পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] حمیر جمحیحیحیرہ۔ औ?झे ཨཱ་ཝཱ་ལཱ་ করিয়াছিলেন। গেইয়াস ইন্‌ষ্টিটিউটু নামে সেটা পরিচিত। ঐতিহাসিক থুসিডিডিস বলেন—“সেকালে জলডাকাইতি বেশ সম্মানজনক ব্যবসা বিবেচিত হইত।” ডাকাইতরা ডাঙ্গায় নামিয়া হাতের কাছে যাহা পাইত তাহাই লইয়া চম্পট দিত। নরনারী জানোয়ার ফসল আসবাব হাড়িকুড়ি কিছুই বাদ পড়িত না । পুরুষেরা গোলামে পরিণত হইত। মেয়ের থাকিত পুরুষদের চৌকিদারস্বরূপ । গোলামরা বিজেতাদের জমি চষিত । ক্রীট দ্বীপের নগরগুলা এই ধরণের ডাকাইত বীরগণের উপনিবেশস্বরূপে গড়িয়া উঠিয়াছিল। অ্যারিষ্টটুলের আমল পৰ্য্যন্ত প্রত্যেক নগরেই গোলামের দল জমির চাষে বাহাল থাকিত । জমিগুলা অবশ্য ছিল খাসমহাল। গোলামদিগকে বলিত মোতি । সরকারী জমিন এবং সরকারী গোলাম ছিল গ্রীকদের যৌথ বা সমবেত সম্পত্তি। সেইরূপ গ্ৰীক নগরের আর-এক অঙ্গ সরকারী বা যৌথ ভোজ। যৌথ খানাপিনার বিবরণ হেরাক্লিডেসের গ্রন্থে পাওয়া যায়। জন্তান্ত লেখকও এই বারোয়ারীতলার ভোজন-ব্যবস্থার কথা বলিয়াছেন। প্রসঙ্গক্রমে বলা যাইতে পারে যে, গ্ৰীক সমাজে দুই শ্রেণীর গোলাম ছিল –প্রথম, সরকারী গোলাম ; দ্বিতীয় ব্যক্তিগত গোলাম । সরকারী গোলামের সকলকেই সরকারী জমি চষিতে বাহাল করা হইত না । অনেককে পেয়াদ। আরদালি দফাদার ইত্যাদি শাসনবিভাগের নিম্নতর কোঠায় নকৃরি দেওয়া হইত । বিলাতী রয়্যাল এসিয়াটিক সোসাইটির ট্র্যান্‌জ্যাকশ্বানস কেতাবের ১৮৩০ সালের খণ্ডে হজসন মান্দ্রাজ শহরের ত্রিশ মাইল উত্তর-পশ্চিমের এক পল্লীর কথা বিবৃত করিয়াছেন । এই পল্লীর চাষীরা তাহাদের কাজে সরকারী গোলামের সাহায্য পাইত। মাম্রাজে যে এইরূপ ‘সরকারী গোলাম’ ছিল তাহাঙ্ক প্রমাণ কি ? পল্লীবাসীরা নিজ পল্লীতে যে-সকল একৃতিয়ার ভোগ করিত সেইগুলা বিক্ৰী করিবার সময় অথবা বন্দক রাধিবার সময় সহকারী ধন-বিজ্ঞানে নৃতত্ত্বের কথা ዓ8¥ ASA SSASAS SS SAAAAAMSAMSAASAASAASAASAASAASAAAS চাষীদের ভাগ্যও নিয়ন্ত্রিত হইয়া যাইত। কাজেই এই সহকারী চাষীদিগকে পল্লীবাসীদের সাধারণ বা যৌথ সম্পত্তির এক অংশ বিশেষ বিবেচনা করা যাইতে পারে । মধ্যযুগের ভারতীয় শহরে এবং পল্লীতে যৌথ গোলামি প্রচলিত ছিল । যেদিকেই তাকাই সৰ্ব্বত্র ভূমি-সম্পত্তি অথবা ভূমির উৎপন্ন দ্রব্য সম্বন্ধে সম্পত্তি, জানোয়ার সম্পত্তি, গোলাম সম্পত্তি,—সকলপ্রকার সম্পত্তিই গোটা জাতি গোষ্ঠী বা দেশের যৌথ সম্পত্তি ছিল । মানবজাতির শৈশব এই সমবেত ধনদৌলতের ব্যবস্থায় পরিপুষ্ট হইয়াছে । সভ্যতার ক্রমবিকাশের সঙ্গে সঙ্গে আদিম ধনসাম্য লুপ্ত হইয়াছে। বর্তমান যুগে সম্পত্তি ব্যক্তিগত । জমিদার রাজরাজড়া পুজিজীবী ও অন্যান্য ধনবানদের আওতা এড়াইয়া প্রাচীন ব্যবস্থার সাক্ষী আজও কিছু কিছু খাড়া আছে । আজকালকার থাসমহালগুলা সেই মান্ধাতার আমলের আর্থিক ব্যবস্থার পরিচয় দিতেছে । “উৎকর্ষের যুগে” সাবেক কালের ব্যবস্থা ভাঙ্গিয়া গিয়াছে, সত্য। কিন্তু পুরানা ভাঙ্গিয়া ফেলাই সভ্যতার যুগের একমাত্র মানবকীৰ্ত্তি নয়। একটা নূতন ব্যবস্থা গড়িয়া তোলাও এই যুগের এক কৃতিত্ব। মান্ধাতার আমলেশ্ন সমবেত ধনদৌলত জগতে আর একপ্রকার দেখা যায় না বটে, কিন্তু খানিকট। জটিলতর এবং উন্নততর সরকারী বা যৌথ সম্পত্তি জগতে দেখা দিয়াছে। মানবজীবনের অন্যান্য অনুষ্ঠান-প্রতিষ্ঠানের মতন মুখস্বচ্ছন্দ ভার যন্ত্র বা বাহনস্বরূপ এই যে ধনদৌলত তাহাও নিত্যনুতন ভাঙ্গা-গড়ার ভিতর দিয়া রূপে-রূপে ফুটিয়া উঠিয়াছে। আর্থিক সভ্যতার ইতিহাসে ভাঙন এবং গড়ন রূপভেদের দুই দিকৃই লক্ষ্য করিতে হইবে। নৃতত্ত্ব-বিদ্যায় গবেষণা সুরু করিলে ধনবিজ্ঞান-সেবীর “অৰ্থাতঃ সুখজিজ্ঞাসা’র ইতিহাসে মানবচরিত্রের এবং মানবসমাজের অনেক গভীরতর তথ্য ও নিয়ম আবিষ্কার করিতে পারিবেন। শ্ৰী বিনয়কুমার সরকার