পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] میسا দেখে তোমায় রেখে আলি চল ওখানে।” মেয়েটি করুণ-চোখে তার দিকে চেয়ে রইল, তার পর মুখ ফিরিয়ে বললে—“আমার সেখানে ভাল লাগে না।" ভাগ্যে সেখানে “আজকালকার মেন্ধেগুলো কি বেহায়া”-বলবার লোক ছিল না। জরের মধ্যে রাধারাধি নিয়ে দু’জনের রাগারগি হয়। মেয়েটি বললে “আমি খুব পরিব—তোমার না খেয়ে আফিস যাওয়া হবে না।” ছেলেটি বলে—“তুমি পারলেও আমি রাধতে দেব না। আমি না হয় হোটেলে খাব।” মেয়েটি বলে—ইr, ভদ্রলোকে বুঝি হোটেলে খেতে পারে!” ছেলেটি বলে—“দরকার হ'লে সব পারে।" মেয়েটি তবু বলে—“তোমার এখনো ত দরকার হয়নি।” তার পর জোর করে মেয়েটি রাধ তে যায়। ছেলেটি এবার খুব রাগ করে ভীষণ এক দিব্যি দিয়ে বললে “ঘুে আজ রাধ বে সে আমার মরা মুখ দেখবে।” মেয়েটি দিব্যি শুনে স্তম্ভিত হ’য়ে বিছানায় শুয়ে কঁদিতে লাগল। ছেলেটি অমৃতপ্ত হয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে শাস্ত করবার চেষ্টায় বলতে লাগল—“তুমি অবুঝের মত জেদ করলে তাই না আমি দিব্যি দিলুম ; লক্ষ্মীটি. রাগ কোরো না। আচ্ছা ভেবে দেখ দেখি আগুন- তাতে রোধে যদি তোমার জর বেশী বাড়ে তখন ত আমারই কষ্ট বাড়বে। এখন ত একদিন রান্না পাচ্ছিনে তখন ত কতদিন পাব না •••সে ত আমারই কষ্ট...তুমি ভালো হ’য়ে যত খুসি রেধে না, আমি কি বারণ করছি...” মেয়েটি বললে—“বেশ ত খুব হয়েছে, দিব্যি দিয়েছ—আমি ত আর রাধ তে যাচ্ছিনে..." ছেলেটি আরো অস্তুতপ্ত হ’য়ে বোঝাতে লাগল। সেবারে জ্বর আপনা থেকেই ধীরে ধীরে সেরে গেল । তাদের রাগারগির পালাও এমনি করে সমাপ্ত হ’ল । নূতন নীড়ে তখন অচেনা কচি অতিথির সমাগম হয়েছে। একটি খোকা । কিন্তু মেয়েটির আর বাপের বাড়ী থেকে আসা হ’য়ে উঠছে না । অসুখ জার সাবুতে চায় না, বাপ-মাও অস্থখস্বদ্ধ মেয়েকে ছেড়ে দিতে রাজি হয় না । ডাক্তার-ধান্ত্রী বলে—‘মুক্তিক ’ । শুধু কেরাণী bペめ سی-مسیریه-معیسی مسی-مه ছেলেটি বন্ধুদের কাছে উৎকণ্ঠিত হ’য়ে জিজ্ঞাসা করে’ বেড়ায়—“হঁ্যা ভাই, সূতিকা হ’লে কি রাচে না ?" মেয়েটি দিন দিন আরো কাহিল হ’য়ে যেতে লাগল— বিছানা থেকে আর ওঠ বার ক্ষমতা রইল না ক্রমে। ছেলেটি রোজ আফিসে দেরি হবার জন্তে বস্তুনি খায় i’ হিসাব-ভুলের জন্তে তাড়া থায় । কিন্তু তার স্বষ্টির বিরুদ্ধে, ভগবানের বিরুদ্ধে এই অকারণ উৎপীড়নের জন্যে বিদ্রোহী হয়ে উঠতে জানে না। নির্দোষের উপর এই অন্যায় অবিচারে, বিধাতার পক্ষপাতিত্বে ক্ষিপ্ত হ’য়ে অভিশাপ দেয় না সংসারকে । মামুষের কাছে তারা মাথা নীচু করে চলে,—বিধাতার কাছেও। মেয়েটি কোনো দিন স্বামীকে একলা কাছে পেয়ে, করুণ কাতর চোখে তার মুখের দিকে চেয়ে বলে— “হঁ, গা, আমি বঁচিব না ?" ছেলেটি জোর করে' বুক-ফাটা হাসি হেসে বলে— “কি যে পাগলের মত বল তার ঠিক নেই। বfচবে না কেন, কি হয়েছে তোমাম ? মেয়েটি চোখ নামিয়ে মৃদুস্বরে বলে—“আমি মরুতে চাইনে কিছুতেই।" ছেলেটি আবার হেসে বলে—“ওসব.আজগুবী কথা কোথায় পাশু বল ত ?” - একটা হাসি আছে—কায়ার চেয়ে নিদারুণ, কান্নার চেয়ে হৃৎপিণ্ড-নেংড়ান । রোগ কিন্তু ক্রমশঃ বেড়েই চলল। মেয়েটি আর স্বামীর কাছে জিজ্ঞাসা করে না—“হ্যা, গা অামি বঁচিব না ?” বরঞ্চ তার সামনে প্রফুল্ল মুখ দেখিয়ে হাসতে চেষ্টা করে’ বলে—“তুমি ভাবছ কেন, আমিত শীগগিরই সেরে উঠছি।” তার পর ঘরকম পাতবার "নব-নব কল্পনার গল্প করে, কেমন করে” ছেলে মাস্থ্য করবে তার নাম কি রাখবে এইসব। ছেলেটিও তার শিয়রে বসে করুণ হেসে তার শীর্ণ হাতটি নিজের হাতে নিয়ে স্তব্ধ হ’য়ে শোনে। মেয়েটি বলে—“তুমি ভেবে ভেবে মন খারাপ কোরে না, আমি ঠিক সেরে উঠব।” ছেলেটি বলে— “কই আমি ভাবিনে ত সেরে উঠবে না ত কি, নিশ্চয়ই উঠবে।" কিন্তু তারা বুঝতে গবে এছলন দু'জনের