পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૪ાન્ય বাৎসরিক আয় যা হয়, তাই সামাজিক আয়ে ধরা হয় অর্থাৎ সাধারণভাবে যত টাকা খরচ হয় তার বাজার দরে যা স্বদ হয় তাই, ) এবং ব্যবসায়গুলির সীমাস্থিত বাংসরিক নেট আয় বা লাভ তুলনা করে দেখে তবে উপকরণ নিয়ে টানাটানি করা উচিত। এবং এই খরচের অস্তিত্বের জন্য সীমাস্থিত নেট লাভ নানা ব্যবসায়ে সব সময় বিভিন্ন থাকে। সামাজিক স্বাচ্ছন্দ্যের দিক থেকে সকল ব্যবসায়ে সীমাস্থিত সামাজিক নেট লাভ সমান হ’লে বা খরচের কথা মনে করে" সমানের দিকে যতদূর সম্ভব গেলে সামাজিক আয় ও স্বাচ্ছন্দ্য সবচেয়ে বেশী হ’বে। যে-সব কারণ উৎপাদনের উপকরণগুলিকে অচল বা বহুকষ্টে সচল করে’ রাখে, সেগুলি সামাজিক স্বাচ্ছন্দ্যের অন্তরায়। কোন ব্যবসায়ে লাভ কিরকম তা জানতে হ’লে শিক্ষার দরকার, বেশী লাভের জায়গায় উপকরণ পাঠাতে হ'লে ( শ্রমজীবীর ক্ষেত্রে, নিজে যেতে হ’লে ) সাহস ও আত্মনির্ভরশীলতার দরকার। সচলতার পথে বিঘ্ন আরও অনেক কিছু আছে ; যেমন শীঘ্ৰ গমনের স্থবিধার অভাব, ভাষার অন্তরায়, এ খাব না, সে খাব না বলা, নুতন অবস্থায় নিজেকে খাপ খাইয়ে নেওয়া, অন্ত স্থান ও ব্যবসায় সম্বন্ধে বেশী মাত্রায় সন্দেহ থাকা, ভাল আইনের অভাব ( যেমন জমি হাত বদলাতে পারে না ইত্যাদি ) ইত্যাদি । এইসবু অন্তরায় দূর করা দরকার এবং সহায়গুলি জোগাড় করা দরকার । তা ছাড়া সামাজিক সম্পত্তি ঠিকভাবে ব্যবহার করা অসম্ভব । এ-ক্ষেত্রে আবার ভুল শিক্ষার বিপদ অনেক । যেমন, মাম্রাজে বেণী মাইনে পাবে বলে’ কোন শ্রমজীবী আগ্র থেকে মাজাজ যেতে পারে, কিন্তু তার আসা একটা ভুল খবরের উপর গড় হ'তে পারে। ফলে পুনরাগমন এবং যাতায়াতের খরচ ও সময় নষ্ট । কেউ মূলধন ভুল ব্যবসায়ে ফেলে’, জুয়াচোরদের লাভ বাড়িয়ে দিতে পারেন। কেউ হুজুগে মেতে মরুভূমিতে পাটের চাষ স্বরু করতে পারেন ; আবার কেউ জলাভূমিতে চা বাগান করবার চেষ্টা করতে পারেন। এ সবই সামাজিক সম্পত্তির অপচয় । কোন ব্যবসায়ে কিরকম লাভ হয় প্রবাসী—ফাঙ্কন, సిలిరిe ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড SAAAAAAAS AAAAAS AAAAAS AAASASAAAAASAAAA SS SSAS SSAS SSAS AAAAAS AAAAAS AAAAAS AA SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS ত জানাও শক্ত। যৌথ কারবারে লাভ অবশু সাধারণে কতকটা বুঝতে পারে, কিন্তু আসল মূলধন যত টাকা এবং শেয়ার যত টাকার ছাপা হয়, তাতে অনেক সময়ই বিশেষ তফাৎ থাকে। যেমন কেউ ১• • ২ টাকার শেয়ার ছাপালে ১ লক্ষ ; অর্থাৎ ১০০,০০০ × ১০০ = ১০০ • ০০ ০০, কোটি টাকার কাগজ বেরল। তার মধ্যে ১০ লক্ষ টাকার শেয়ার গেল যারা কোম্পানী ফাদলেন তাদের পরিশ্রমের মূল্যস্বরূপ । ১০ লক্ষ গেল যার শেয়ার বাজারে বিক্রি করবেন তাদের কমিশনরূপে ইত্যাদি । কাজেই শেষ অবধি কোম্পানীর আসল মূলধন হয়ত দাড়াল ৭৫ লক্ষ অথবা ৫০ লক্ষ মাত্র। এখন বাৎসরিক লভ্যাংশ হ’ল শতকরা ১০২ টাকা অর্থাৎ ১ লক্ষ ১০০ ২ টাকার শেয়ারে লাভ দেওয়া হ'ল ১০ ০০ ০০ × ১০ = ১০,০০ • • • টাকা । এটা আসলে ৭৫ লক্ষের অথবা ৫০ লক্ষের উপর লাভ অর্থাৎ আসলে লাভের হবে এই কোম্পানীর হচ্ছে শতকরা ১৩ টাকা ৫ ৩ আনা কিম্বা ২০ টাকা। অর্থাৎ বিশেষজ্ঞ ছাড়া অন্য লোকে ঐ কোম্পানীর লাভের হার কমই ভাব বে এবং সামাজিক মূলধনের যতটা ঐ ব্যবসায়ে যাওয়া উচিত, তা যাবে না । এ ছাড়া আরও নানা উপায়ে ঠিক লাভের হার চেপে রাখা হয় । তার উপরে সাধারণ ব্যক্তিগত কারবারের লাভ ত কেউ জানতেই পায় না। কোন ব্যবসায়ে লাভ কিপ্রকার, এ বিষয়ে আরও জ্ঞান বিস্তার করার সুবিধা হ'লে সামাজিক আর বৃদ্ধির সম্ভাবনা । নানা ব্যবসায়ে সীমাস্থিত নেট লাভ অসমান থাকার আরএকটি কারণ উপকরণের এককের আয়তন বৃদ্ধি (Imperfect divisibility or largeness of the unit of any resource ) . Bagai faci, 65 catati ziza i ধরুন মুলধনের একক যদি ১০ • •< টাকা হয়, অর্থাৎ ১০০০ টাকার কম বা এক হাজারের ভগ্নাংশ কেউ যদি কিছুতে না দিতে পারে, তা হ’লে ১০ ০০২ হাজার টাকার কম মূলধন স্থান পরিবর্তন করলে যদি সামাজিক লাভের আশা থাকে, ত সে পথ বন্ধ হ’য়ে যায়। যৌথ কারবারে সামাজিক লাভ হয় এই জন্য, যে, খুব অল্পপরিমাণ