পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা | আলোচনা—“গৌড়-ব্রাহ্মণ” ও ডাঃ দীনেশচন্দ্র সেন Nరిసిసి AM AAMAMJSJJJAAA AAAA AAAA AAASAAAAJJAAASA SAASAASAASAASAASAASAAMMSJJJJAMAeeeSJJJJSMMMS SSSSSJSSSSJSSSSJSSSSJSSSSJSSSSMMMAMMeMSMMSMMSMSMAMAJJAA AAAAS টাভেরনিয়ে প্রভৃতির লেখা ইতিহাসের উপাদান হইতে পারে, স্বতরাং উপস্যাসও যদি ইতিহাসের স্থান অধিকার করে, তাছাতে ক্ষোভের কারণ কি ? রাখাল-বাবু বলেন যে “ঐতিহাসিক উপস্তাসের দুইটি উদেষ্ঠ থাকিতে পারে,~~প্রথম উদেখা, উপন্যাসের আকারে ঐতিহাসিক সত্য জনসাধারণের মধ্যে প্রকাশ, এবং দ্বিতীয় উদ্দেপ্ত, ঐতিহাসিক ঘটনার আবরণ দিয়া একটা নুতন গল্প রচন৷ ” 'ছুর্গেশনন্দিনী বঙ্কিম-বাবুর নিজের মতে ঐতিহাসিক উপন্যাস নহে। ইহা রাখাল-বাবু যদি স্বীকার না করেন ? ঠিক বটে "দুর্গেশনন্দিনী’তে নাম-বৈষম্য নাই । ‘স্থান-বৈষম্য ও নাই— থাকিলেও তাঁহা উল্লেখ-যোগ্য নহে। বিশেষতঃ রাখাল-বাবু নিজেও তাহা উল্লেখ করেন নাই। ঘটনা-বৈষম্য ?— আমরা কিছু বলিব না। যদুনাথ-বাবু এই প্রসঙ্গে পূৰ্ব্বে লিখিত প্রবন্ধে বলেন, “ইতিহাস কাব্য নহে। ঐতিহাসিক শুষ্ক সত্য অনেক সময়েই কাব্যে অঙ্কিত মনোহর কল্পনার চিত্রপট দূর করিয়া দেয় । কুমার জগৎসিংহ যৌবনে অতিমাত্রায় মদ খাইয়। প্রাণত্যাগ করেন। উসমান বঙ্গীয় পাঠানদের মধ্যে শেষ বীর রাজ ; অতুল সাহসে যুদ্ধ করিয় রণক্ষেত্রে হত হন ।” এখন রাখাল-বাবু কি বলিতে চাহেন ? বঙ্কিমবাবু বার বার বলেন, “ইতিহাস, ইতিহাস ; উপন্যাস, উপন্যাস ।” স্বতরাং কোনো উপস্কাসে কখনও কি-রাখাল-বাবুর নির্দেশিত প্রথম উদ্দেষ্ঠ সফল হইতে পারে ? এমন কি রাজসিংহের ঐতিহাসিক সত্যতার বিযয় বঙ্কিম-বাবুর যে ধ্রুব বিশ্বাস ছিল, তাহার আজকাল কত মূল্য আছে, রাখালবাবু স্বীকার মা করিলেও ইতিহাস কখনও অস্বীকার করে না। মাখুচি, টড ব৷ অমের লেখার মুল্য কত. অনেকেই জানেন। বঙ্কিম-বাৰু রাজসিংহের চতুর্থ সংস্করণের বিজ্ঞাপনে বলেন যে “এই প্রথম ঐতিহাসিক উপগু{স লিখিলাম । এ পয্যন্ত ঐতিহাসিক উপন্যাস প্রণয়নে কোন লেখকই সম্পূর্ণরূপে কৃতকাৰ্য্য হইতে পারেন নাই। আমি যে পারি নাই, তাহ বলা বাহুল্য ” ইহা শুধু র্তাহার বিনয়-বচন