পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓ¢ e SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS ডানদিকের ঝোপের ভিতর পাতার ভিড় ঠেলিয়া, পুনকা তখন অন্য ফুলের সন্ধানে প্রবেশ করিয়াছে। মুখী একবার সেইদিক পানে তাকাইয়৷ দেখিল, ঘন পত্র পল্লবের ভিতর সে যে কোন খানে অদৃশ্ব হইয়া গেছে, দেখিতে পাওয়া যায় না। ভাবিল, পুনক ফিরিতে-নাফিরিতে এই স্বন্দর ফুলগুলি দিয়া সে যদি তাহার ঝুড়িটা ভৰ্ত্তি করিয়া লইতে পারে, তাহা হইলে সে হয়ত অবাকৃ হইয়া যাইবে । স্বর্থী একটি একটি করিয়া ফুলগুলি তুলিয়া তাহার ঝুড়িতে ফেলিতে লাগিল। কিন্তু একটা মধুমক্ষিক ফুলের থোপার ভিতর কোথায় লুকাইয়াছিল,—পটু করিয়া তাহার হাতের একটা আঙুলে ছল বিধিয়া দিতেই মুখী চমকিয়া উঠিল । উঃ! বলিয়। হাতের আঙ লট চাপিয়া ধরিয়া চীংকার করিয়া ডাকিল, পুনক, ও পুনকা . পুনক বেশী দূরে যায় নাই। অনতিদূরে একটা ঝুমকা গাছে ফুল ফোটে নাই বলিয়া তাহার তলার মাটিটা খুড়িয়া দিয়া সেখানে জল দিবার ব্যবস্থা করিতে ছিল । ইহা তাহাদের উৎসবের একটা রীতি। অtঞ্জ ফুল তুলিতে আসিয়া যদি কোনও বন্ধ্য। গাছ কাহারও নজরে পড়ে,—যদি দেখা যায় কোনও অযত্ন-বৰ্দ্ধিত গাছে ফুল ফুটে নাই, ফল ধরে নাই, তাহা হইলে তাহার তলার মাটি ভালো করিয়া খুড়িয়া দিয়া, তাহাতে জল পেচন করিতে হয় । হঠাৎ স্বর্থীর ব্যাকুল আহবান কানে যাইতেই, হাতের কাজ ফেলিয়া পুনক বৃক্ষ-লতাদির অন্তরাল হইতে বাহির হইয়। আসিল । অস্ত-সুৰ্য্যের কনক-কিরণ পাতে স্বৰ্গীর নিটোল-স্থনার কালে মুখখানি হিঙল-বরণ হইয়া উঠিয়াছিল । বনফুল-সৌরভের স্নিগ্ধ আমেজে স্থানটা একেবারে মশগুল হইয়া উঠিয়াছে। পুনক আনন্দাতিশয্যে কহিয়া উঠিল, ই রে বাপ !...ই যে মেলা ফুল স্বর্থী !......বা: ...অ্যা! ই কি, তুই আমন্‌ করছিস যে ? হাতে তোর কি হ’ল ? বলিয়া পুনকা তাড়াতাড়ি তাহার হাতখান চাপিয়া ধরিতেই সুখী-বলিল, মোধ মাছিতে বিধে দিলেক । —উঃ ! প্রবাসী—চৈত্র, ১৩৩• [ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড AeMAAASAAAAASA SAAAAS AAASASAAAAASA SAASAASAASAASAASAASAASAAAS কই দেখি ? বলিয়া পুনক ঝুঁকিয়া পড়িয়া দেখিল, ডান হাতের একট। অঙি ল সঙ্গে সঙ্গে ফুলিয়া উঠিয়াছে । পায়ের তলার একমুঠ দুৰ্ব্বাঘাস ছিড়িয়া লইয়া পুনক জোরে-জোরে স্বর্থীর বেদানার্ভ অঙ্গুলির উপর ঘসিয়া দিয়া বলিল, বাস্! আর কিছুই করতে হবেকৃ নাই,— এখনই ভাল হয়ে যাবেকৃ –লে, বোস এইখানে । ধীরে-ধীরে মুখীর গলা জড়াইয়া একট। গাছের তলায় ঘাসের উপর তাহারা পাশাপাশি বসিয়া পড়িল । স্বৰ্গী তাহার মাথাটা পুনকার বুকের উপর এলাইয়া দিয়া মুখ ভার করিয়া বলিল,—ই, বড় জল্‌ছে যে ! স্বর্থীর হাতখান তখনও পুনক দৃঢ় মুষ্টিতে ধরিয়াছিল। এইবার আঙলট নিজের ঠে টের উপর চাপিয়া ধরিয়া কহিল, ন, ন',- জলবেক্‌ নাই, দ্যাখ, তুই ! এই বসন্ত সন্ধ্যায় মনে হইতেছিল যেন সমগ্ৰ বনানীর নব-যৌবন ফিরিয়াছে ! বৃক্ষ চুড়ায় কচি কিশলয়েয় উপর স্বৰ্য্যরশ্মি ঝিকৃমিক করিতেছিল । নানা বর্ণে চিত্র-বিচিত্র কয়েকটি ছোট পার্থী অস্পষ্ট কলরব করিতে করিতে তাহাদের চোখের সম্মুখে উড়িয়া গেল । পুনক হঠাৎ বলিয়া উঠিল, ভাল হ’ল ! মুখী তাহার বুকে মাথা রাখিয়া তরুণের বক্ষ-স্পন্দন অমুভব করিতেছিল। কহিল, ই,—আর একটুকু। কিয়ুৎক্ষণ পরে পুনকা সসঙ্কোচে ডাকিল, স্বর্থী ! মুখী ধীরে ধীরে চোখ মেলিয়া তাহার মুখের পানে তাকাইয়া কহিল, উ । —কাল ফুল-পরব,; লয় ? -टैं । —কাল আমরা খুব ফুৰ্ত্তি করব, কি বল স্বর্থী ? বলিয়া পুনক ঝুকিয় পড়িয়া স্বধীর মুখের নিকট নিজের মুখখানা লইয়া গেল । মুখী ঈষৎ হাসিল মাত্র । বনের ভিতর হইতে আম্রমুকুল এবং ঘাস-ফুলের তীব্র গন্ধ দমকা বাতাসে ভাসিয়া আসিল ।