পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ግ›8 ميميه جمیریخ* ہم جمیلx আইনজীবী থাকিতে পারিলেন না। আবার বিপ্লবীদিগের দলে যোগ দিলেন এবং শীঘ্রই ধৃত হইলেন ও পলায়ন করিয়া বিদেশে চলিয়া গেলেন । ১৯০৫ খৃঃ অব্দের বিপ্লবের সময় লেনিনকে আবার সেণ্ট পিটাসর্বার্গে দেখা গেল। কিন্তু বিপ্লব সফল না হওয়ায় তিনি অদৃশ্য হইলেন । ১৯০৬–১৬ এই কয়েক বৎসর লেনিন দেশের বাহিরে বাস করেন। এই সময়ে তাহার লিখিত কয়েকটি পুস্তিকার খুব প্রচাব হয়। লেনিন আধুনিক বস্তুতন্ত্রবিরোধের বিপক্ষে ছিলেন। তাহার দুইখানি পুস্তকে তিনি ভক্তি, ধৰ্ম্ম ও ধ্যানরসিকদিগকে জনসাধারণের অনিষ্টকারী বলিয়া ঘোষণা করেন । র্তাহার মতে বাস্তব ঐশ্বৰ্য্য মানবের উন্নতির সহায়ক, সংহীরক নহে । লেনিনের জীবনে দুইটি জিনিষ ক্রমাগত ফুটিয়া উঠিতে দেখা যায়। প্রথম, তাহার নিজের লাভ ও ক্ষতির দিকে দৃষ্টির অভাব ও তঁtহার স্বাৰ্থত্যাগ ; এবং দ্বিতীয়, তাহার সমাজবিজ্ঞান সম্বন্ধে তীক্ষুবুদ্ধি। কাহারও কাহারও মতে তিনি নিজের প্রভুত্ব সৰ্ব্বত্র খাটাইতে চেষ্টা করিতেন ; এবং ইহাই নাকি তাহার একমাত্র চিত্ত ছিল । বস্তুতঃ ইহার পরিচয় তাহার জীবনে খুব পাওয়া যায় না। ইহা তাহার জীবনের সংক্ষিপ্ত পরিচয় । র্তাহার মত ও আচরণের সমালোচনা সংক্ষেপে করা যায় না । s অ খুনের জন্য দুঃখ প্রকাশ সেদিন ইংরেজদের একটা সভায় একজন ইংরেজ বক্ততা করিতে করিতে জিজ্ঞাসা করে, অমুক ভারতীয় নেতা মিঃ আনেষ্ট, ডে ৰ হত্যার জন্য দুঃখ প্রকাশ করিয়াছেন কি ? এই লোক গুলার আস্পদ্ধ ও বেয়াদবির সীমা নাই । তোমাদের স্বজাতীয় কত লোকে যে কত ভারতীয়কে ইংরেজ শাসনের আরম্ভ হইতে এ পর্য্যন্ত খুন করিয়াছে, তাহার জন্ত তোমাদের নেতার কখনও দুঃখ প্রকাশ করিয়াছে ? প্রকাশুভাবে দুঃখ প্রকাশ না করিলেই যে খুনের সমর্থন করা হয়, তাহা কোন স্বায়ুশাস্ত্রে বা আইনে বলে ? প্রবাসী--ফাঙ্কন, ১৩৩০ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড মহাত্মা গান্ধীর চিঠি কংগ্রেসের সভাপতি মৌলানা মহম্মদ আলীকে মহাত্মা গান্ধী যে চিঠি লিখিয়াছেন, তাহাতে তিনি বলিতেছেন, “গবর্ণমেণ্ট, অকালে, আমার পীড়ার জন্য, আমাকে মুক্তি দেওয়ায় আমি দুঃখিত। এরূপ মুক্তি আমাকে স্বর্থী করিতে পারে না, কারণ আমি মনে করি, যে, বন্দীর পীড়া তাহার মুক্তির হেতু হইতে পারে না।” গান্ধী মহাশয় কোনপ্রকার সৰ্ত্তে আবদ্ধ হইয়া মুক্ত হইতে রাজী হইডেন, ইহা কল্পনা করা যায় না ; কিন্তু এরূপ অঘটন ঘটিলে, কেবল মাত্র তাহাই আমাদের নিরানন্দের কারণ হইত, সেইজন্য তিনি যে প্রকারে মুক্তি লাভ করিয়াছেন, তাহাতে আমরা অমুখী হই নাই, সুখী হইয়াছি । কিন্তু ইহাও বলা দরকার, যে, এই মুক্তিতে আমাদের গৌরব বোধ করিবার কোন কারণ নাই । * আমরা যদি স্বরাজ লাভ-করিয়া নিজের শক্তিতে তাহাকে কারামুক্ত করিতে পারিতাম, তাহা হইলেই গৌরব বোধ করিতাম, এবং তাহাতে আমাদের স্বর্থের মাত্রাও পূর্ণ হইত। মহাত্মা গান্ধীর চরিত্রমাহাত্ম্য, তাহার প্রবর্তিত স্বাধীনতা, তাহার নির্দোষিতা, ও প্রচেষ্টার স্তায্যতা ও মহত্ত্ব উপলব্ধি করিয়া, এবং তাহার কার্য্য ও উপদেশ যে নিরুপদ্রব তাহ বুঝিয়া গবর্ণমেণ্ট, তাহাকে ছাড়িয়া দিলেও তাহ পূর্ণ আহলাদের বিষয় হইত ; যদিও এক্ষেত্রেও আমাদের কোন কৃতিত্বগেীরব থাকিত না । হাসপাতালে এখন তাহাকে বেশী লোকে দেখিতে গেলে তাহার আরোগ্যলাভে বিলম্ব হইবে । সুতরাং যাহারা তাহাকে শীঘ্র জাতীয় কাৰ্য্যক্ষেত্রে পুনরবতীর্ণ দেখিতে চান, তাহারা তাহাকে দেখিবার ইচ্ছা দমন করিলেই সে উদ্দেশ্য সিদ্ধ হইবে, এই কথা তিনি বলিয়াছেন । “বন্ধুদের স্নেহের আদর ও উপলব্ধি আমি বেশী করিতে পারিব, যদি ত:হারা, যিনি যে সাৰ্ব্বজনিক কাজে ব্যাপৃত আছেন, সেই কাজে, বিশেষতঃ চরকায় স্থত কাটিতে, অধিকতর সময় ও মনোযোগ দেন ।” “আমার মুক্তি আমাকে কোন আরাম দিতেছে না।