পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नरभा । لأه. সূত্রহীন ও জহাদীর ob? ওরি মত ঘোর সোনেল গোলাব ফুটিত বর্ধমানে, कि जांनि ८कन ८ष-eहे ब्रदcफ्रां८थ इह कदब्र' खण चांदन ! ভাই তুলেছিছু হঠাৎ কেমন —শুনি নাই শেষ-কথা, গোস্তার্থী মাফ কর একবার, না জেনে দিয়েছি ব্যথা !

    • জহাঙ্গীর আমার ভাগ্যে এই ছিল শেষ —মহবৎ ! মহবৎ ! ভরা-দুপুরেই দিন ডুবে যায় –বুটা তেরি শবৃবং ! পেয়ালার পর পেয়াল ভরেছি—বেহশ করেনি দিল! মাথাও ঘোরে না, রক্তের জোশ, বাড়ে না যে একতিল ! যাক! সব যাক। লাথি মেরে ভাঙে ! কর সব চুরমার ! কাজ নাই মোর বাদশাহী তথত –দিল্লীর দরবার ! ঘোড়া নিয়ে এস—খুরে ক্ষয় করি সারা হিন্দুস্থান ! শহর-কেল্লা জালাইয়া দিয়া রাঙাইব আসমান ! তৈমুর । আজ তোমার বংশে খুনের পিপাসা নাই। বিষের জালায় বুক জলে, তবু বসে থাকে এক ঠাই । যেথা যত আছে স্বন্দর মুখ—কাটিয়া পাহাড় কর । কালো-চোখ সব ছিড়িয়া ছিড়িয়া হাজার থলিতে ভর ! মসজিদ হোক ঘোড়ী-ঘর, আর হারেম কসাই-খান ! আল্লার নাম করে যদি কেউ, টুটি কেটে কর মানা !... বুক ফেটে যায় ! এও কি আমার শাস্তির শেষ নয়! ওরে হতভাগী ! নাই তোর মুখে এতটুকু বিস্ময় ! চেয়ে আছে তবু অচপল চোখে, দয়া নাই মনে তোর ! রাক্ষসী । আমি সব দিয়েছি যে ! তবুও আমিই চোর!... মহবৎ ! আমি তোমার মতন দেখিনি শিকারী-বীর— এত বড় এই বাঘের পাজরে তুমিই বিধিলে তীর ! তবে আর কেন ? বাঘেরে ধরিয়া বাঘিনীরে ছেড়ে দাও !

নূরজহান ছি-ছি, ছি-ছি ! এই দাড়াইঃ আমি, নড়িব না এক পাও! কেন অপমান কর আপনার ? তোমারি হুকুম ঠিক ! —মহুবৎ তারে ফিরাইয়া দিবে ] ধিক্ তায়, ধিক্ । ধিক্ । 聯 箏 মৰিতে চাহিনি একদিন বটে—এমনি সে পরোয়ান পেয়েছিছ, সে ষে পাঁচ আঙুলেই রক্তের সই-টানা ! সঙ্গে তাহার দিয়েছিল ছুরী—জ্যোৎস্নায় তুলে ধরি’ দেখি সে কঠিন ইস্পাতময় অশ্রু পড়িছে ঝরি – 皺 పెళితాt সেদিন পারিনি, বড় সাধ হ’ল বাঢ়িবারে পুনরায়, সারারাত তাই বুকে করি শেষে ফেলে দিল্প দরিয়ায় ! পিছনে যেন কে চুলে ধরি মোর, তুলে নিয়ে গেল টানি’তারি বেদনায় মূরছিয়া ফের জাগিলাম রাজরাণী । ভিখারীর মেয়ে মেহেরের ভালে তুমি দিলে রাজটীকা— মোতিমহলের শামাদানে জলে আলেয়ার আলো-শিখা' রূপের রূপায় কেবা কিনিয়াছে সব-সেরা দৌলত – তোমার তাঙ্কের কোহিনূর নয়—হৃদয়ের সেলামত, রূপের কদর জানি খুব জানি !—তসবীরে হয় আঁক, রূপ সে বিকায় কানা-কড়িতেই, তসবীর লাখ-টাকা । কেউ ঝরে যায়, কেউ বা লুকায় অশ্রুর কুয়াসায় ! বঁfদী-হাটে কেউ শিকলিতে বাধা, হতাশ নয়নে চায় ! মেহেরের চেয়ে অনেক রূপসী রূপের পসরা নিয়া স্বারে-স্বারে কেঁদে ফিরে গেছে এই ধরণীর পথ দিয়া ! নূরজহানের রূপ বড় নয়—বড় ওই বুকখানা ! তাই মানি নাই আর-একজনের মরণের পরোয়ান ।... হে মোর বিধাতা ! নিয়তি আমার | দরদী গো নির্দয় । জনমের মত ঘুচাইয়া দাও তোমার প্রেমের ভয় ! মরিয়াও আমি মরিব কি সখা –ঘুমাইতে পাব মুখে ? কবরে আমার ভালো করে দিও পাথর চাপায়ে বুকে ! যদি কোনোদিন আবার কখনো নাম ধরে" ডাকো তায়-- মাটির মাঝারে মর-দেহ উঠি বসিবে যে পুনরায় ! দোহাই তোমার !—যা”-কিছু বিচার শেষ কর এই বেলা, বল, বল, এই প্রাণটারে নিয়ে সাঙ্গ হ’ল কি খেলা ? জহাঙ্গীর ভালো করে কাদো !-ঢাকিও ন মুখ, এত শোভা মরি মরি । হাহা করে প্রাণ, তবু মনে হয় দেখে লই আঁখি ভরি’ ! ওই মুখ যবে জলে ভেসে যাবে আল্লার দরবারে, ‘রোজ-কিয়ামত'-ভেরীর আওয়াজ থেমে যাবে একেবারে । যত পাপ, ‘গোনা”—জুনিয়ার যত বান্দার বেইমানি— মাফ হয়ে যাবে । শয়তান এসে দাড়াইবে যোড়পাণি -- মহবৎ, তুমি পাথর বনেছ! কোনো কথা নাই মুখে । এত বে-দরদ। কলিজায় দোল দেয় নাকি ওই বুকে ?