পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

やbペ ছিদ্ৰ বুঝিতে হইবে। সাধারণতঃ যে-কোনরূপ অপারগতার নামই দুৰ্ব্বলতা। ] দ্রুত চালনায় আঘাতের পর আঘাতের প্রয়োগ দ্বারা প্রতিপক্ষকে প্রমাদগ্ৰস্ত করিতে পারিলেই তাহার ছিদ্র ও দুৰ্ব্বলতা প্রকট হইয় পড়ে। ১৯ । কৌশলক্রমে প্রতিপক্ষের দক্ষিণ ও বাম হস্তকে তাহার দক্ষিণ ও বাম পার্শ্বে অপসারিত করাইয়৷ হস্ত আক্রমণ পূর্বক অভ্যস্তরের দিকে অগ্রসর হইতে পারিলেই আশু শ্রেষ্ঠ ফল পাওয়া যায়। ২০। প্রতিপক্ষের আক্রমণে অস্থির হওয়ার উপক্রম হইলেই চক্ষু আক্রমণ দ্বার। তাহাকে বিহবল করিতে হয়। সময়ে সময়ে শৃঙ্গ দ্বারা শরীর রক্ষা করিয়া “হাতকাটি", “ৰূল”, “আনি” প্রভৃতির প্রয়োগ-সহযোগে কিম্বা “অভিযান স্থিতির” ভঙ্গী-সহযোগে প্রতিপক্ষের বক্ষের উপর ঝাপাইয় পড়িতে পারিলেও স্বফল পাওয়া যায় । শ্ৰেষ্ঠ অসিধারীগণ সাধারণতঃ “বিনোদ” ও“যুযুৎস্থ" র প্রয়োগেই নিস্কৃতি পাইয়া থাকেন। ২১। হস্ত, গ্রীবা, মস্তক, হৃদয়, বস্তি ও মৰ্ম্মস্থলসকল লক্ষ্য করিয়াই প্রধানত: আঘাতের চেষ্টা দেখিতে হয়। ঐসমস্ত স্থলে নিশ্চিতরূপে গুরু আঘাত করিতে পারিলেই প্রতিপক্ষ সম্পূর্ণরূপে প্রতিহত হইবে। ২২। প্রতিপক্ষের আঘাত অতিক্রম করিয়া কোনও মৰ্ম্মস্থলে তাহাকে নিশ্চিত গুরু আঘাত করিতে পারিলেই সাধারণ ত: নিঃশঙ্ক হওয়া যায়। বিশুদ্ধতা-সম্পন্ন আক্রমণই আত্মরক্ষার প্রধান উপায়। প্রতিপক্ষ আক্রমণের অবসর না পাইলে আর শঙ্কা কোথায় ? ২৩। কদাচ পশ্চাৎপদ হইতে নাই। প্রতিপক্ষ পশ্চাৎপদ হওয়ার উপক্রম করিলেই শরীর স্বরক্ষিত রাখিয়া আক্রমণ-সহযোগে তীব্র গতিতে তাহার উপর ঝাপাইয়া পড়িতে হয় । ২৪ । দীর্ঘাকৃতি ব্যক্তির সঙ্গে খৰ্ব্বাকৃতি ব্যক্তির প্রতিযোগিতা হইলে সময়ে সময়ে খৰ্ব্বাকৃতি ব্যক্তিকে এক লঙ্কে শূন্তে উঠিয়, "অভিযান স্থিতির” ভঙ্গী ঠিক রাখিয়া, 〉br ] প্রবাসী— ফাস্তুন, ১৩৩e [ ২৩শ ভাগ, ২য় বও AMMMMAMS SAMSMSMAMMAMASJJMSAAASAAA AAAASAAAAMM AMMMMMAJAAJMM MM SMMMSMSMSMSMMJMJJJAJJMMS এবং প্রতিপক্ষের অসি ও শৃঙ্গকে প্রতিহত করিতে স্থির লক্ষ্য রাখিয়া, তীব্র গতিতে প্রতিপক্ষের অতি সন্নিকটে ঝ পাইয়া পড়িতে হয় । ২৫ । প্রতিপক্ষ লম্ফ সহযোগে অগ্রসর হওয়ার উপক্রম করিলে, শরীর অবনত করিয়া “অবনমন” সহযোগে অগ্রসর হইতে হইতে, অগ্রবিন্দু পশ্চাৎ দিকে করিয়া আসি মস্তকের উপরে ধারণ করিয়া ধারের অংশ দ্বারা “চির” প্রয়োগ করিতে পারিলে কিম্বা পদদ্বয়ে আঘাত করিতে পরিলে স্বফল পাওয়া যায়। ২৬ । চক্ষু আক্রান্ত হইলেই প্রতিকারের সঙ্গে সঙ্গে “অবনমন" সহযোগে তীব্ৰগতিতে আক্রমণ সহ শত্রুর উপরে প্রবল বেগে ধাবিত হওয়ার চেষ্ট। দেখিতে হয়। ২৭। দক্ষিণ হস্তের “হুল” “আনি" প্রভৃতির আক্রমণের প্রতিকারকল্পে সাধারণতঃ “অবনমন” সহযোগে নিজ বাম পার্শ্বে শরীর অপসারিত করাইয়৷ প্রতিপক্ষের দক্ষিণ পাশ্ব আক্রমণ করিতে হয় ; অথবা “হাতকাটির” প্রয়োগ করিতে হয় । ( বাম হস্ত সম্বন্ধেও তদনুরূপ ) { ২৮। সুযোগ অনুসারে শৃঙ্গ দ্বারাও মৰ্ম্মস্থলে আঘাত করিতে হয়। বৃদ্ধাঙ্গুলীর দিকের শৃঙ্গের বিন্দু দ্বারা “হুল” “আনি” প্রভৃতির অমুরূপ আঘাত প্রয়োগ করিতে হয়, এবং কনিষ্ঠাঙ্গুলীর দিকের বিন্দু দ্বার। “ছুরিকার" (বাকের ) অনুরূপ আঘাত প্রয়োগ করিতে হয় । বিশেষ দ্রষ্টব্য :– প্রকৃত সংঘর্ষকালে পূৰ্ব্বোল্লিখিত নিয়ম-প্রণালী ও সতর্কতা গুলির বিচার করিবার অবসর পাওয়া অসম্ভব ; কিন্তু শিক্ষাভ্যাসকালে এইসমস্ত সতর্কতা-প্রভৃতি আয়ত্ত করিয়া রাখিতে পরিলে প্রকৃত সংঘর্ষকালে আপনা হইতেই পূৰ্ব্ব শিক্ষ, অভ্যাস ও সংস্কারের সমষ্টিভূত প্রভাব প্রতিভাত হইয়া কার্ষ্যসিদ্ধি সম্বন্ধে সাহায্য করিয়া থাকে । তবে জয়লাভ শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিরই আয়ত্তাধীন। ( ক্রমশ: ) শ্ৰী পুলিনবিহারী দাদ