰ্ব্বে যে, গিয়াসউদ্দীন বলবনের বংশের ছয় জন স্বাধীন রাজা গৌড়দেশ ভোগ করিয়া গিয়াছেন, এ কথা সান্যাল মহাশয় জানিতেন না এবং তাহার গ্রন্থে ইহার উল্লেখ নাই । কিন্তু দ্বিতীয় অধ্যায়ের শেষ ভাগে সাম্ভাল মহাশয় যtহ লিথিয়াছেন তাঁহা পাঠ করিলে ঐতিহাসিক মাত্রেরই হৃৎকম্প উপস্থিত হইবে – “ময়জুদ্দীনের বংশধরেরা সকলেই অলস বিলাসী এবং অকৰ্ম্মণ্য ছিল। একটাকিয়ার ভাদুড়ীরাই তাহাদের রাজত্ব চালাইত । সেই অকৰ্ম্মণ্য গৌড় বাদশীগণ আপনাদের শবীর ও উপপত্নী-প্রকোষ্ঠ (রঙ্গমস্থল ) রক্ষার জন্য কতকগুলি খোজ ( ক্লীব) এবং হাব শী ( কাফ্রি ) নিযুক্ত করিয়াছিলেন । শেষে সেই হাব সীগণ শম্সউদ্দীনের বংশ ধ্বংস করিয়া নিজেরাই বাদশা হইয়াছিল। হিন্দু মুসলমান সকলেই তাহাদিগকে ঘৃণা করিত। দূরবত্তী প্রদেশের জমীদার ও শাসকগণ তাহাদিগকে রাজস্ব দিত মা। এই অরাজক অবস্থা চারি বৎসর ছিল। তাহার পর সৈয়দ হোসেন শ বহুসংখ্যক হিন্দু মুসলমান প্রবল লোকদিগকে হস্তগত করিয়া গৌড়ের সম্রাটু হইলেন। এবং হাব সীদিগের অধিকাংশ হত্য করিলেন। অবশিষ্ট লোকদিগকে দক্ষিণাত্যে তাড়াইয়া দিলেন ।”* সাহাল মহাশয় যাহাকে বাঙ্গালার নবাব শমসউদ্দীন বলিয়াছেন তিনি কখনও নবাব উপাধিধারী ছিলেন না এবং কোন কালে তোগ লকবংশীয় দিল্লীর বাদশাহদিগের অধীনতা স্বীকার করেন নাই। এই রাঞ্জার প্রকৃত নাম শমসউদ্দীন ইলিয়ুস শাহ এবং তিনি ৭৪০ হইতে ৭৫৯ হিজিরাব্দ পর্য্যস্ত, + ( ১৩৩৯–১৩৫৮ খৃষ্টাব্দ) রাজত্ব করিয়াছিলেন। এই শমসউদ্দীনের বংশ দুইবার গৌড়ে রাজত্ব করিয়াছিল । ৭৪০ হিজিরায় ( ১৩৩৯ খৃ: ) শমসউদ্দীন গৌড়-রাজ্য জয় করেন। তাহার বংশধর ৮১৭ হিজিরায় ( ১৪ ১৪ থ: ) জীবিত

  • বাঙ্গালীর সামাজিক ইতিহাস, ১ম খণ্ড, ১ম সংস্করণ, જૂ: હર

+ বাঙ্গালীর ইতিহাস. ২য় ভাগ, পৃঃ ৯৯ গণেশ ও দনুজমর্দন やQ S) ছিলেন । র্তাহীকে হত্যা করিয়া রাজা গণেশ নিজে গৌড়ের রাজা হইয়াছিলেন । গণেশের বংশ তিন পুরুষ পরে রাজ্যচ্যুত হইয়াছিল এবং ৮৪৬ হিঃ শমস্উদ্দীন ইলিয়ুস শাহের বংশজাত দ্বিতীয় নমীরউদ্দীন মহমুদ শাহ গৌড়রাজ্য লাভ করিয়াছিলেন । * ইহার বংশজাত জল'লউদ্দীন ফতেশাহ, হিজিয়ায় ( ১৪৮৭ খৃঃ) নিহত হইলে হাব সীগণ গৌড়-সিংহাসন অধিকার করিয়াছিল । * স্বলতান শাহজাদা বাবৃবগ, সৈফউদ্দীন ফিরোজশাহ, নসীরউদ্দীন মহ মুদ শাহ (তৃতীয় ) ও শমসউদ্দীন মজঃফর শাহ নামক চারিজন হাবলী রাজার পরে আমূলের সৈয়দ বংশীয় আলাউদ্দীন হোসেন শাহ,৮৯৯ হিজিরায় ( ১৪৯৩ খৃ: ) সিংহাসন লাভ করিষাছিলেন । এই হোসেন শাহ কেমন করিয়া শমসউদ্দীন ইলিয়ুস শাহের পৌত্রের পরবর্তী রাজা হইতে পারেন তাহ বুঝিতে পারা গেল না । সান্তাল মহাশয়ের মতে এক গৌড় বাদশাহের পুত্র আজিম শাহ ও নসেরিং শাহ। এই গৌড় বাদশাহ কে, তাহা বোধ হয় সান্তাল-মহাশয় নিজেই জানিতেন না। ; তাহার গ্রন্থের তৃতীয় অধ্যায়ের প্রথমেই যখন সৈয়দ হোসেন শাহের কথা বলা হইয়াছে তখন বুঝিতে হইবে যে, সান্তাল-মহাশয়ের কল্পনাপ্রস্থত এই আজিম শাহ ও নসেরিৎ শাহ এই হোসেন শাহের পুত্র। এই ছুইজন রাজাকে বারেন্দ্র ব্রাহ্মণ জাতীয় রাজা গণেশের সমসাময়িক ব্যক্তি ধরিয়া লইয়া সান্তাল-মহাশয় যে কূট তর্কের স্বষ্টি করিয়াছেন তাহার মীমাংসা বেতাল ব্যতীত আর কেহই করিতে পারিবেন না । রাজা গণেশের বাঙ্গালার ইতিহাস, ২য় ভাগ, পৃঃ ১৯১ । + বাঙ্গালার ইতিহাস, ২য় ভাগ, পৃঃ ২২৮ । সঙ্গাল মহাশযেৰ গ্রন্থে "সৈয়দ হোসেন শাহেব' নামের পরেই দেখিতে পাওয়া যায় "অল্প দিন মধ্যেই গৌড় বাদশাহের মৃত্যু হইল। উহার বড় বেগমের পুত্ৰ আজিম শাহ বয়সে ছোট ছিলেন এবং ছোট বেগমের পুত্র নসেরিৎ শাহ বয়সে বড় ছিলেন । উভয়েই সম্রাটু উপাধি ধারণ করিলেন।” পৃঃ ৭• । অথচ ভট্টশালীমহাশয় ধরিয়া লইয়াছেন যে, এই দুইজন সৈফউদ্দীন হমজtশাহের * I (Coins and Chronology of the Early Independent Sultans of Bengal) • ' ৮৯৩