নহে—উtহার গ্রন্থাবলী ইতিহাসের অনুসন্ধানী আলোতে ফেলিলেই রাখাল-বাবু তাহা বুঝিতে পাবিবেন । যদিও বঙ্কিম-বাবু বলেন যে “ইতিহাসের উদ্বেষ্ঠ কখন কখন উপস্তাসে স্বসিদ্ধ হইতে পারে,” কিন্তু প্রকৃত ঐতিহাসিক একথা কখনও স্বীকার করিবেন না । কারণ বঙ্কিম-বাবুর নিজের কথায় বলিতে গেলে, "উপস্তাস-লেখক, সৰ্ব্বত্র সত্যের শৃঙ্খলে বদ্ধ নহেন। ইচ্ছামত অভীষ্টসিদ্ধির জন্ত কল্পনার আশ্রয় লইতে পারেন ।” ইতিহাস সম্বন্ধে গ্যটের ধারণ। যাহাই হউক, এমাস নেব লিখিত যে মন্তব্যটিতে প্রকৃত ইতিহাস সম্বন্ধে কাল ইলের ধারণ বিবৃত হইয়াছে র্যাহাব| তাহার সমর্থন করেন, তাহারা নিশ্চয় বঙ্কিমবাবুর কথাকে একটু বদলাইয়। বলিবেন যে “কোন স্থানেই উপস্যাস ইতিহাসের আসনে বসিতে পারে না।” পরিশেষে রাখাল-বাবুর নিকট ক্ষম প্রার্থনা করিয়া বলি যে, ঐতিহাসিক উপস্যাসের “দ্বিতীয় উন্ধেগু ঐতিহাসিক ঘটনার আবরণ দিয় একটা লুভন গল্প রচনা ৷’’ ইহাই সম্ভবপর এবং এই শ্রেণীর ঐতিহাসিক উপস্তাসের অভাব অতি অল্প ভাষায়ই আছে । কাজী মোহাম্মদ বক্স সীতারামের ঐতিহাসিকত্ব গত মাঘ সংখ্যার প্রবাসীতে ঐতিহাসিকপ্রবর শ্রীযুক্ত রাখালদাস বন্যোপাধ্যায় মহাশল্প ঐতিহাসিক উপস্থাস’ প্রবন্ধে ৰঙ্কিমচন্দ্রের ‘সীতারাম সম্বন্ধে অনবধানতাবশতঃ “কাহারও কোন আপত্তি নাই' বলিয়াছেন । ইয়ার্টস কুত বহুজন-বিদিত বাঙ্গালার ইতিহাসে সীতারামের ঘটনাটি বিস্তৃতভাবে বর্ণিত আছে। নবাব মুর্শিদকুলী খাঁর শাসন-কালে বাদশাহ বংশের ঘনিষ্ঠ কুটুম্ব আবু তোরাপ ভূষণার ফৌজদার নিযুক্ত হইয় আসেন। বাদশাহ বংশের সহিত আত্মীয়তা হেতু তিনি নবাবকে বিশেষ শ্রদ্ধার চক্ষে দর্শন করিতেন না । এইজন্ত নবাব কোনরূপ সাহায্য দান না করিয়া তাহাকে মহম্মদপুরের খ্যাত দহ্য সীতারামকে গ্রেপ্তার করিবার জন্ত পুনঃ পুনঃ আদেশ দেন । তোরাপ অগত্য অল্প কয়েকজন বরকন্দাজ লইয়। দহ-দমনে গমন করেন । সীতারাম ফৌজদারের পদগৌরব ও উtহার অঙ্গে অস্ত্রাঘাতের ফল কি তাহা সবিশেষ জানিলেও স্বীয় অনুচরবর্গকে অতর্কিত আক্রমণের আদেশ দিয়া স্বয়ং তোরাপের মস্তক ছেদন করেন । তেরোপের প্রতি সাবধান দৃষ্টি রাথিবীর জন্ত নবাবের উপর দিল্লীর আদেশ ছিল ; কিন্তু উtহারই কৌশলে ফৌজদার নিহত হইলেন । এই