や8 ණ!বাসী-কাৰ্ত্তিক, )Oరిe { ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড ভাস্কর-শিপে জাৰ্ম্মানি ( : ) দেবদেবীর প্রতিমাগড়া ছাড়া বৰ্ত্তমান ভারতে ভাস্করশিল্পের পরিচয় একদম পাই না বলিলেই চলে। আজকাল কয়েকজন মারাঠ। এবং বাঙ্গালী শিল্পী ভাস্বর্ষ্যে হাত দেখাইতে স্বরু করিয়াছেন মাত্র। এমন কি মধ্যযুগের ভারতেও মন্দির ৪ তীর্থক্ষেত্রের আওতার বাহিরে কোন স্থপতি র্তাহার শিল্পক্ষমত। দেখাইয়াছিলেন কি না সন্দেহ। মহারাষ্ট্র দেশেব মালবান নগরে সম্রাটু শিবাজীর এক প্রস্তরমূৰ্ত্তি সাবেক কাল হইতেই দাড়াইয়া আছে শুনিয়াছি। কিন্তু এই ধরণের কাজে বোধ হয় এইটাই একমেবাদ্বিতীয়ম্। আরও প্রাচীনতর যুগের সাক্ষী স্বরূপ মহারাজ কণিষ্কের মূৰ্ত্তি আজও দেখিতে পাওযা যায়। মধুবাব সরকারী সংগ্রহালয়ে অনেকেই এটা দেখিয়া থাকিবেন। ইয়োরোপ ও আমেবিকার যে-কোনো দেশেই যাই, দেখিতে পাই যে, ভাস্কৰ্য আজকাল একমাত্র মন্দিব গির্জা বা ধৰ্ম্মগৃহেরই একচেটিয়া শিল্প নয়। প্রত্যেক বড় বড় শহরের রাস্তায় বাগিচায় পৌরভবনে নানা প্রকাল মূৰ্ত্তি বিরাজ করিতেছে। এইগুল গড়িবার জন্য শিল্পীও সকল দেশেই বিস্তর। 事 মূৰ্ত্তিগড় শিল্পীর একট। সখ মাত্র নয়। ইহ। একটা ব্যবসাও বটে। মূৰ্ত্তি গড়িয়া শিল্পীরা অন্নসংস্থান করিয়৷ থাকেন। কবি, লেখক, বৈজ্ঞানিক, দার্শনিক ইত্যাদি শ্রেণীর মৃধীদেব মতন স্থপভিরাও জনগণেব “পূজা স্থান” বিবেচিত হন । ( २ ) বৰ্ত্তমান ভারতের বাগ-বাগিচা, সরকারী বাড়ী, পাঠশালা, সংগ্ৰহালয় সবই বিদেশীর হাতে । কাজেই এইগুলাকে অলঙ্কত করিবার জন্য যে-সকল শিল্প আবশ্যক সবই বিদেশীর স্বজাতীয় ওস্তাদগণের হাতে গড়াইয়া থাকেন। কি নগর-নিৰ্ম্মাণ, কি রাস্তা-নিৰ্ম্মাণ, বৰ্ত্তমান ভাবতের প্রত্যেক গঠনকার্য্যেই বিদেশীয় শিল্পী ও কারিগরেরা একচেটিয়া অধিকার ভোগ করিতেছেন। ভারতীয় দেবদেবী এবং মন্দিরগুলা যদি ভারতবাসীর হাতে না থাকিত তাহা হইলে ধৰ্ম্মসংক্রাস্ত ভাস্কর-শিল্পও এতদিনে ভারতীয় শিল্পীর আওতা হইতে বাহিরে চলিয়। যাইত । পবাধীনতার ফলে ভারতবাসী যতগুলি ক্ষমত হারাইয়। বসিয়াছে তাহাব ভিতর ভাস্কর্য্যের শিল্পক্ষমতা অন্যতম । স্বাধীন দেশে বেড়াইতে আসিলে ভারতীয় পৰ্য্যটক মাত্রেই শিল্পের তরফ হইতে স্বদেশের দুৰ্গতি প্রতি পদবিক্ষেপে বুঝিতে পারেন। স্বরাজ স্থাপিত ন হইলে ভারতে স্থপতি-বিদ্য উন্নতি ও বিস্তৃতি লাভ করিলে বলিয়া বিশ্বাস হয় না । শিল্পের উন্নতি ও প্রসার পয়সা-সাপেক্ষ । গরীব লোকেরা কুঁড়েঘরে প্রিযতম বস্থ ও আনিয়া মজুদ করিয়া বাপিতে পারে না । নগর-পল্লীর কৰ্ত্তার পৌরভবনের কৰ্ত্তার সংগ্ৰহালয়ের কৰ্ত্তারা সরকারী টাকা খরচ করিতে রাজি থাকিলেই দেশের পল্লীশহরের শিল্পীর নিজ নিজ ওস্তাদি দেখাইবার জন্য ঝুঁকিতে পারে। ইয়োরোপআমেরিকায ভাস্করশিল্প এইরূপ সরকারী অর্ডারের সাহায্যেই নিজ পায়ের উপর দাড়াইতে পারিয়াছে। ( ७ ) পশ্চিম মুল্লুকের লোকেরা জাৰ্ম্মানদিগকে মূৰ্ত্তিশিল্পে পাকা কারিগর বিবেচনা করে না । জাৰ্ম্মানরা বিজ্ঞানে ওস্তাদ, দর্শনে ওস্তাদ, ব্যবসায়ে ওস্তাদ, লড়াইয়ে ওস্তাদ এবং সঙ্গীতে ওস্তাদ । এই-সকল দিকে জাৰ্ম্মানির খ্যাতি ইয়োরোপ ও আমেরিকার সর্বত্রই রটিয়াছে। কিন্তু মুকুমার শিল্পের আসরে জাৰ্ম্মান জাতিকে পশ্চিমারা আজও সম্মান করে না। পশ্চিমাদের এই বিচার যুক্তিসঙ্গত নয়। কি মধ্যযুগে, কি বৰ্ত্তমান কালে জাৰ্ম্মানরা মুকুমার শিল্পে অনেক উচুদরের স্বষ্টি সাধন করিয়াছে। সেইগুলা কোন হিসাবেই অন্যান্য পশ্চিমাশিল্পের তুলনায় খাটে। নয়। ভাবতীয় পৰ্য্যটকের জাৰ্ম্মানিতে আসিলে
পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।