পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“శ్రీలి AMSMAMSAeSAMS MAe eAMAeMA AeAeSAeeMAMM এখনো দাড়ায়ে কি দেখিছ বীর । আরো কি বিচার চাও? বলিও না কিছু—আর বলিও না! ছেড়ে দাও, ছেড়ে দাও! আদেশ নহে সৈ, মিনতি আমার !—কি ভাবিছ মহবৎ ? প্রবাসী—চৈত্র, రిలిe ASA SSASAS SSAS SSAS AeeAAASAASAASAASAASAAMBM MSMSMS [ २७* छीन, २ग्न १e കും.ണു് ജബ് ബ് भश्रु९ र्थी যেমন আদেশ বানার পরে-তাই হোক হজরত ! ঐ মোহিতলাল মজুমদার - মেঘে রৌদ্র সে-জিন রাগ-পূর্ণিম। । কবে কোন শুভ-মুহূর্তে আপন অস্তিত্বহীরা গোপবধুর মনপ্রাণ সমর্পণ করিয়া শ্ৰীকৃষ্ণের করুণা-কণা লাভ করিয়াছিল, তাহারই মধু স্মৃতির উৎসৰ । ভক্তি-আৱত নয়নে আনন্দের অঞ্জন মাখিয়া বহু দূর গ্রাম হইতে অসংখ্য নরনারী মদনপুরে রাস দেখিতে আসিয়াছিল । নানা পত্র-পুষ্পে শোভিত হইয়া মদনগোপালজীর রাসমঞ্চখানি বনবিমোহন কুঞ্জেরই জাকার ধারণ করিয়াছিল ; তাঁহার উপর নহবতের করুণ রাগিণী হৃদয়ের কোন কোমল তন্ত্রীতে আঘাত করিয়া ব্যক্তিমাত্রকেই কি-এক অজানা ভাবের আবেশে উন্মাদ করিয়া তুলিতেছিল। সে-রমে উন্মত্ত হইয়া নীলাম্বরে পূর্ণচন্দ্র হাসিতেছিল । আলোকের বন্যায় স্নান করিয়া ধরিত্রীও অপরূপ শোভা ধারণ করিয়াছিল ; বুঝি ৰা দিবসগুণে স্বৰ্গ-মৰ্ত্ত মিলিয়া মিশিয়া একাকার হইয়া গিয়াছিল । শিলাখণ্ডের যুবরাজ পট্টবস্ত্র-পরিহিত চন্দন-চর্চিত উদয়াদিত্য নগ্নপদে মন্দির-পথে অগ্রসর হইতেছিলেন । অকস্মাৎ কোথা হইতে বীণা ঝঙ্কত হইয়া উঠিল। আর অগ্রসর হওয়া চলিল না । স্বরের মোহ তাহার অন্তর ম্পর্শ করিল ; তিনি তাহাতে আচ্ছন্ন হইয় পড়িলেন। কিয়ৎক্ষণ পরে আকাশ-বাতাস কাপাইয়। ললিত-মধুর কণ্ঠে কে সেই স্বর-লহরীর সহিত স্বর মিলাইয়া গান ধরিল। স্বরে কি তীব্র মাদকতা ! সঙ্গীতে কি অপূৰ্ব্ব মুর্ছনা! যুবরাজ স্বপ্নবিষ্টের স্তায় গায়িকার অন্বেষণে অগ্রসর হইলেন । ( २ ) বাপীভটে বসিয়া রাসলীলার গান গাহিতে গাহিতে গায়িকা লয়াজিত আত্মহারা হইয় পড়িয়াছিল। উদয়া-দিত্য ধীরে ধীরে তাছার পশ্চাতে আসিয়া দাড়াইলেন । গান শেষ হইল । শ্রোভা ও গায়িক উভয়েই নীরব ; বহুক্ষণ কাহারও মুখে কথা সরিল না। লগ্নাজিত প্রকৃতিস্থ হইয়া পিছনে চাহিতেই নয়নে নয়ন মিলিল । সে বিরক্তির সহিত জিজ্ঞাসা করিল—“কে আপনি ? এখানে কেন ?” উদয়াদিত্য বলিলেন—“দেবী ! এ অধীনের নাম উদয়াদিত্য ; লোকে আমায় শিলাখণ্ডের যুবরাজ ব’লে জানে। মন্দিরে যাবার ইচ্ছায় বেরেয়েছিলুম, কিন্তু আপনার স্বকণ্ঠের আকর্ষণই আমাকে পথভ্রান্ত করে এখানে টেনে এনেছে।” যুবতীর মস্তকস্থিত গোলাপের অভিা যেন তাহার গণ্ডদ্বয়ে ফুটিয়া উঠিল । সে নতমস্তকে বসনাঞ্চল অঙ্গুলিতে জড়াইতে জড়াইতে মুদুকণ্ঠে বলিল—“অধীনার সৌভাগ্য ।” “এ স্বৰ্গ-মুর্ছনার কি এইখনেই শেষ করলেন ?” “যুবরাজের অভ্যর্থনার কি এই স্থান ? যদি দয়া করে এ অভাগিনীর বুটরে পদধূলি দেন, আমি সাধ্যম আপনাকে আনন্দ দেবার চেষ্টা করব।” “কিন্তু বিনা পরিচয়ে আপনার সঙ্গে যাই কি করে’ ?” “পরিচয় পেলেই কি যাবেন ?” “আপত্তির কারণ না থাকূলে যেতে পারি।” “তবে শুনুন, আমি পতিত্বা।” অকস্মাৎ সম্মুখে সর্প দেখিলে লোকে যেমন শিহরিয়া উঠে, যুবরাজ তেমনই ভয়ে সরিয়া গেলেন। তাহার মুখ হইতে অক্ষুটকণ্ঠে উচ্চারিত হইল—“প-ভি-ত !” "র্হ্য, আপনাদের মত ধনীর লালসা-বহ্নিতে আপনাকে আহুতি দিয়ে আজ আমি ঘৃণিত, পতিতা ।” যুবরাজ কথা কহিলেন না ; পশ্চাৎ ফিরিয়া গমনোন্তত হইলেন ।