পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ωυ πjoi ) গরম দেশের লোক করেছেন, কাজেই আমরা কাজ করতে পারি কম ;- এই জাতীয় কথার কোনো মূল্য নেই। দক্ষিণ আমেরিকাও গরম দেশ এবং সেখানে লোকে ঠাও। দেশের লোকের চেয়ে কম কাজ করে না । সমবেত চেষ্ট ও শিক্ষার গুণে এই ভারতবর্ষের এমন অবস্থা হ’তে পারে যে, অন্ত অপেক্ষাকৃত ঠাণ্ডা দেশের লোকের চেয়ে আমাদের দেশের লোকের কৰ্ম্মশক্তি বেশী হ’তে পারে। দেশটা গরম বলে আমাদের দেশের লোক কাজ করতে বা কষ্ট সহ করতে পারে না ; এ-কথাটা একটা বিরাট মিথ্যা । আমাদের অক্ষমতা আছে, এইরকম একটা ধারণ আমাদের থাকৃলে আমাদের শক্তিসামর্থ্য কমে যায় ; কাজেই, আমাদের শক্তি-সামর্থ্যে ভয়ের কারণ অাছে এই মিথ্যা কথা বলে’ ও লিখে? আমাদের আত্মশক্তিতে বিশ্বাসু হারিয়ে দেবার একটা প্রাণপণ চেষ্টা অনেকের অাছে। এ মিথ্যার হাত থেকে বঁাচার উপায় সজাগ অবস্থায় চোখ খুলে থাকা ও নিজে না দেখে ও না বুঝে পরের কথা বিশ্বাস করব না এই ভাব পোষণ করা । বেমে-জল Ե»o Q এই ভাল্পতৰষে ভার্বাহী রোগক্লিষ্ট লোকে দিলে ৰাৱে ভ্ৰষ্টা কাজ করে। ইংলণ্ডে রেসের ঘোড়ার মত যত্নে-পালিত ভঙ্গ জীবী প্রাসাদতুল্য আরামদায়ক কারখানায় দিনে (ঘ কাজ করে, তাতেও তারা সন্তুষ্ট নয়। গরম দেশে ৰাখ, ১ ক্ষমতা কমে বটে, কিন্তু সবচেয়ে কমে চরিত্র-দোযে,গারিদ্র্যে ও শিক্ষার দোষে । ভারতবর্ষের হাজার হাজার বছরের ইতিহাস আমাদের এমন কিছুই কি দেয়নি, যার জোরে আমরা গরমের বন্ধনকে ছিড়ে ফেলে শ্রমশক্তির অভূত উদাহরণ জগৎকে দেখাতে পারি ? সামাজিক শক্তির অপব্যয় নিবারণ ও সদ্ব্যবহার করতে হ’লে সমাজের নিজের কাজ নিজে করার অধিকার দরকার ; সমাজের সকলের চিন্তাশক্তি প্রখর করে তোলা দরকার ; তার উপায় শিক্ষা। বৰ্ত্তমান ভারতে সামাজিক স্বাচ্ছন্দ্য বৃদ্ধির জন্য সৰ্ব্বাগ্রে প্রয়োজন রাষ্ট্রক্স স্বাধীলভ ও শিক্ষণ । শ্ৰী অশোক চট্টোপাধ্যায় বেনো-জল চবিবশ আনন্দ-বাবু যা ভয় করেছিলেন, তাই-ই হ’ল। কলকাতায় এসেও রতনের কোন খোজ পাওয়া গেল না। অনেক খোজাখুজির পর শেষটা হতাশ হ’য়ে আনন্দ-বাবু বললেন, “রতন নিজে না ধরা দিলে আমরা তাকে আর ধরতে পারব না।" পূর্ণিমা অভিমান-ভরা গলায় বললে, “রতন-বাবুকে আর খুঁজতে হবে না, বাবা । আমরা কোন দোষে দোষী নই, তাকে আত্মীদের মত ভালোবাস্তুম, তবুও এত সহজে তিনি আমাদের ত্যাগ করলেন ! যাবার সময়ে একবার দেখাও ক'রে গেলেন না ! বেশ, আমরাও আর ॐiब्र कथl छांब व न-७उद्दे वा श्रृंब्रज किtगब्र আমাদের "ি আনন্দ-বাবু মাথা নাড়তে নাড়তে বললেন, “পূর্ণিমা, এই কি তোমার মনের কথা ?” —“হ্যা, এই আমার মনের কথা !” —“ন, তোমার মনের কথা আমি জানি, তুমি অভিমান ক'রে এ কথা বলছ—নইলে রতনকে ফিরে পাবার জন্তে আমার চেয়ে তুমি কিছু কম ব্যাকুল নও।” পূর্ণিমা বাপের দিকে পিছন ফিরে, দাড়িয়ে অকারণে টেবিলের উপরটা ঝাড়তে লাগল।... আনন্দ-বাবু যেন নিজের মনে-মনেই বললেন, “মায়া জানে—সে মায়াবী ! আজি কী মায়ার ফাদে আমাদের বেঁধে রেখে চলে গেল, এখন আর মুক্তি পাবার কোন উপায়ও ত দেখছি না !” দিন-পনেরো পরে বিনয়-বাবুও সপরিবারে কলকাতার