পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ) আফ্রিকার কাফ্রিদের বিবেচনায় জানোয়ার চরানো সন্ত্রান্ত উচ্চবংশীয় কাজের মধ্যে পরিগণিত। গাভীকে ইহার বলে “কালে মুক্তা” । চাষবাস “আৰ্য্য” ভাতিপুঞ্জের সাবেক আমলে নিন্দাজনক “ছোটলোকের” কাজ বিবেচিত হইত। প্রাচীন ভারতের আইনে ব্রাহ্মণ এবং ক্ষত্রিয়দের পক্ষে কৃষিকাৰ্য্য নিষিদ্ধ ছিল । মই বলেন (দশম অধ্যায় ) :–“স্বধীগণের চিস্তায় ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয়দের চাষে লাগা নিন্দনীয়। কেননা হালের লোহার খোচায় ভূমির সঙ্গে জীবের গায়েও ঘা লাগে ।” একটা জিনিষ যে ব্যবহার করে সে-ই তাহার মালিক । ভূমি ব্যবহার করিত সাবেক কালে কাহারা ? নারীরা । এই জন্য নারীদের অধিকার ছিল ভূমিতে। ভূমি সম্বন্ধে ব্যক্তিগত একৃতিয়ার বা নিজস্বের জ্ঞান জগতে দেখা দিব মাত্র নারীরা ইহার প্রথম মালিক হইয়াছিল। জগতের যেখানে যেখানে মাতৃ-রক্তের জোরে পারিবারিক বন্ধন গড়িয়া উঠে সেখানে ভূমি নারীরই সম্পত্তি। প্রাচীন মিশরে, ভারতে নায়ার সমাজে, আফ্রিকায় তুয়ারেগ মহলে এবং পিরিনীজ পাহাড়ের বাসকু জাতির ভিতর ভূমিকে “স্ত্রীধন'-রূপে বিবেচিত হইতে দেখিতে পাই । গ্রীক দার্শনিক আরিষ্টটলের আমলে স্পার্ট জনপদের দুই-তৃতীয়াংশ জমি "স্ত্রীধন” ছিল । আর-একটা কথা লক্ষ্য করিতে হইবে। পরবত্তা কালে ভূমির জোরে লোকেরা স্বাধীনতা লাভ করিয়াছে এবং সমাজে মর্যাদা পাইয়াছে। কিন্তু সাবেককালে এই ভূমিই পরাধীনতার মূল ছিল । নারীরা আবাদের কড়া কাজে নিযুক্ত থাকিতে বাধ্য হইত। এই কষ্টকর কাজ হইতে তাহাবা মুক্তি পাইয়াছিল কখন ? যখন জগতে গোলাম চাষী বা দাসত্ব-প্রথা দেখা দেয় । স্ত্রীজাতির গোলামীর জায়গায় তথম মুরু হয় চাষীদের গোলামী । কৃষি-কার্যের প্রবর্তন মানব-সমাজে অনেক নুতন ঘটনা ঘটাইয়াছে । ইহার দ্বারা স্ত্রী পুরুষ হইতে তফাৎ হইয় পড়িয়াছে । গোলামীর অভ্যালে স্ত্রী জাতিকে কষ্টসহ ধন-বিজ্ঞানে মৃতত্ত্বের কথা MMAMAMS eeAMAMSJJMMAAMiAMMMMAAMMMMAMAMMAAA AAAAA ురిని حجاریه معیاره معممیه ممصاح عمیمه تم এবং নরম করিয়া ফেলা হইয়াছে। পরে দাস-মজুরি, খত-মজুরি ইত্যাদি নানাবিধ শ্রমিক গোলামি-জগতে হাজির হইয়াছে। জমি ভাগাভাগি হইবা মাত্ৰ সৰ্ব্বত্রই একসঙ্গে নিজস্ব জ্ঞান অর্থাৎ সম্পত্তি-স্বতন্ত্র্য দেথা দেয় নাই । যৌথ সম্পত্তির ধারণা অনেক দিনই বজায় ছিল । যতদিন এই ধারণ টিকিয়াছিল ততদিন জমিগুলার চাষবাসও সমবেতরূপেই অতুষ্ঠিত হইত । আলেক্‌জাণ্ডেরের সেনাপতি নেআর্কাস সমসাময়িক পঞ্জাব সম্বন্ধে বলেন :–“ভূমিগুলা, দলে দলে চথা হয়। দলে থাকে গোটা জাতি অথবা গোষ্ঠীর অন্তর্গত বহু লোক । বৎসরের শেষে ফ দলগুলা সকলের মধ্যে ভাগাভাগি করিয়া দেওয়া হয়।” এই গেল খ্ৰীঃপূৰ্ব্ব চতুর্থ শতাব্দীর কথা । মধ্যে আমেরিকার ইউকাটান দেশের চাষ সম্বন্ধে পয্যটক ষ্টিফেন বলেন :–“মায় নামক ইণ্ডিয়ানরা সমবেতরূপে জমির উপর সম্পত্তি ভোগ করে। প্রায় একশ জনে মিলিয়া জমি চষে ৷ ফসল ভাগাভাগি করা হয় ।” যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেকুলিকে প্রদেশের টাও নামক এক ইণ্ডিয়ান পল্পী হইতে ১৮৭৭ খৃঃ মিলার মর্গ্যানকে লিখিয়াছিলেন :- “প্রত্যেক পুয়েবলো বা ডিহিতেই একটা করিয়া ভুট্টার ক্ষেত আছে । এইটা লোকেরা সকলে মিলিয়া চষে । ফসল জমা করিয়া রাখা হয় একটা যৌথগোলায় । দুর্ভিক্ষের সময়ে গরীবেরা এই গোলা হইতে অন্ন লাভ করে । গোলা থাকে কাশিক বা শাসনকৰ্ত্তার জিন্মায় ।” দক্ষিণ আমেরিকার পেরুদেশে—স্পেন কর্তৃক ধ্বংসসাধনের পুৰ্ব্বে—চাষ ছিল এক বিপুল জাতীয় মহোৎসব বিশেষ । সকাল হইবা মাত্র দুর্গ-চুড়া হইতে নরনারীদিগকে ডাকা হইত ; আবালবৃদ্ধবনিতা সকলে মিলিয়া পে,যাকী কাপড় পরিয়া অলঙ্কারে সাজিয়া জমি চষিতে লাগিয়া যাই ত । চাষের সঙ্গে সঙ্গে গাম চলিত। চাষীদের গানের ‘মুদ্রা থাকিত ইস্কার রাজগণের স্তুতি-প্রশংসা । প্রেস্ট প্রণীত পেরু-বিজয়’ গ্রন্থে জানা যায় যে, চাষীরা মহা উল্লাসে কৃযি কায্য সম্পাদন করিত । _. یہ "ایم_حجمعہ: