পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

:৫অঙ্গংখ্যা ] , حبیبیسیحییت حجمعیتی حجتیه বিবিধ প্রসঙ্গ—গর্ড, রেডিঙের ত্রুকুটি ৭১৭ যুদ্ধ না হইয়া জাস্তজাতিক আদালতে আন্তজাতিৰ আইন অমুসারে বিবাদ ভgন হয়, উইলসন তদনুরূপ ব্যবস্থার পক্ষপাতী ছিলেন। ক্ষুদ্র বা অনুন্নত বা অসংঘবদ্ধ জাভিদিগকে প্রবল জাতির নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির গুপ্ত যাহান্তে পদানত কল্পিয়া রাখিতে না পারে, তদ্রুপ ব্যবস্থাও তিনি করিতে চাহিয়াছিলেন। স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা পৃথিবীৰ্যাপী হউক, ইহ। তাছার হৃদগত আকাঙ্ক্ষা ছিল । সমুত্রে সকল সময়ে সকল জাতি যাহাতে জবাধে বাণিজ্য-জাহাজ চালাইতে পারে, তিনি এরূপ নিয়মের পক্ষপাতী ছিলেন । কিন্তু তাহার অস্তিজাতিক আদর্শকে তিনি বাস্তবে পরিণত দেখিয়া যাইতে পারেন নাই, উহা এখনও স্বপ্লবৎ জবাস্তবই রহিয়া গিয়াছে । কিন্তু স্বপ্নেরও মূল্য আছে ; উহা মানুষকে বাস্তবের দিকে লইয়া যায়। সাম্রাজ্যবাদ ও প্রধলের সামরিক দণ্ডের দিনে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, স্তায় ও মানবিকতার অাদর্শ স্থাপন করিতে যিনি চেষ্টা করিয়াছিলেন, মানবজাতি র্তাহার মিকট কৃতজ্ঞ থাকিবে । লর্ড রেডিঙের ভ্রুকুটি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রধান মন্ত্রী হুইবার প্রাকৃকলে মিঃ রামসে ম্যাকডোন্তাল্ডের নিকট হইতে মান্দ্রাজের “হিন্দু” কাগজের লওনস্থ সংবাদদাতা এক বাণী বা সন্দেশ ( মেসেজ) আদায় করেন । তাহাতে ম্যাকৃডোস্থান্ড মহাশয় অস্তান্ত কথার মধ্যে বলেন, যে, ব্রিটিশ জাতিকে ভয় দেখাইয়া ভারতীয়ের কোন অধিকার আদায় করিতে পারিবে না। ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভার বর্তমান বৎসরের অধিবেশনের প্রারম্ভিক বস্তৃতায় লণ্ড রেডিংও বলিয়াছেন, যে, ব্রিটিশ জাতি তাহীদের ইচ্ছ। এবং বিচারের বিরুদ্ধে বাধ্য হইয়া ভারতবর্ধকে শাসনসংস্কার দিতে অস্বীকার করিবে । আমরা বলি, তঙ্গ না পাওয়াটা ব্রিটিশ জাতিরই একচেটিয়া সম্পত্তি নছে ; ভারতবর্ষের লোকেরাও মনে করিতে পারে, যে, তাহাদিগকে ভয় দেখাইয় তাহাদের সঙ্কল্পিত কাৰ্য্যপদ্ধত্তি হইতে নিরস্ত করিবার চেষ্টা করা হইতেছে ; তাহারাও ভয়ে নিরস্ত হইতে মারাজ হইতে পারে। _یہ محم۔ আর, ব্রিটিশ জাতির মোড়লেরা যে ৰায় বার , বলিয়া থাকেন, “আমরা ডরাই না, আমরা ডরাই ন” ইহাতেই কি অন্তর্নিহিত ভয়ের আভাস পাওয়া যায় না ? ব্রিটিশ জাতি ভয়ে কখন কিছু করে নাই, ইহাও সত্য মহে। দূর অতীতের ইতিহাস ছাড়িয়া দিলেও দেখা যায়, ষে, এই সেদিন কেনিয়ার কয়েক হাজার শ্বেত ঔপনিবেশিক বিদ্রোহের ভয় দেখাইয়াছিল বলিয়া ব্রিটিশ মন্ত্ৰীসভা তথাকার ভারতীয় ঔপনিবেশিকদিগের সম্বন্ধে - স্তায্য ব্যবস্থা করিতে পারিল না । অবশু অমিং এরূপ মনে করি না, যে, বিশাল ত্রিটিশ সাম্রাজ্য কয়েক হাজার শ্বেত ঔপনিবেশিকের বিদ্রোহ দমন করিতে পারিত না । কিন্তু আমাদের বিশ্বাস, মন্ত্রীসভার এই ভয় ছিল, যে, কেনিয়ার ঐ শ্বেত ঔপনিবেশিকদের বিরুদ্ধে গোর সৈন্ত পাঠাইলে গোরারা যুদ্ধ করিতে অস্বীকার করিতে পারে, এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বৃঅর ও ব্রিটনের কেনিয়ার ঔপনিবেশিকদের সহিত যোগ দিতে পারে । আয়াল্যাণ্ডের আর্লষ্টার প্রদেশবাসী ইংরেজরা জাইরিশ, স্বাধীন রাষ্ট্রের সহিত যুক্ত হইতে অস্বীকার করে ; তাহারা পুনঃ পুনঃ বলে, যে, তাহাদিগকে আইরিশ দের সহিত যুক্ত করিতে চাহিলে তাহারা বিদ্রোহ কঃিখে । বিদ্রোহের জন্য তাহারা কাসনের নেতৃত্বে অস্ত্রশস্ত্র' সংগ্ৰন্থ এবং সৈনিকদিগকে যুদ্ধশিক্ষাদানও করিয়াছিল। ফলে, আলষ্টার এখনও আয়াল্যাণ্ডের অবশিষ্ট অংশ হইতে স্বতন্ত্র রহিয়াছে । - অতএব, ব্রিটিশ জাতিকে ভয় দেখাইয়া কাজ আদায় করা যায় ; কিন্তু, ইহা অবশু স্বীকার করা যায়, যে, शाशब्रा डब cमथाग्न, उॉशबl ३ष्ट३थ चाउँौश, चखड़ः শ্বেতকায়, হইলে নিশ্চিত ফললাভের সম্ভাবনা অাছে, অক্টের ভয় দেখাইলে ফললাভ না হইতেও পারে। ভারতবর্ষের লোকেরা, কিম্বা তাঁহাদের মধ্যে কোন গণনার যোগ্য দল, ব্রিটিশ জাতিকে ভয় দেখাইয়া কাজ আদায় করিতে চেষ্টা করিতেছে, এই ধারণাটাই ভুল । ংলাদেশে যে দুএকটা রাজনৈতিক খুন হুইয়াছে, তাহার পশ্চাতে দল থাকিলেও, তাহা বঙ্গের অঙ্গচ্ছেদের পর জাবিভূত বিপ্লবী দলের মত প্রভাবশালী নহে। শেষোক্ত