পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ) বিবিধ প্রসঙ্গ—স্তার ম্যালকমৃ হেলীর বস্তৃতা ৭১৯ AASAASAASAAMMAMMAAAS SASAAAAASA SSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS ভারতীয় নেতাদের উক্তির এই অর্থ বুঝিয়াছিলাম, যে, “গবর্ণমেণ্ট, বলুন দশ বা পনের বৎসর পরে নিশ্চয়ই দায়ী গবর্ণমেণ্ট, স্থাপিত হইবে, তাহা হইলে আমরা সন্তুষ্ট হইব।” কিন্তু গবর্ণমেণ্ট কখনও এরূপ প্রতিশ্রুতি দেন নাই, এখনও দিতেছেন না। র্তাহীদের “গবর্ণমেণ্ট, অব, ইণ্ডিয়া য়াকুট” নামধ্যে আইনেও এরূপ প্রতিশ্রুতি নাই। ব্রিটিশ গবর্ণমেণ্টের কেবল এই অভিপ্রায়ই ব্যক্ত হইয়াছে যে, নূতন ব্যবস্থাপক সভাগুলির আরম্ভ হইতে দশ বৎসর পরে পালেমেণ্ট অনুসন্ধান করিবেন, যে, ভারতবাসীরা অধিকতর রাষ্ট্রীয় অধিকার পাইবার যোগ্য হইয়াছে কিনা । যোগ্য বিবেচিত হইলে তাহারা আরও কিছু পাইবে, নতুবা পাইবে না—এমন কি যাহা দেওয়া হইয়াছে তাহা কাড়িয়া লওয়াও একেবারে অসম্ভব নহে । ভূতপূৰ্ব্ব অন্যতম প্রধান মন্ত্রী লয়েড, জর্জ ত বলিয়াইছিলেন, যে, ইংরেজপুর্ণ সিবিল সার্বিস রূপ ইস্পাতের কাঠামো ভারতবর্ষকে চাঙ্গ রাখিবার জন্য চিরকালই থাকিবে । অতএব হেলীর যুক্তিটা এইরূপ দাড়াইতেছে— “তোমরা বলিয়াছ যে তোমরা, ক্রমে ক্রমে, দশ বা পনের বৎসরের অবসানে, দায়ী গবর্ণমেণ্ট, পাইলে সন্তুষ্ট হইবে ; অতএব তোমরা তোমাদের সেই কথার দ্বারা সত্যবদ্ধ আছ ও থাকিতে বাধ্য ; কিন্তু আমরা কখনও কথা দিই নাই, এবং দিবও না যে আমরা দশ বা পনের বৎসর পরে নিশ্চয়ই দায়ী গবর্ণমেণ্ট, স্থাপিত করিব।” কিন্তু চুক্তি ত কখন একতরফা হয় না। ইংরেজ যদি প্রতিশ্রুতি দিতেন, তাহা হইলে আমরাও চুক্তিবদ্ধ থাকিতাম। কিন্তু তাহারা কোন প্রতিশ্রুতিই দিবেন না, আর আমরা ১৫ বৎসর হঁ। করিয়া বসিয়া থাকিব, ইহা হইতে পারে না । দেশের নেতারা দেখিতেছেন, যে, দেশ নিরক্ষর থাকা সত্বেও দেশবাসী লোকেরা বুদ্ধিমান এবং নিজেদের স্বার্থ বুঝে, এবং দেশে অপ্রত্যাশিত অল্প সময়ের মধ্যে বিস্তর লোকের রাষ্ট্রীয় বোধ জন্মিয়াছে । সুতরাং যদিই আমরা ১০১৫ বৎসরের মিয়াদে আগে সন্তুষ্ট হইবার কথা বলিয়া থাকি, তাহা এখন ভ্রম বলিয়। বুঝিতেছি । এখন আমরা তাহা অপেক্ষা শীঘ্র জাতীয়-আত্মকর্তৃত্ব চাই । হেলী বলেন, দায়ী গবর্ণমেণ্ট, চাহিলেই ত প্রতিষ্ঠিত করা যায় না। দেশী রাজ্যসমূহ, ইউরোপীয় বণিক, সামরিক ও অসামরিক চাকুরিয়া-সম্প্রদায় (অর্থাৎ সার্ভিসেজ,), সংখ্যায় কম নানা শ্রেণী ও সম্প্রদায়, প্রভৃতির সম্মতি লইতে হইবে। চমৎকার কথা! ইংরেজ গবৰ্ণমেণ্ট, যত রকম আইন, নিয়ম, সন্ধি, যুদ্ধ, প্রভৃতি করেন, তাহাতে ইহাদেব সকলেরই মত লইয়া থাকেন কি ? দেশী রাজ্যসকল সম্বন্ধে যে-সব কাজ বা ব্যবস্থা করেন, তাহাতে ব্রিটিশ ভারতের লোকদের মত, লওয়া হয় কি ? তাহাতে হয় না। স্বতরাং আমাদের সম্বন্ধে উৎকৃষ্ট ব্যবস্থার বেলায় দেশী রাজ্যগুলির অসম্মতির বাধা কেন উত্থাপন করা হইবে ? দেশীরাজার। ত এরূপ বিষয়ে ইংরেজের হাতের পুতুল হইবেই ; তাহাদিগকে যেমন নাচিতে বলা হইবে, তাহারা সেইরূপ নাচিবে । ইংরেজ বণিকৃ এবং ইংরেজ চাকুরিয়ারা ত বৰ্ত্তমান সামান্ত অধিকার ভারতীয়রা পাওয়াতেই অসন্তুষ্ট ; আমাদের আরও অধিক অধিকার পাওয়ার বিপক্ষে তাহার হইবেই। সংখ্যায় কম সম্প্রদায়ের কতকগুলা লোককে ইংরেজের মতাম্ববত্তী করাও খুব সহজ । অতএব, হেলী যে-সব লোকের সম্মতিক্রমে আমাদের দায়ী গবর্ণমেণ্ট, প্রাপ্তির কথা তুলিয়াছেন, তাহদের সকলের সম্মতি কলিযুগে হইবার সম্ভাবনা নাই । তাহার পর হেলী দেশরক্ষার কথা তুলিয়াছেন। ‘ডোমিনিয়ন-পদবীর মানে ডোমিনিয়নগুলির মত সৈন্তদল ।” হেলী জিজ্ঞাসা করেন, ফৌজের সকল শাখার স চুল শ্রেণীতে ভারতীয় অফিসারদের দ্বারা চালিত ভারতীয় সৈন্যদল আছে কি ? এই প্রশ্নের মধ্যে যে ন্তকারজনক ভণ্ডামি রহিয়াছে, তাহা একেবারেই অসহ । কোম্পানীর আমলেও ভারতীয় সৈন্য ও ভারতীয় অফিসার ফৌজের যে-সব শাখায় ও শ্রেণীতে ছিল, এখন তাহ নাই । দেশকে দীর্ঘকাল ধরিয়া নিরস্ত্র রাখা হইয়াছে। ভারতবাসীরা যে সামরিক নানা অধিকার হইতে বঞ্চিত হইয়াছে, সেটা কি তাহীদের দোষ, যে তাহ