সংবাদ কোনরূপে দিল্লীতে পৌছাইলে সমূহ বিপদ বুঝিয়া যাহাতে সীতারাম পলায়ন করিতে ন পারেন তজ্জন্ত নবাব মহম্মদপুর পরগণার চতুৰ্দ্দিকৃস্থ জমিদারগণের উপর অতি সত্বর কড়া হুকুম জারি করিয়া সৈন্ত প্রেরণপূর্বক স্ত্রী, পরিবার ও সহচরগণ সহ সীতারামকে বন্দীকৃত অবস্থায় মুর্শিদাবাদে আনয়ন করেন। অতঃপর তিনি অস্ক্যান্য দস্থ্য সহ সীতারামকে শ্রেণীবদ্ধভাবে খুলে স্বারোপণ করাইয় এবং তদীয় স্ত্রী ও পরিবারবর্গকে মুর্শিদাবাদের প্রকাষ্ঠ বাজারে বিক্রয় করেন ও আবু তোরাপের প্রতিশোধমূলক রিপোর্ট দিল্লীতে পাঠাইয়া অব্যাহতি পান। বন্দ্যোপাধ্যtয় মহাশয় ‘বঙ্গাধিপ পরাজয়’ ও ‘রাজসিংহ সম্বন্ধে মনস্বী ঐতিহাসিক যদু-বাবুর সহিত একমত হইয়৷ সত্য ইঙ্গিত করিয়াছেন ; কিন্তু বঙ্কিমচন্দ্রের সীতারামের অতিস্থতি মূলে কোন fকছু না বলায় এবং সকলকে বঙ্কিমমতাবলম্বী বলয় আমরা বিস্মিত হইযছি । শ্ৰী অযোধ্যানাথ বিদ্যাবিনোদ en sæ sw ‘গৌড়-ব্রাহ্মণ” ও ডাঃ দীনেশচন্দ্র সেন গত মাঘ মাসের “প্রবাসীতে" ঐযুক্ত হরিশ্চন্দ্র চক্ৰবৰ্ত্তী মহাশয় "গৌড়-ব্রাহ্মণ” শীর্ষক প্রবন্ধে পাঁচকডি বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের একটি কথার প্রতিবাদ করিতে গিয়া ক ঠকগুলি ইতিহাস-বিগর্হিত কখ। বলিয়। ফেলিয়াছেন । চক্রবত্তী মহাশয় ডা: দীনেশচন্দ্র সেন মহাশয়ের দোহাই দিয়া পালবংশীয় রাজগণকে মাহিষ্য বা কৈবৰ্ব জাতি সাব্যস্ত করিয়াছেন। দীনেশ-বাবু কিছুকাল পুবেল ঐকৃপ ধারণাই পোষণ করিতেন এমন কি “প্রবাসী"তে ঐ বিষয়ে একটি প্রবন্ধও লিখিয়ছিলেন ; কিন্তু ঢাকা মিউজিয়মের একটি রহস্য উদঘাটনের পর হইতেই শুধু দীনেশবাবু কেন সমস্ত ঐতিহাসিকই ঐরাপ ভ্রান্ত মতকে পরিত্যাগ করিয়াছেন । আমরা জানিয়া লজ্জিত হইলাম কেবল “ভ্রান্তি বিজয়" প্রণেত। চক্রবর্তী মহাশয়ের ভ্রান্তি এপর্য্যন্তও ভাঙ্গে নাই । সন ১৩২৮ সালের আগাঢ় সংখ্যার "ভারতবর্ষে" হরিশবাবু এই বিষয়ে যে প্রবন্ধ লিখিয়ছিলেন তাহার প্রকৃত তথ্য জানিবার জগু অধ্যাপক খ্ৰীযুক্ত রাধাবল্লভ জ্যোতিঃস্মৃতিব্যাকরণতীর্থ মহাশয় শ্ৰীযুক্ত দীনেশচন্দ্র সেন মহাশয়কে পত্র লিখেন । দীনেশ-ধাবুও অধ্যাপক মহাশয়ের নিকট শ্রাবণ মাসেক্ট ( ১৩৯৮ ) একখানি