পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Տ Ե-Ե SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAMMAMAAASA SSASAS SSAS SSAS SSAS উপকরণের একাংশের শ্রেষ্ঠ বিভাগের পথে একটি অন্তরায়। অনেক স্থলে অন্য কাজে শ্রমশক্তি লাগালে সামাজিক আয় বাড়লেও, শ্রমজীবী নিজের জাতের কাজ ছাড়তে চায় না ; কারণ তার জাতে বিশ্বাস ব। সামাজিক উৎপীড়নের ভয় আছে। মূলধনের সহজ গতিবিধিও ঐ কারণে আটকাতে পারে। ব্রাহ্মণ তার মূলধন চামড়ার ব্যবসায়ে না লাগাতে চাইতে পারে এবং তাতে সীমাস্থিত ব্যবসাগত নেট লাভ সব ব্যবসায়ে সততার দিকে যেতে পারে। কিন্তু তাতে সামাজিক আয় সবচেয়ে বেশী হবার সম্ভাবনা থাকৃত যদি সীমাস্থিত সামাজিক নেট লাভ, সীমাস্থিত ব্যবসায়ুগত নেট লাভের সমান হ’ত। ঐ দুই যতই পৃথকৃ হবে, ব্যক্তির আত্মস্ববিধাবোধের সাহায্যে সামাজিক উপকরণগুলির নানান ব্যবসায়ের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বিভাগও ততই অসম্ভব হ’য়ে দাড়াবে। অনেক ব্যবসায় বা কাজ আছে, যাতে ব্যবসায়গত লাভ সামাজিক লাভের চেয়ে কম । আবার অনেক কাজ বা ব্যবসায় আছে যাতে ব্যবসায়ুগত লাভই বেশী। যদি কেউ কিছু আবিষ্কার বা উদ্ভাবন করে তা হ’লে অপরে তার সাহায্যে লাভ করে নেবে এবং ফলে সামাজিক লাভ ব্যবসায়ুগত লাভ অপেক্ষ বেশী হবে। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্র যদি কিছু না করে, তা হ’লে আবিষ্কার ও উদ্ভাবনে লোকে মন দেবে কম । মেনন কাজের ফসল অন্যের ভোগে গেলেও কাজ করবে শুধু সাধু \g সন্ন্যাসীরা এবং পৃথিবীতে তাদের সংখ্যা দুর্ভাগ্যক্রমে বড়ই কম। রাষ্ট্রীয় আইন অমুসারে নিজের আবিষ্কারে নিজের অধিকার বজায় রাখা যায় এবং উদ্ভাবনা পেটেণ্ট, করা যায় অর্থাৎ অন্তে ব্যবহার বা নকল করলে সে, হয় আবিষ্কারককে একটা লাভের অংশ দিতে বাধা হয়, নয় শাস্তি পায়। জমির উর্বরতা বাড়াবার জন্যে চেষ্ট। যে করে তার প্রজাস্বত্ব যদি অল্পকাল স্থায়ী হয়, তা হ’লে তার চেষ্টার ফলভোগ অপরে অনেকটা করবে ; এ-ক্ষেত্রে রাষ্ট্র যদি তাকে তার স্কায্য অধিকার বজায় রাখতে সাহায্য না করে তা হ’লে অনেক ক্ষেত্রে জমির উর্বরতা বাড়া দূরে থাকুক, কমে যাবে। অনেক দেশে : প্রবাসী—ফাঙ্কন, ১৩৩০ SAASA SAASAASSAAAAA AAAA SAAAAA AAAA SAAAASAASAASAASAASAASAA AAAA S २०* उठt१, २ध्रं क्ष७ AASAASAASAASAA AAAS SSAAAASA SAASAASAASAASAASAASAASAA محیی صمیمی میبیسی حمعیت - প্রজাকে তাড়াবার সময় জমিদারকে জমির প্রজাকৃত উন্নতির জন্য প্রজার ক্ষতিপূরণ করতে হয়। এরকম বন্দোবস্ত না থাকূলে ব্যবসায়গত লাভ সামাজিক লাভের চেয়ে কম হ’য়ে যায় এবং সে ব্যবসায়ে লোকে যেতে চায় না । আবার অন্ত অনেক ব্যবসায়ে ( যেমন মদের ব্যবসায় ) সামাজিক লাভ ব্যবসায়গত লাভের চেয়ে কম হয় । কাজেই রাষ্ট্র সেইসব ব্যবসায়ের পথে বাধা-স্বরূপ কর বসাতে পারেন অথবা তাদের লাভের অংশ নিয়ে সামাজিক উন্নতির কাজে লাগাতে পারেন। কিন্তু রাষ্ট্র যদি সে টাকা অপব্যয় করেন অর্থাৎ এমনভাবে ব্যয় করেন যাতে সামাজিক স্বাচ্ছন্দ্য বৃদ্ধি হয় না তা হ’লে রাষ্ট্র কৰ্ত্তব্য পালন করছেন বলা যায় না। অনেকের মতে কারখানার ধোঁয়ায় সামাজিক অস্বাচ্ছন্দ্য হয় বলে একটা চিমনি-কর বসান উচিত । সে-দিক্‌ থেকে দেখলে যেসব ব্যবসায় নানা-ভাবে সামাজিক অস্বাচ্ছন্দ্য স্বষ্টি করে, তাদের সবগুলিকেই বিশেষ করে' কর দিতে বাধ্য করা উচিত। এমন অনেক ব্যবসায় আছে, যাতে সামাজিক লাভ খুব হ'লেও ব্যবসায়গত লাভ কম। যেমন নূতন রেল-লাইন, ( যাকে অবলম্বন করে নূতন জায়গায় লোকে বসবাস করতে যাবে, বা ব্যবসা-বাণিজ্য মুরু করবে) ডাকের বন্দোবস্ত, জল-সরবরাহ, সহরের ও দেশের স্বাস্থ্য রক্ষা ইত্যাদি। এসব কাজ বেশীর ভাগ সময় রাষ্ট্রকে করতে হয় বা অন্তে রাষ্ট্রের সাহায্যে করে। সামাজিক স্বাচ্ছন্দ্য-বৰ্দ্ধনে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ বিশেষভাবে প্রয়োজনীয়। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ কি কি বিষয়ে থাকা দরকার তার আলোচনা অল্প কয়েক পৃষ্ঠায় সম্ভব না হ'লেও এখানে একটা বিষয়ে কিছু বলা দরকার। অনেক সময় কোন-একটা ব্যবসায় একজন বা অল্প কয়েক জন মাত্র ব্যবসাদারের হাতে এসে পড়ে, অর্থাৎ সেই ব্যবসায় দ্বারা উৎপাদিত ভোগ্য শুধু ঐ কয়েক জনই সরবরাহ করবে এমন অবস্থা দাড়ায়। আমরা জানি বাজারে খুব বেশী মাল ছাড়লে দর সাধারণতঃ কম পাওয়া যায়। কাজেই শুধু অল্প কয়েক জনের বা একজনের হাতে মালবিশেষ সরবরাহের ভার থাকূলে, যে-পরিমাণ মাল বিক্রি করলে মাল প্রস্তুতের খরচের তুলনায় সবচেয়ে বেণী দর পাওয়া -